পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* > শ্ৰীকৃষ্ণসংfচ্চতা । করিয়া অগত্যা ব্রাহ্মণাধীন হইয়া পড়িলেন। যে সকল বৌদ্ধেরা এরূপ কার্য্যে ঘৃণাবোধ করিলেন তাহারা বুদ্ধদেবের চিন্তু সমুদায় লইয়া হয় সিংহলদ্বীপে, নয় ব্রহ্মরাজ্যে পলায়ন করিলেন । বুদ্ধাবতারের দন্ত লইয়া ঐ সময়ে বুদ্ধপণ্ডিতেরা শ্ৰীপুরুষোত্তম হইতে সিংহলদেশে গমন করেন। তাহাদের পরিত্যক্ত বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও সঙ্গরূপ ত্রিমূৰ্ত্তি তৎপরে শ্ৰীজগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রারূপে পরিচিত হন । পঞ্চম শতাবিদতে ফাহিয়ান নামক চীনদেশীয় পণ্ডিত পুরুষোত্তম ক্ষেত্র দর্শন করিয়া অত্যন্ত আহলাদের সহিত লিখিয়াছিলেন, যে ঐ স্থলে বৌদ্ধধৰ্ম্ম অদূষিতরুপে ছিল এবং ব্রাহ্মণদিগের কোন দৌরাত্ম্য নাই। তৎপরে পূৰ্ব্বোক্ত ঘটনার পর সপ্তম শতাব্দিতে হুয়েনসাং-নামক দ্বিতীয় চানপণ্ডিত পুরুষোত্তমে আসিয়া লিখিয়াছিলেন, যে বুদ্ধ দন্ত সিংহলে নীত হইয়াছে, এবং ব্রাহ্মণগণ কর্তৃক ঐ তীর্থ সম্পূর্ণরূপে দূষিত হইয়াছে। এই সকল ঘটনা ও বৃত্তান্ত আলোচনা করিলে শঙ্করের কার্য্য সকল বিস্ময়জনক হয়। বৌদ্ধনাম দূরীভূত করিয়া শঙ্করাচার্য্য ভারতের কিয়ৎ পরিমাণে সাংসারিক উপকার করিয়াছেন ; যেহেতু পুরাতন আর্য্যসমাজ ক্রমশঃ হ্রাস হইতেছিল, তাহা নিবৃত্ত হইল । বিশেষতঃ আৰ্য্যগ্রন্থ মধ্যে বিচারপদ্ধতি প্রবেশ করাইয়৷ আর্য্যদিগের মনের গতির পরিবর্তন করিয়াছিলেন ; এমত কি তাহার প্রদত্ত বেগ দ্বারা আর্য্যদিগের বুদ্ধি নূতন নূতন বিসয় বিচারে সমর্থ হইয়া উঠিল। শঙ্করের তর্কস্রোতে