পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম ও সম্বন্ধাভিধেয়প্রয়োজন 8ՀՓ: “বৈষ্ণবাভাস’ এই সকল শব্দ অনুক্ষণ ব্যবহার করেন। সৰ্ব্বপ্রকার আভাসই 'প্রতিবিম্ব’ ও ‘ছায়া-ভেদে দুই প্রকার। • বিজয় । ভক্ত্যাভাস, ভাবাভাস, নামাভাস ও বৈষ্ণবাভাস—এই সকলের পরম্পর সম্বন্ধ কি ? বাবাজী। বৈষ্ণব হরিনাম আলোচন করেন ; তিনি যখন ভক্ত্যভাসের সহিত নামালোচনা করেন, তখন তাহার আলোচিত নাম “নামাভাস”—তিনি স্বয়ং বৈষ্ণবাভাস’মাত্র। ভাব ও ভক্তি—একই বস্তু, কেবল সঙ্কোচ-বিকোচাবস্থান্ধয়-ভেদে পৃথক্ নামে পরিচিত। বিজয় । কোন অবস্থায় জীব ‘বৈষ্ণবাভাস’ হন ? বাবাজী । শ্ৰীভাগবতে ১১২।৪৭ বলিয়াছেন— “আর্চায়ামেব হরয়ে যঃ পূজাং শ্রদ্ধয়েহতে । ন তদ্ভক্তেষু চান্তেষু স ভক্ত: প্রাকৃত: স্বত: ॥” (১) এই শ্লোকে যে শ্রদ্ধা-শব্দ আছে, তাহ৷ ‘শ্রদ্ধাভাস মাত্র ; কেননা, ভগবদ্ভক্তকে পরিত্যাগপূর্বক কৃষ্ণপূজায় যে শ্রদ্ধা, তাহা প্রকৃত শ্রদ্ধার ছায়। বা প্রতিবিম্ব—তাহা কেবল পরম্পরাগত লৌকিক শ্রদ্ধা মাত্র, অনন্তভক্তিতে যে অপ্রাকৃত শ্রদ্ধা তাহা নয় ; সেই ভক্তাভাসের শ্রদ্ধা ও পূজা প্রাকৃত, অতএব তিনিও ‘প্রাকৃত ভক্ত’ বা ‘বৈষ্ণবাভাস । শ্ৰীমন্মহাপ্রভূ, হিরণ্য-গোৰ্বনকে বৈষ্ণবপ্রায় বলিয়াছিলেন। বৈষ্ণবপ্রায় পরে অর্থ এই যে, প্রকৃত বৈষ্ণবের ন্তায় মালামুদ্রাদি-ধারণপূর্বক ‘নমোভাস’ করিয়া থাকেন, কিন্তু প্রকৃত বা ‘শুদ্ধবৈষ্ণব’ নন। বিজয় । মায়াবাদিগণ যদি বৈষ্ণবমুদ্রা ধারণপূর্বক নাম উচ্চারণ করেন, তবে তাহাদিগকে কি “বৈষ্ণবাভাস’ বলা যাইবে ? বাবাজী। না, তাহাদিগকে বৈষ্ণবাভাস’ও বলা যাইবে না ; তাহারা (১) ১৩২ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।