পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীগৌর-বিষ্ণুপ্রিয়া-মুঠি গৈলা । * . নরোত্তম বিলাস গ্রন্থ বলেন যে, ঠাকুর মহাশয় স্বপ্নে দেখেন যে, তাহার ক্টোর্ন এক গৃহস্থ প্রজার গোলার মধ্যে এইরূপ মূৰ্ত্তি আছেন। এই স্বপ্নে দেখিয়া তিনি বহুতর লোক সমভিব্যাহারে বাইয়া সেই গোলা হইতে যুগল বিগ্ৰহ বাহিয়া করেন। কিন্তু প্রেমবিলাস বলেন, তিনি কারিকর । W© আনিয়া অষ্ট ধাতু দ্বারা সেই মূৰ্ত্তি প্ৰস্তুত করেন। আিম যাহার যে কাহিনী । বিশ্বাস করিতে ইচ্ছা হয়, তিনি তাহা করিবেন। আমার শেষেরটিই! বিশ্বাস করি। কারণ ঠাকুর মহাশয় যদি ধান্ত মধ্যে বিগ্ৰহ পাইতেন, তবে তাহাকে ঢোল বাজাইয়া লোক সমারোহ করিয়া আনিতেন না । তিনি গোপনেই আনিতেন, জঁাকজমক ইত্যাদি কিছুমাত্র জানিতেন না । সে যাহা হউক, সেই সঙ্গে শ্ৰীকৃষ্ণের এক মূৰ্ত্তি প্ৰস্তুত করাইলেন, এই ঠাকুরের নাম “বল্লভী কান্ত” । 。 。 এ দিকে ঠাকুর মহাশয়ের যশঃ ক্ৰমে প্রচার হইতে লাগিল । দিবানিশি ভঞ্জন করেন, আহার কেবল মাত্র অল্পের মণ্ড ও পরিত্যক্ত তরকারী। ইহার দ্বারাই তিনি জীৱন ধারণ করিতে লাগিলেন। বিষয় কথা কি গ্ৰাম্য কথা বলেন না, শুনেন না।" কথন ধ্যান, কখন স্মরণ, কখন লীলা আর কখন শিষ্যগণ লইয়া কীৰ্ত্তন করেন। একদিন কীৰ্ত্তন করিতে করিতে ভাবে বিভোর হইয়া নূতন একরূপ সুরে কীৰ্ত্তন করিলেন। সেরূপ কেহ কথন শুনে নাই। সেই কীৰ্ত্তন স্বেরূপ মূৰ্তন সেইরূপ মধুর। ইহা শুনিয়া তাহার সঙ্গীগণ একেবারে আনন্দ্রে উন্মত্ত হইলেন। “ঠাকুর মহাশয়ের কণ্ঠে যেন অমৃতের ধার” ( নিরোত্তম বিলাসে)। একে সুকণ্ঠ, তাহে হৃদয় দিবানিশি তরল, ঠাকুর মহাশয়ের সেই ক্ষুধাময় কীৰ্ত্তন শুনিবার জন্য অবৈষ্ণবগণও আসিতে লাগিলেন। সেই কীৰ্ত্তন শুনিয়া কি বৈষ্ণব কি অবৈষ্ণব সকলেই মোহিত । ལྷe , digitized at BRCin dia Gom