পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . ) §§ @কৃষ্ণসংহিতা । বৃহদ্বল হইতে দোলাঙ্গুল সুমিত্রা পর্যন্ত ২৮ পুরুষে সূৰ্য্যবংশ সমাপ্ত হয় । অতএব নন্দিবৰ্দ্ধনের পরেই সোম, সূৰ্য্য, উভয়কূল নিৰ্ব্বাণ হইয়াছিল। নবনন্দ প্রভৃতি যে সকল রাজ তৎপরে প্রবল হন, তাহারা প্রায় সকলেই অন্ত্যজ। অন্ধ রাজারা তৈলঙ্গদেশ হইতে আসিয়া মগধ রাজ্য অধিকার করেন । তাহারা চোলবংশীয় ছিলেন এমত বোধ হয়। কেননা যে কালে মগধদেশে অন্ধধিকার ছিল, সেই সময়েই অন্ধ দেশে বারাঙ্গল নগরে চোলের রাজ্য করিতেছিলেন। চোলেরা আর্য্যবংশীয় কি না, ইহা স্থিরকর কঠিন; কিন্তু তাহদের আচার ব্যবহার ও সূৰ্য্যচন্দ্র বংশের সহিত সম্বন্ধাভাব দৃষ্টি করিয়া তাহাদিগকে অন্ত্যজ বলিয়া স্থির করা যায়। চোলের প্রথমে দ্রাবিড়দেশের কাঞ্চীনগরের রাজা ছিলেন ; ক্রমশঃ তাহার রাজ্য বিস্তার করিয়া গঙ্গাতীর পর্য্য স্ত্ৰ আসিয়ছিলেন । পরশুরাম যে কালে দক্ষিণদেশে বাস করেন, তৎকালে যে সকল ব্ৰাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় জাতি নুতন রূপে সংস্থাপন করেন, তাহদের মধ্যেই চেলদিগকে দেখিতে পাওয়া যায়। যাহা হউক, অন্ধংশের শেষ পৰ্য্যন্ত রাজাদিগের নাম পুরাণে লিখিত আছে । অপিচ ৪৩৫ খ্ৰীষ্টাব্দের পর ১,২০৬ খ্ৰীষ্টাব্দে মুসলমান রাজ্য সংস্থাপন পৰ্য্যন্ত ৭৭২ বৎসর ভারতবর্ষে কেছ সম্রাট ছিল না । ঐ সময়ে কোনেক খণ্ডরাজ্যে নানাজাতীয় রাজার রাজ্য করিয়াছিলেন । কান্যকুজ, কাশ্মীর, গুজ