পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উড়িয়াউড়িয়া যতষত পক্ষিগণ । ব্রজের মধ্যেতে কৃষ্ণে করেন দশন ॥ নিশাতে না দেখি যেন করয়ে রোদন। উচ্চরব করি সবে করিল গমণ ॥ তন্ত্রস্থিত বস্ত পশুপক্ষিসবীকার। শ্ৰীকৃষ্ণেতে শ্রেষ্ঠ প্রেম দেখহ প্রচার ॥ গোদোহনাস্তরে নন্দ পুত্রের প্রণয়ে। করেন আগ্রহ বহু আকুল হৃদয়ে ॥ *ওহে তাত ! বনের ভ্রমণ করি দিনে । সৰ্ব্বতোভাবেতে শ্রাস্ত আছ অতি ক্ষীণে ॥ অগ্রজের সহ করি গৃহেতে গমন । দুইভাই কর স্বানদিক আচরণ ॥ গোর সম্ভীলন আমি করিব এথায়। তব মাতা শোক করি নিন্দিবে আমায় ॥ মানিয়া শপথ মম যাও ত ত্বরায় ।" ইত্যাদি করিলা বহু প্রযত্ন বিধায় । তাহে নাহি করি গোসবার সন্তালন । দুইভাই নিজগৃহে করিলা গমন ॥ তবে ত যশোদা দেবী রোহিণী-সংহতি। স্নেহে ক্ষরে স্তন্স আর লোণ-ধারণততি ॥ তাহে ধৌত অঙ্গ আর বস• %{হার। আগমন করিলেন অগ্ৰে শস্ত্রকার ॥ কৃষ্ণবলরাম দুইজনের তখন। করিলেন বহু প্রত্যঙ্গের শীরাজন ॥ আপনার কেশে পুত্রে করি নীয়াজন। অতি স্নেহে করিলেন চুম্বন লিঙ্গন। না জানেন—ঃখিবেন বক্ষের অস্তরে। কিম্বা শিরে, কিবা নিজ জঠর-ভিতরে ॥ প্রণয়ে আকুল চত্ত ঐনন্দনন্দন। করাইলা মোরে নীয় মাতার বন্দন ॥ মাতা দেখি আমাতে পুত্রের স্নেহভর। করিলা স্বপুত্রমত লালন বিস্তর ॥ ততঃক্ষণে সেইস্থানে যত গোপীগণ । একবারে আসিয়া মিলিলা হর্ষমন ॥ কেহকেহ আইলেন কোন ছল ধরি। কেহ লোকধৰ্ম্মাদির অপেক্ষা না করি । যশোদা রোহিণী দুইভাইর তখন । করিলেন আরম্ভ করাইতে স্বপন ॥ এত দেখি কহিতে লাগিলা ভগবান। ৰঞ্জৰীগণের রতিলম্পট বিধান-— ॥ ওগো মাতাদ্বয় গো! আমরা দুইভাই । ক্ষুধাতে পীড়িত অতি আছিয়ে এথাই ॥ জীবৃহভাগৰতামৃত ১৫৭ অল্পব্যঞ্জনাদি শীঘ্র করায়্যা সাধন । পিতারে আনাইয়া ভুঞ্জাই দুইজন ৷ এত শুনি কহে প্রিয় গোপাপঙ্কজিনী— । হে যশোদে ব্রজেশ্বরি ! হে দেবি রোহিণি ।। স্নান-করান হইতে বিরাম করিয়া। কর ভোজনসামগ্ৰী সম্পন্ন যাইয়া ॥ আমরা মুখেতে ইহাদিগেরে নিশ্চয় । করাষ্ট ত্বরায় স্নান—না কল্প সংশয় ॥ যশোদা কহেন—ষ্টে বালিকাসমুদায় । । অগ্রে করাইয়া স্নান জ্যেষ্টেরে ত্বরায় ॥ ভোজনার্থে নন্দে করাইতে আনয়ন। বলরামে ত্বরায় করষ্ট প্রস্থাপন ॥ তবে গোপকুমার—স্বরূপ নাম যার । শ্ৰীকৃষ্ণ-উক্তিতে নাম হুইল প্রচাব। কহেন—শুনহ দ্বিজ | ধশোদাবচন- । নিজপ্রিয় শুনি গোপী করি প্রশংসন। যশোদা রোহিণী গেহে প্রবিষ্ট হইলে । কতক গোপিকা রামনিকটেতে মিলে ॥ অতি শীঘ্র বলরামে করাইয়া স্নান । নন্দে ডাকিবারে করাহলেন প্রস্থান ॥ তবে ত গোপিকাসব বিচিত্র ভূষণ। কৃষ্ণ-অঙ্গ হৈতে ক্রমে করি উত্তারণ ॥ নিজনিজ উত্তরায়বসনে তখন ॥ শ্ৰীকৃষ্ণের গাত্রসব করিলা মার্জন । শ্ৰীকৃষ্ণের বংশ হল সপত্নীসমান। অধরামৃত সৰ্ব্বদা যাহে করে পান ॥ "মোরে দেহ মোরে দেহ সকলে চাহেন। হস্ত হৈতে কড়িবারে উদ্যতা হয়েন। fর্তহ সঙ্কেতে কহিল আমারে বচন ॥ পৃষ্ঠে আসি দূরে হস্ত করি প্রসারণ ॥ 'ফেলিয়ে মুরলী তুমি করই গ্রহণ । তবে মম মুক্ত হস্তে কৈলা নিক্ষেপণ ॥ পরে গোপী নিজহস্তকমল কোমলে। যাহাতে আছয়ে স্পশপটুতা বিমলে। মহারাজাদিক তৈল করাই মৰ্দ্দন । অল্পে-অল্পে আরম্ভ করিলা উদ্বত্তন ॥ তথাপি অঙ্গের স্বকুমারত-করণ । আর লীলাকৌতুকেতে নাগরেন্দ্ৰ-মন ৷ ব্যথা পায়া৷ শ্ৰীমুখের ভঙ্গির সহিত । করিলা শীৎকারধ্বনি তখন বিদিত ॥ যশোদা পুত্রৈক প্রাণী শুমি সেই ধ্বশি। শীঘ্ৰ গৃহে কৈতে আল্য বাহিরে তখনি ॥