পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] জীবের নিত্য ও নৈমিত্তিক ধৰ্ম্ম 영 কখখটকে শীঘ্ৰ নিস্তব্ধ কর, নতুবা আমার রাধাগোবিনের মুখনিদ্রা ভঙ্গ হইলে সখী ললিতা দুঃখ পাইবেন এবং আমাকে ভৎসনা করিবেন। ঐ দেখ অনঙ্গমঞ্জরী তদ্বিষয়ে ইঙ্গিত করিতেছেন। তুমি'রমণমঞ্জরী, তোমার এই নিদিষ্ট সেবা। তুমি তাহাতে যত্নবতী হও । বলিতে বলিতে পরমহংস বাবাজী অচেতন হইলেন। সন্ন্যাসী ঠাকুর স্বীয় সিদ্ধ দেহ ও পরিচয় জানিয়া সেই হইতে সেই সেবায় নিযুক্ত হইলেন। ক্রমশঃ প্রাতঃকাল হইল'। পূৰ্ব্বদিকে উষা আসিয়া শোভা বিস্তার করিতে লাগিল। পক্ষিগণ চারিদিকে আপন আপন গান করিতে লাগিল । মন্দ মন্দ সমীরণ বহিতে লাগিল। আলোক প্রবেশ সময়ে প্রছন্নকুঞ্জের মাধবীমণ্ডপের যে অপূৰ্ব্ব শোভা হইল তাহ বর্ণনাতীত । পরমহংস বাবাজী কদলীবন্ধলাসনে উপবিষ্ট হইয়া আছেন। বাহাদুৰ্বি ক্রমে ক্রমে হইতেছে । নামমালা করিতে লাগিলেন। সেই অবসরে সন্ন্যাসীঠাকুর বাবাজীর পদতলে সাষ্টাঙ্গ হইয়া দণ্ডবৎপ্রণাম করত: সমীপে বিনীতভাবে উপবেশনপূর্বক করযোড়ে কহিতে লাগিলেন— “প্রভো ! এই দীনজন একটী প্রশ্ন করিতেছে । উত্তর দান করিয়া তাহার প্রাণ শীতল করুন । ব্ৰহ্মজ্ঞানানলে দগ্ধহৃদয়ে ব্রজরসের সঞ্চার করুন" । বাবাজী কহিলেন, “আপনি যোগ্যপাত্র। আপনি যে প্রশ্ন করিবেন, আমি যথাসাধ্য উত্তর করিব, - সন্ন্যাসী কহিলেন “প্রভো ! আমি অনেক দিন হইতে ধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠা শুনিয়া ধৰ্ম্ম কি? তাহ অনেক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করিয়াছি । দুঃখের বিষয় যে র্তাহারা তদুত্তরে যাহা যাহা বলিয়াছেন, সে সমস্ত পরস্পর অনৈক্য । অতএব আমাকে বলুন ‘জীবের ধৰ্ম্ম কি ?’ এবং পৃথক পৃথক শিক্ষকেরা কেনই বা পৃথক পৃথক্ উপদেশকে ধৰ্ম্ম বলিয়া বলেন । ধৰ্ম্ম যদি এক হয়