পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৬৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] লীলাপ্রবেশ-বিচার Wし〉○ আক্রমণ করে। এইরূপ কয়েক দিন কষ্টতে লাগিল। তিনি স্বয়ং কিছুতেই ভাবের উদয়, ক্রিয়া ও অন্তাকারে পরিণতি—এ সকলের নিয়ম করিতে না পারিযা আব এক দিবস সজলনেত্রে প্রভুর' পদে গিয়া পড়িলেন। বলিলেন,— প্রভো, আপনার অপার রূপায় সমস্ত অবগত তষ্টয়াও আমি আমার উপর প্রভূত করিতে পারিতেছি না এবং স্থিরভাবে কৃষ্ণলীলায় অবস্থিতি লাভ করতে পারিতেছি না। আমাকে যে সপ্তপদেশ দিতে হয়, তাহা এখন দিন’ । গোস্বামী তাঙ্গর ভাব দেখিয়া বড়ই আনন্দিত হইলেন, মনে মনে কবিলেন–রুষঃপ্রেম এমনই এক বস্তু যে, সুপকে দুঃখ করে এবং দু:থকে মুখ করে ; প্রকাশুরূপে বলিলেন যে, কুষ্ণলীলায় প্রবেশোপায অবলম্বন কব । বিজয় । প্রবেশেব উপায় কি ? গোস্বানী। শ্ৰীদাসগোস্বামী এই শ্লোকে প্রবেশের উপায় বলিয়াছেন। “ন ধৰ্ম্মং নাধৰ্ম্মং শ্রুতিগণনিরুক্তং কিল কুরু ব্রজে রাধাকৃষ্ণপ্রচুরপরিচর্য্যামিহ তনু । শচীস্থলুং নদীশ্বরপতিস্থতত্বে গুরুবরং মুকুন্দপ্রেষ্ঠত্বে স্মর পরমৎস্রং নমু মনঃ ” ( মনঃশিক্ষা, ২ ) ওহে, শাস্ত্রোক্ত ধম্মাধৰ্ম্ম বিচার লইয়া দিনপাত করিবে না, অর্থাৎ শাস্ত্রযুক্তি ত্যাগপূৰ্ব্বক স্বীয় লোভক্রমে রাগামুগা-ভক্তি সাধন কর ; ব্রজে রাধাকৃষ্ণের প্রচুর পরিচর্য্য কর; ব্রজরসের ভজন কব । যদি বল ব্রজরস ভজনের উদ্দেশ কে বলিবে ? তবে বলি, শুন—বৃন্দাবনের প্রকটান্তরধামরূপ শ্ৰীধাম নবদ্বীপে শচীগর্ভে যিনি উদিত হইয়াছিলেন, সেই প্রাণনাথ নিমানন্দকে সাক্ষাৎ নন্দীশ্বরপতির পুত্র বলিয়া জান—কৃষ্ণ হইতে কোন ক্রমেই র্তাহাকে তত্ত্বাস্তর মনে করিও না। নপদ্বীপে অবতীর্ণ হইয়া একট পৃথক ভজনলীলা দেখাইয়াছেন বলিয়া তাহাকে নবদ্বীপ-নাগর