শ্ৰীগৌর উপদেশামৃত । ܣ* না। অথচ তাহার জন্য শোচনাও করেন না-শ্ৰীভগবানের পদারবিন্দে মনমধুপকে গাঢ় সন্নিবিষ্ট রাখিয়া নিত্য প্ৰসন্ন, তিনিই প্ৰকৃত ভক্তপদবাচ্য। سسسسR['&filة ব্ৰহ্মভুতঃ প্ৰসন্নাত্মাঃ ন শোচতি ন কাজক্ষতি। সমঃ সৰ্ব্বেষু ভুতেষু মদ্ভক্তি লভতে পরাং ॥ কৃষ্ণবহির্মুখতাই জীবের প্রকৃত দরিদ্রতা। অন্ন বস্ত্রের অভাবকে প্রকৃত দরিদ্রতা বলা যায় না। কারণ, চৰ্ব্ব্য, চুষ্য, লেহ, পেয় চতুৰ্ব্বিধ আহাৰ্য্য দ্বারাও ক্ষুন্নিবৃত্তি হইতে পারে এবং শাকান্ন দ্বারাও ক্ষুন্নিবৃত্তি হইতে পারে। বহুমূল্য ক্ষৌমবস্ত্র পরিধানেও লজ্জা নিবারণ হয়, আবার বৃক্ষবন্ধলেও সে উদ্দেশ্য সাধিত হইতে পারে। সুতরাং দুল্লভ ভক্তিধনে মহাধনী ভক্ত তুচ্ছ বিষয়-সুখের আকাজক্ষা করিবেন কেন ? তাহারা সুখ-দুঃখকে সমান জ্ঞান করিয়া থাকেন। জীব অজ্ঞানত বশতঃ আত্মার কৰ্ম্ম স্থূলদেহে আরোপিত করিয়াই তো আপনাকে সুখী দুঃখী অনুভব করে। পঞ্চভূতাত্মার্ক দেহপিণ্ডটা যখন নশ্বর মিথ্যা, তখন এই দেহসম্বন্ধীয় সুখ দুঃখ ও মিথ্যা বুঝিতে হইবে। যাহাতে একের দুঃখ, তাহাতে আপরের সুখ হয়। ফলতঃ যাহার যাহাতে প্ৰবৃত্তি, তাহার তাহাতেই সুখ । আবার এই সুখ দুঃখ ও অভ্যাস হেতু মূলক। অতএব সুখ দুঃখানুভব কেবল অজ্ঞানত প্ৰকাশ মাত্র। এইজন্যই কৃষ্ণভক্ত সাধুগণ তুচ্ছ অল্প-বস্ত্রের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন না । কৰ্ম্মময় সংসারে জীব কৰ্ম্ম করিতে একান্ত বাধ্য বলিয়া কোন একটা সামান্ত কৰ্ম্মসুত্রে ধরিয়া নিষ্কামভাবে কালাতিপাত করেন, অথচ ধন্যবানের উপাসনা করেন না। তঁহার কেনই বা করিবেন ?-- চৗরাণি কিং পথি ন সন্তি দিশান্তি ভিক্ষাং নৈব্যক্তিত্ত্ব, পাঃ পরভৃতঃ সরিতোইপ্যশুষ্যনী। রুদ্ধ গুহাঃ কিমজিতোহব্বতি নেপসন্নান কস্মাদ ভজন্তি কবিয়ো ধনদুৰ্ম্মদান্ধিান ৷ শ্ৰীভাগবত । শীতাত্ৰাণের জন্য বস্তুখণ্ড, দুৰ্ব্বার জঠরানাল নিবারণের জন্য অন্ন, পিপাসার্থ জল ও শিলাবর্ষণাদি হইতে পরিত্রাণের জন্য বাসস্থান, এ সমস্ত বিনা প্রার্থনায় পাওয়া যায় মা সত্য, তথাপি ইহার নিমিত্ত ধানমদান্ধি ব্যক্তিদিগের সেবার প্রয়োজন কি ? পথে কি জীৰ্ণবস্ত্ৰখণ্ড পড়িয়া থাকে না ? বৃক্ষসকল কি