পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈবধৰ্ম্ম - [ পঞ্চম نمای \ জন্মিলেই স্বভাব পুনরায় উচ্চ হয় ও তদুদিত শাস্ত্রে শ্রদ্ধা হয়। শাস্ত্রকারেরা অভ্রান্ত পণ্ডিত ছিলেন । শাস্ত্র এরূপ গঠন করিয়াছেন যে, স্বীয় অধিকার নিষ্ঠাতেই ক্রমশঃ উচ্চ অধিকার জন্মে। পৃথক পৃথকৃ শাস্ত্রে এই জন্যই পৃথক পৃথক্ ব্যবস্থা। শাস্ত্রীয় শ্রদ্ধাই সমস্ত মঙ্গলের হেতু। শ্ৰীমদ্ভগবদগীতাশাস্ত্রই সকল প্রকার শাস্ত্রের মীমাংসা ; তাহাতে এই সিদ্ধাস্ত স্পষ্ট আছে । দে। আমি বাল্যকাল হইতে অনেক শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়াছি ; কিন্তু অদ্য আপনার কৃপায় একটা অপূৰ্ব্ব তাৎপৰ্য্য বোধ হইল । লা। শ্ৰীমদ্ভাগবতে লিখিত আছে— অণুভ্যশ্চ বৃহদ্ভাশ্চ শাস্ত্রেভা: কুশলে নরঃ । সৰ্ব্বতঃ সারমাদস্থাৎ পুষ্পেভ্য ইব ষটপদঃ ॥ (ভা ১১৮১০ ) ( ১ ) বাপু, আমি তোমাকে নাস্তিক বলিতাম। এখন আর কোন লোকের নিন্দ করি না । কেননা অধিকারনিষ্ঠাতে কোন নিন্দা নাই । সকলেই আপন আপন অধিকারে থাকিয়া কাৰ্য্য করেন। সময় হইলে ক্রমশঃ উন্নত হইবেন । তুমি তৰ্কশাস্ত্র ও কৰ্ম্মশাস্ত্রে পণ্ডিত আছ । অতএব তোমার অধিকারগত-বাক্যে তোমার দোষ নাই । দে। আমার যতদূর জানা ছিল, তাহাতে বোধ হইত যে, বৈষ্ণবসম্প্রদায়ে পণ্ডিত নাই। বৈষ্ণবগণ কেৰল শাস্ত্রের একাংশ দেখিয়া গোড়ামি করিয়া থাকেন। কিন্তু আপনি আজ যাহা বলিলেন, ইগতে বোধ হয় যে, বৈষ্ণবদিগের মধ্যে সারগ্রাহী লোক আছেন। আপনি কি ইদানীং কোন মহাত্মার নিকট শাস্ত্র অধ্যয়ন করিতেছেন ? লা। বাপু, আমাকে আজকাল গোড়া বৈষ্ণব বা যাহা বলিতে (১) ভ্রমর যেরূপ ফুলসমূহ হইতে মধু আহরণ করে, সারগ্রাহিব্যক্তিও তন্ত্রপ ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সকল শাস্ত্র হইত্তে সার গ্রহণ করিবেন। o