পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-8ર জৈবধৰ্ম্ম [ তৃতীয় দাস বাবাজী একটি স্ত্রীলোকের সহিত প্রাঙ্গণে দাড়াইয়া কথোপকথন করিতেছেন। র্তাহাকে দেখিবামাত্র স্ত্রীলোকটী আদর্শন হইল । লাহিড়ী মহাশয়ের নিকট লজ্জিত হইয়। মাধবদাস নিস্তব্ধভাবে দাড়াইলেন। লাহিড়ী মঙাশয় কহিলেন,—বাবাজী এ কি ব্যাপার ? মাধবদাস সজলনয়নে কহিলেন,—আমার মাথা ! অাব কি বলিব ? হায় ! আমি কি ছিলাম, আবার কি চইলাম । পরমহংস বাবাজী মহাশয় আমাকে কত শ্রদ্ধা করিতেন ! এখন তাহার নিকট যাইতে অামার লজ্জা হয় । লাহিড়ী মহাশয় কহিলেন,—কথাটা স্পষ্ট করিয়া বলিলে আমরা বুঝিতে পারি। মাধবদাস বলিলেন,—যে স্ত্রীলোকটাকে দেখিলেন, উনি আমার পূৰ্ব্বাশ্রমে বিবাহিত পত্নী ছিলেন । আমি ভেকগ্রহণ করিলে উনি কিছুদিন পরে শ্ৰীপাট শান্তিপুবে আসিয়া গঙ্গাতীরে একখানি কুটার বাধিয়া বাস করিলেন । এইরূপ অনেকদিন গেল। আমি ঐপাট শাস্তিপুরে গিয়া গঙ্গাতীরে তাহাকে দেখিয়া কহিলাম,—তুমি কেন গৃহত্যাগ কৰিলে ? উনি আমাকে বুঝাইলেন যে, সংসার আর ভাল লাগে না, আপনার চরণসেবা হইতে বঞ্চিত হইয়া আমি তীর্থবাস করিতেছি, ভিক্ষ শিক্ষা করিয়া খাইব । আমি তাহাতে আর কিছু না বলিয়া শ্ৰীগোদ্রমে আসিলাম । উনি ক্রমে ক্রমে গোড়ক্রমে আসিয়া একটা সদেগাপের বাটীতে রহিলেন। প্রত্যহই কোন স্থানে না কোন স্থানে উহার সহিত দেখা হয়। আমি যত উহার হাত ছাড়াইতে ইচ্ছা করি, উনি ততই ঘনিষ্ঠতা করিতে লাগিলেন। উনি এখন একটা আশ্রম করিয়াছেন । অধিক রাত্রে আসিয়া অামার সৰ্ব্বনাশ করিবার যত্ন করেন। আমার অযশ সৰ্ব্বত্র ঘোষিত হইতেছে । উহার