পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম ও সম্বন্ধাভিধেয়প্রয়োজন ఇb’న আলোচনা করিলে ইহা প্রতীত হইবে । বিশেষ অপরাধে সেরূপ গতি হয় এবং কৃষ্ণকৃপাক্রমেই তাহা হইতে পুনরুদ্ধার হয়। ব্র । সমুচিত-চেতন কাহারা ? বা । পশু, পক্ষী, সরীস্বপ, মৎস্তাদি, জলচর, কীট-পতঙ্গ—ইহার সস্কুচিত-চেতন । আচ্ছাদিত চেতনের চেতনত্ব-পরিচয়ের প্রায়ই উপলব্ধি হয় না ; সস্কুচিত-চেতনের কিয়ৎপরিমাণে চেতনত্ব আছে—আহার, নিদ্রা, ভয়, ইচ্ছাপূৰ্ব্বক গমনাগমন, নিজের স্বত্ববোধে পরের সহিত বিবাদ, অন্যায় দেখিলে ক্রোধ—এ সকল সস্কুচিত-চেতনে পাওয়া যায় ; ইহাদের পবলোকজ্ঞান হয় না। বানরের দুষ্টবুদ্ধিতে স্বল্প পরিমাণে বিজ্ঞান-বিচারও আছে ; পরে কি হইবে, ন হইবে—এ সকল বিষয়ও তাহারা ভাবনা করে, কৃতজ্ঞতাদি-চিহ্ন ও তাহাদের মধ্যে দেখা যায় । দ্রব্যগুণজ্ঞানও কোন কোন জন্তুব বেশ আছে ; কিন্তু ঈশ্বরকে তাহারা অনুসন্ধান করে না, অতএব চেতন ধৰ্ম্ম তাহাদের সঙ্কুচিত । ভক্ত ভরতের মুগশরীর-প্রাপ্তিসত্ত্বে ও ভগবন্নাম-জ্ঞান-থাকা শাস্ত্রে লিখিত আছে, তাহা বিশেষস্থল—সাধারণ বিধি নয় ; অপরাধক্রমেই ভরতের ও নৃগরাজের পশুত্ব-প্রাপ্তি ; ভগবৎকৃপায় অপরাধ-ক্ষয় হইলে পুনরায় সদগতি হইয়াছিল। ব্র । মুকুলিত-চেতন কাহারা ? বা । নরদেহে বদ্ধজীবের তিনটী অবস্থা লক্ষিত হয়—মুকুলিত-চেতন, বিকচিত চেতন ও পূর্ণবিকচিত-চেতনাবস্থা। মানবগণকে পাচ প্রকারে বিভাগ করা যাইতে পারে—“নীতিশূন্ত মানব, ‘নিরীশ্বর-নৈতিক’ মানব, “সেশ্বর-নৈতিক’ মানল, “সাধনভক্ত' মানব ও ‘ভাবভক্ত’ মানব । যে সব মানব অজ্ঞানক্রমে বা জ্ঞান-বিকারক্রমে নিরীশ্বর, তাহারা হয় নীতিশূন্ত, নয় নিরীশ্বরনৈতিক মানব ; নীতির সহিতৃ একটু ঈশ্বর-বিশ্বাস উপস্থিত হইলে সেশ্বর-নৈতিক হয়, শাস্ত্রবিধিক্রেমে সাধনভক্তিতে যাহাদের মতি છે જે