পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকৃষ্ণ-প্ৰেমত্তরঙ্গিণী Se বলি ছলি ত্ৰৈলোক্যে স্থাপিলা পুরনার ॥ ধন্বন্তরিরূপ ধরি অমৃতমথনে । যার নামে সৰ্ব্বরোগ হরে সুরগণে ॥ ভৃগুপতি কামরূপ মুনির কুমার। নিক্ষত্রিয়া কৈলা পৃথী তিন সাত বার ॥ রাম অবতারে প্রভু রাবণ বধিলা। দেবের কুশল করি গীতা উদ্ধারিলা ॥ রামকৃষ্ণরূপে হই পূর্ণ অবতার। করিয়া অদ্ভুত কৰ্ম্ম খুইলা চমৎকার ॥ শ্রীরাগ। দুটা ভাই কানাঞি বলাই গোয়ালা ছাওয়ালের প্রাণধন | যমুনার কূলে কুলে চরায় গোধন ॥ ধ্রু ॥ বিষন্তন পান করি পূতনা বধিল । এক মাসে ( ১ ) পায়ে ঠেলি শকট ভাঙ্গিল । যমল অর্জুন দুই মহাতরুবর। ভাঙ্গিল উথলি ঠেলি প্রভু দামোদর। অঘ বক তৃণবৰ্ত্ত মারিল অমুর । কালিনাগ দমিঞা করিল অতি দূর ॥ দাবাগ্নি করিয়া পান প্ৰভু কুতুহলী । গোপ গোপী গোকুল রাখিলা বনমালী ৷ এ চৌদ্দ ভুবন প্ৰভু দেখাল্যা উদরে । মায়ে ভয় পায়্যা মনে মানিল ঈশ্বরে। নন্দকে হরিয়া নিল বরুণের চরে। আপনে উদ্ধার করি আনিল সত্ত্বরে ॥ গোপগণে দেখালা বৈকুণ্ঠ নিজ ধাম । যজ্ঞ ভাঙ্গি ইঞ্জের করিল অপমান ৷ সাতদিন গোবৰ্দ্ধন ধরি বামকরে। হরিয়া ইন্দ্রের দপ রাখিল গোকুলে ॥ দিব্য রাস রসময় রচি বনমালী। ব্ৰজবধু সমাঝে করিল রাসকেলি । প্ৰলম্ব ধেমুক কেশী অরিষ্ট অমুর। কুবলয়াপীড় গজ মুষ্টিক চাপুর। কংস কালযবন বধিয়া শিশুপাল। কাশীপুরী পোড়াইল মারিল শৃগাল ॥ (১) মূলে, "ত্রৈমাসিকস্ত পাঠ আছে। জরাসন্ধ আদি করি দুষ্ট নৃপবর । দস্তবক্র বিদুরথ দ্বিবিদ বানর ॥ শাস্ব সম্বর কুরু রুক্মী আদি করি। একে একে সকল মারিলা রাম হরি। করিয়া ভারত যুদ্ধ প্রভু যদুবর। পৃথিবীর ভার যত হরিলা সকল । বেদব্যাসরূপে তবে হই অবতার। ভারত পুরাণ বেদ করিল প্রচার ॥ করিয়া পাষণ্ড ধৰ্ম্ম বৌদ্ধ অবতারে। ( ২ ) অমুর মোহিব হরি দেব দামোদরে ॥ কল্কি-অবতারে স্লেচ্ছ করিয়া সংহার । অধৰ্ম্ম করিব নাশ সত্য পরচার ॥ এইরূপে কত কত অনন্ত মুরতি । কে জানে কিরূপে ধরে অনন্ত শকতি ॥ আমি যাখে না জানি না জানে মুনিগণ । হর আদি সুরে যার না জানে মরম ॥ দশ শত বদনে অনন্ত গুণ গায় । তবহু গুণের যার অন্ত নাহি পায় ॥ সে প্রভূচরণে যার একান্ত ভকতি । তবে তারে দয়া যদি করে প্রাণপতি ॥ সেই সে তরিতে পারে সে প্রভুর মায়া। স্বভক্ষ্য শরীর করি তার নহে দয়া । শবর চণ্ডাল হীন পাপজীবিগণে । যদি সেবা করে তার ভকত চরণে ॥ কৃষ্ণগুণ মহিমা বৈষ্ণবমুখে শুনে । সেই তরে দেবমায়। কি কহিব আনে। কহিনু তোমারে বৎস নারদ কুমার। কে জানে কষ্ণের গুণ মহিমা বিস্তার ॥ ভাগবত নাম এই তত্ত্ব উপদেশ । আপনে বাঢ়হ তুমি জানিয়া বিশেষ ॥ মুখে যেন তরে লোক এ ভব সংসার। হরিগুণ গায়া যেন ভবে হয় পার ॥ এই ভাগবত তুমি বাঢ়াহ যতনে। ভাগবত আচাৰ্য্য কহিল সাবধানে (২) অন্য পুথির ওঠে,= “বৌদ্ধরূপে প্রভু আর হৈব অবতারে।” ইতি শ্ৰীভাগবভে মহাপুরাণে দ্বিতীয় স্বন্ধে প্রেমতরঞ্জিণী প্রথমোহধ্যায়: ॥ ১ । &\b