পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবগণের শক্তি। در ماه ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, শ্ৰীগৌরাঙ্গ অবতীর্ণ হইলে দেশে একটী ? তরঙ্গ উঠে। সেই তরঙ্গে আপামর সাধারণ সকলেই একটু উন্নতি লাভ করেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গের পূর্বে দুই একখানি বাঙ্গল গ্ৰন্থ হইয়াছিল। কিন্তু তাহার আবির্ভাবের পরে সহস্ৰ সহস্ৰ বাঙ্গল গ্ৰন্থ লিখিত হইল। পণ্ডিতদের মধ্যেওঁ হুলুস্কুল পড়িয়া গেল। সংস্কৃত গ্ৰন্থ এত লেখা হইল । যে, তাহার সংখ্যা করিয়া উঠা যায় না। শ্ৰীগৌরাঙ্গের দলবল নিজ * ... ...} ধৰ্ম্ম স্থাপনের নিমিত্ত নানা গ্ৰন্থ অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন। নানা' ' বিধ পণ্ডিতের সহিত তর্ক করিয়া তাঁহাদের ধৰ্ম্ম-শ্বাস্ত্রের যেখানে ষে # দুৰ্ব্বলতা দেখিলেন, তাহ সংশোধন করিতে লাগিলেন। এরূপ दशौंইয়ান, নবজীবন-প্ৰাপ্ত দলের সহিত নিৰ্জীব প্রাচীন মতাবলম্বী পণ্ডিতগণ কেন পরিবেন? কাজেই শাস্ত্ৰ-যুদ্ধে ও তর্ক যুদ্ধে বৈষ্ণবগণ প্রায় সৰ্ব্বস্থানেই জয়লাভ করিতে লাগিলেন। হরিরাম ও রামকৃষ্ণ জয়লাভ করিয়া সমাজে আবার পদস্থ হইলেন। ভক্তি-গ্রন্থের কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি।" এই ভক্তি-গ্রন্থের প্রধান তাৎপৰ্য্য ভক্তি-ধৰ্ম্ম স্থাপন,-তর্কের দ্বারা নয়, শাস্ত্র দ্বারা। প্রভুর ভক্তগণ মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত, তাহারা সমস্ত শাস্ত্ৰ নিংড়াইয়া ভক্তি ও শাস্ত্রের স্বষ্টি করিলেন। সেই সমস্ত গ্ৰন্থ লইয়া উহা প্রচার করিতে ঠাকুর মহাশয় প্রভৃতি গৌড়দেশে আগমন করেন। যে সকল পণ্ডিত । এ সমুদয় বিষয়ে কোন অনুসন্ধান করেন নাই, তাহারা এই মহা তেজিয়ান বৈষ্ণবগণের সঙ্গে পরিবেন কেন ? -- 15 ܕܬܛܛ ܛܓ) | - digitized at BRCin dia Gorm