পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ミや জৈবধৰ্ম্ম [ সপ্তম জীব যে নিত্য কৃষ্ণদাস, তাহা ভুগিয়া মায়িক শরীর আশ্রয় করত: মায়ার গুণে জড়বস্তুতে সুপ-দুঃখ ভোগ কবিতেছেন। আপন কৰ্ম্মফল-ভোগ-জন্ত জন্মজরামরণ-মালা গলায় পরিয়াছেন। কখন উচ্চ, কখন নীচ যোনিতে জন্মগ্রহণ করিয়া নূতন নুতন অভিমানে নানা অবস্থায় নীত হইতেছেন। ক্ষণভঙ্গুল শরীরে ক্ষুৎপিপাসাদি দ্বারা কার্য্যে চালিত হইতেছেন। সংসারে দ্রব্যেব অভাবে নানাপ্রকার কষ্ট্রে পড়িতেছেন । নানাবিধপীড়া আসিয। শরীরকে জর্জবিত করিতেছে। গৃহে স্ত্রী-পুত্রের সহিত কলহ করিয়া কখন কখন আত্মহত্যা পর্য্যস্ত স্বাকার করিতেছেন। অর্থলোভে কতপ্রকার পাপাচরণ করিতেছেন। বাজদণ্ড, লোকের নিকট অপমান ও নানাবিধ কঙ্কিশ ভোগ করিতেছেন । আত্মীয়-বিয়োগ, ধননাশ, তস্কর দ্বারা অপহরণ হত্যাদি নানাবিধ দুঃখের কারণ সৰ্ব্বদাই ঘটিতেছে। বৃদ্ধ হইলে আত্মীয়গণ যত্ন করে না, তাহাতে কতই দুঃখ হয়। শ্লেষ্মা পীড়া, বাত, প্যথা ইত্যাদ দ্বারা বৃদ্ধ শরীর কেবল দুঃখের কাবণ হয় । মরণ হইলে পুনরায় জঠর-যন্ত্রণা উপস্থিত প্ৰয় । তথাপি শরীর থাকা পৰ্য্যস্থ কম, ক্রোধ, লোভ, মোঙ্গ, মদ, মাৎসৰ্য্য ইহাক। প্রবল হইয়ু বিবেককে স্থান দেয় না। ইহাই সংসার। আমি এখন সংসাল শব্দের অর্থ বুঝিলাম । আমি বাবাজী মহাশয়দিগকে বারংবার দণ্ডবৎপ্রণাম করি। বৈষ্ণবই জগতের গুরু । আজ বৈষ্ণব-রূপায় আমি এই সংসারজ্ঞান লাভ করিপ্লাম । অনস্তদাস বাবাজী মহাশয়ের সাধু উপদেশ প্রবণ করিয়া তত্ৰত্য আর সমস্ত বৈষ্ণবগণ সাধুবাদ ও হরিধ্ব ন করিলেন। ক্রমশঃ অনেক বৈঞ্চব তথায় উপস্থিত হইলে, লাহিড়ী মহাশয়ের মিজকৃত এই পদটা গীত চাইতে লাগিল । "এ ঘোর সংসারে, পড়িয়া মানব না পায় দুঃখের শেষ । সাধুসঙ্গ করি, হরি ভজে যদি, তবে অন্ত হয় ক্লেশ ॥