পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৬ জৈবধৰ্ম্ম [ দশম কয়েকট বৈঞ্চব বসিয়াছে, তাতারা আজকাল পৃথিবীকে সরার মত দেখিতেছে ; তাহাদের মধ্যে দুই তিনটা ভালরকম পণ্ডিত আছে, তাহাদের উৎপাতেই দেশটা উচ্ছন্ন গেল—বর্ণধৰ্ম্ম, নিত্যমায়াবাদ, দেবদেবীর পূজা, সমস্তই লোপ করিতেছে। দেখ, আজকাল আর শ্রাদ্ধশান্তি অধিক হয় না ; অধ্যাপকদিগের কিরূপে চলে ? হরিহর বলিলেন,—ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়, টঙ্গার কি প্রতিকার নাই ? এখনও মায়াপুরে পাচ সাত জন বড় বড় ব্রাহ্মণ পণ্ডিত আছেন। অপব পারে কুলিয়া গ্রামে অনেকগুলি স্মাৰ্ত্ত ও নৈয়ায়িক আছেন। সকলে মিলিয়া গাদিগাছ আক্রমণ করিলে কি হয় না ? ন্তায়রত্ন বলিলেন,—ই, তাহা হষ্টতে পারে যদি ব্রাহ্মণপণ্ডিতদিগেব মধ্যে ঐক্য হয়। ব্রাহ্মণপণ্ডিতগণ ব্যবসায়ের ছলে পরস্পর হিংসা করিয়া থাকেন। শুনিয়াছি, কয়েকটা পণ্ডিত কৃষ্ণচূড়ামণিকে লইয গাদিগাছায় বিচাব উত্থাপন করিয়াছিলেন, পরাজিত হইয়া আপন আপন টোলে বসিয়া যাহ। কিছু বলিতে হয়, তাঙ্গাই বলিতেছেন। হরিহর বলিলেন,—ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়, আপনি আমাদের অধ্যাপক এবং অনেক অধ্যাপকের অধ্যাপক । আপনার কৃত দ্যায়টীকা দেখিয়। অনেকে ফাকি শিক্ষা করেন। আপনি গিয়া একবার বৈষ্ণবপণ্ডিতদিগকে পরাজয় করুন। বৈষ্ণবধৰ্ম্ম যে আধুনিক, ও বেদসম্মত নয়, ইহাই স্থাপন করুন। তাহা হইলে আমাদের পূর্বসম্মত পঞ্চোপাসন বজায় থাকে । চতুভূজ দ্যায়রত্বের মনে একটু ভয় আছে। কৃষ্ণচূড়ামণি প্রভৃতি যেখানে পরাজয় লাভ করিয়াছেন, সেখানে গেলে পাছে সেই দশা হইয়া পড়ে। তিনি বললেন-হরিহর, আমি ছদ্মবেশে যাইব, তুমি অধ্যাপক হইয়া গাদিগাছায় তর্কামল উদ্দীপ্ত কর। হরিহর বলিলেন,—