পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] রসবিচার 8(t(t ব্ৰজনাথ। পরার্থ রতি কিরূপ ? গোস্বামী । যে রতি স্বয়ং সন্ধু চতভাবে আবরুদ্ধ ও বিরুদ্ধ ভাবকে গ্রহণ করে, তাহ পরার্থী-মুখ্যরতি। আর একপ্রকার মুখ্যতর বিভাগ আছে। ব্ৰজনাথ । সে কিরূপ বলুন ? গোস্বামী । মুখ্যরতি শুদ্ধ, দান্ত, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর—এই পঞ্চভাগে বিভক্ত হয । যেরূপ প্রতিবিম্বিত স্থৰ্য্য স্ফটিকাদি পাত্রবিশেষে পার্থক্যবিশেষ লাভ করে, তদ্রুপ স্থায়িভাবের পাত্র-ভেদে বৈশিষ্ট্য লক্ষিত হয় । ব্ৰজনাথ । শুদ্ধরতি ব্যাখ্যা করুন। t গোস্বামী। শুদ্ধরতি সামান্ত, স্বচ্ছ ও শাস্ত-ভেদে তিন প্রকাৰ । সামান্তবতি সাধারণ জনের এবং কৃষ্ণের প্রতি বালিকাদিগের হইয়৷ থাকে। মুখ্যরতি নানাবিধ ভক্তপ্রসঙ্গে এবং তাহদের সম্মত পৃথকৃ পৃথক সাধন হইতে স্ফটিকবৎ ধৰ্ম্মবশতঃ স্বচ্ছ-নাম লাভ করে। এইরূপ বতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ কৃষ্ণকে কখনও ‘প্রভু’ বলিয়া স্তব কবেন, কখনও *মিত্র’ বলিয়া পরিহাস করেন, কখনও ‘ভনয়’ বলিয়া প্রতিপালন করেন, কখনও ‘কান্ত’ বলিয়া উল্লাস লাভ করেন এবং কখনও ‘পরমাত্মা’ বলিয়া ভাবনা করেন। শাস্ত-রতি-লব্ধ পুরুষ সমগুণপ্রযুক্ত মনে যে নিৰ্ব্বিকল্পত্ত্ব স্থাপন করেন, তাহাই তাহার শাস্তরতি। এই শুদ্ধরতি কেবল ও সস্কুল-ভেদে ধিবিধা। ব্ৰজাতুগ রসাল ও শ্ৰীদামাদি পাত্রবিশেষে রত্য স্তরগন্ধশূন্ত হইয়া শুদ্ধরতি কেবল-নামে পরিচিত ; আর উদ্ধব, ভীম ও মুখরাদিতে রত্যস্তর-সম্মিলনে শুদ্ধরতি সন্ধুলা-নাম প্রাপ্ত । ব্ৰজনাথ । আমি পূৰ্ব্বে ভাবিয়াছিলাম যে, শুদ্ধরতি ব্ৰজামুগ ভক্তগণের নাই। এখন দেখিতেছি যে, শাস্তরতিও কিয়ৎপরিমাণে ব্ৰজে আছে। জড়ালঙ্কারগত রতিবিচারে শাস্তুধৰ্ম্মে রক্তিত্ব স্বীকৃত হয়