পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ፃ8 · জৈবধৰ্ম্ম [ দশম একটা লটখটিতে ফেলিবে ; এ বিপদ দূর করাই ভাল। এই মনে করিযী স্থায়রত্ন মহাশয় বলিলেন,—ঙ্গরিহর, আজ আবাব এ কি প্রকার প্রশ্ন ? তুমি মুক্তিপাদ' পৰ্য্যস্ত পড়িয়াছ ; দেখ, হায়শাস্ত্রে বৈষ্ণবধৰ্ম্মের কোন কথাই নাই। তবে আমাকে কেন ঐ প্রশ্ন করিযা বিব্রত কর ? হরিহর বলিলেন,—ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়, আমি পুরুষানুক্রমে বৈষ্ণবমন্ত্রে দীক্ষিত ; কখনই বৈষ্ণবধৰ্ম্মসম্বন্ধে আমার কোন সন্দেহ ছিল না। আপনি বিক্রমপুরের তর্কচূড়ামণিকে জানেন ; তিনি আজকাল বৈষ্ণবধৰ্ম্মকে নিৰ্ম্মল করিবার অভিপ্রাযে দেশ-বিদেশে বিরুদ্ধ শিক্ষা দিয়া অনেক অর্থ উপার্জন করিতেছেন । কোন শাক্তপ্রধান সভায় তিনি বলিয়াছেন যে, বৈষ্ণবধৰ্ম্মট নিতান্ত আধুনিক, ইঙ্গতে কোন সার নাই, নীচজাতীয় লোকেরাষ্ট বৈষ্ণব হয—উচ্চজাতীয় লোকেবা বৈষ্ণবধৰ্ম্মকে আদর করে না । সেরূপ পণ্ডিতলোকের এইরূপ সিদ্ধাস্ত শুনিয়া প্রথমে আমার মনে একটু বেদনা হইয়াছিল ; পরে নিজে নিজে চিন্তা কবিয়া দেখিলাম যে, বঙ্গভূমিতে প্ৰভু চৈতন্তদেবের আসিবার পূৰ্ব্বে কোনস্থলেই বৈষ্ণবধৰ্ম্ম ছিল না ; প্রায় সকলেই শক্তিমন্ত্রে উপাসনা করিতেন। আমাদের মত কতকগুলি বৈষ্ণবমন্ত্রের উপাসক ছিল বটে, কিন্তু সকলেই চরমে ব্ৰহ্মতত্ত্বকে লক্ষ্য করিত এবং মুক্তির জন্ত বিশেষ ব্যস্ত থাকিত । সেরূপ বৈষ্ণবধৰ্ম্মে পঞ্চোপাসকদিগের সকলেরই সন্মতি ছিল। কিন্তু প্রভু চৈতন্তদেবের পর বৈষ্ণবধর্শ্ব একটা নুতন আকার লাভ করিয়াছে। বৈষ্ণবেরা “মুক্তি’ ও ‘ব্ৰহ্ম’ এই দুইটী নাম শুনিতে পারেন না— ভক্তিকে যে কি বুঝিয়াছেন, তাহা বলিতে পারি না । ‘কাণা-গরুর ভিন্ন গেট” ইছাই এখনকার বৈষ্ণবদের ভিতর দেখিতেছি । আমার প্রশ্ন এই যে, এরূপ বৈষ্ণবধৰ্ম্ম পূৰ্ব্ব হইতে আসিতেছে, ন চৈতgদেবের সময় কইতে উদিত হইয়াছে ?