পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(t , শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । তাহাতে ঋষিগণ বিশেষ অনুমোদনপূর্বক মানব ব্যবস্থাকে স্বীকার করেন । ঐ ব্যবস্থা তৎকালে লিখিত ছিল না ৷ কালক্রমে যখন ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়ের বিবাদ উপস্থিত হইল, তখন পরশুরামের সময় ঐ ব্যবস্থা প্রাপ্তপদ কোন ভাগবের দ্বারা শ্লোকরূপে পরিণত হইল। ঐ সময়ে বৈশ্য ও শূদ্রদিগের ব্যবস্থাও তাহাতে সংযোজিত হইল। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রায় ৬০০ বৎসর পরে পূর্বগত পরশুরামের পদস্থ অন্য কোন পরশুরামের সাহায্যে স্বর্তমান মানব গ্রন্থ রচিত হয় । শেষোক্ত পরশুরাম আৰ্য্যকুলোৎপন্ন হইয়াও দক্ষিণদেশে বাস করিতেন । ঐদেশে পরশুরামের একটা অব্দ চলিয়া আসিতেছে। ঐ অব্দটি খ্রীষ্টের ১,১৭৬ বৎসর পূর্বে স্থাপিত হয়। সেই অঙ্গ দৃষ্টে মান্যবর প্রসন্নকুমার ঠাকুর “বিবাদ-চিন্তামণি ” গ্রন্থের বিজ্ঞাপনে মানবশাস্ত্র অাদে ঐ সময়ে রচিত হওয়া স্থির করিয়াছেন । ইহা ভ্ৰমাত্মক, কেননা ছন্দোগ্য শ্রীতিতে মানবশাস্ত্রের উল্লেখ আছে”। বিশেষতঃ প্রথম পরশুরাম রামচন্দ্রের সমকালীন ব্যক্তি । তাহার সময়ে বর্ণব্যবস্থা যে স্থিরীকৃত হইয়া ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়ের সন্ধিস্থাপন হয়, ইহাতে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই । কিন্তু মনুতে আর্য্যাবর্তের চরম সীমা সমুদ্রদ্বয় বলিয়া বর্ণিত থাকায়, ও চিনা প্রভূতি মধ্যমকালের জাতি কতিপয়ের উল্লেখ থাকায়, ঐ শাস্ত্রের কলেবর পরে বৃদ্ধি হইয়াছিল এরূপ স্থির করিতে হইবে । অতএব মমুগ্ৰন্থ মনুর

  • মচর্বৈ যৎকিঞ্চিদবদত্তস্তুেষজম্ভেষজতায়াঃ । ছালোগ্যং ।