পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিতীয় অধ্যায় / তবে রাজা পরীক্ষিৎ করিয়া বিনয় । শুকদেবচরণে পুছিলা মহাশয় ॥ নারদ কাহার তরে কৈলা উপদেশ । কে বাঢ়াইল ভাগবত জানিঞা বিশেষ ॥ কৃষ্ণকথা বিনে তুমি না কহিবে আন । কৃষ্ণের চরণে যেন রহে মন প্রাণ ॥ কৃষ্ণে মন প্রবেশিয়া ছাড়িমু জীবন। কহ হেন উপদেশ শুক তপোধন ॥ হেন শুনি নারায়ণ নাতি পদ্ম"পরে। ব্ৰহ্মা উৎপন্ন হৈলা ভুবন আধারে । তথা রছি চিরকাল ব্রহ্মা স্তুতি কৈল । দেখিতে না পায় রূপ ব্যাকুল হইল । হেন অদভূত কথা কহ মুনিবর। কল্প বিকল্প আর কহিবে সকল ॥ সত্ত্ব রজ তম আর ত্ৰিগুণ জনিত । কিরূপে জন্মিল বিশ্ব মায়াবিরচিত ৷ নদ নদী পাতাল সাগর দিগস্তর। ব্ৰহ্মাওমণ্ডল তত বাহ অত্যস্তর ॥ মহাজনচরিত্র ভকতগুণগাথা । একে একে কহ কৃষ্ণ অবতার কথা । চারি যুগ যুগধৰ্ম্ম যুগপরিমাণ । সকল জীবের ধৰ্ম্ম কহ গুণগ্রাম ৷ কৃষ্ণ আরাধন বিধি ভকতিলক্ষণ । যোগপথ ধৰ্ম্ম কহ মুকতি কারণ কিরূপে করয়ে প্রভু প্ৰলয় পালন । কিরূপে করয়ে স্বষ্টি দেব নারায়ণ ॥ এই সব কথা মোরে কহ মহাশয়। যেমতে ঘুচয়ে মোর চিত্তের সংশয় ॥ তোমার ৰচন হরিকথা স্বধাময় । শ্রবণে করিতে পান যুড়ায় হৃদয় ॥ সাত দিন উপবাস নাহি অবধানে । তৃপ্তি নাহি হয় হরিকথা রস পানে ॥ রাজার বচন শুনি মুনি ৰোগেশ্বর | সাধু সাধু বলি তারে দিলেন উত্তর। সেই ভাগবত নাম চারি বেদসার । যাহার প্রসাদে পায় জগৎ নিস্তার ॥ শুন শুন মহারাজ কহিব তোমারে। প্রভুর মহিমা কহি বুদ্ধি অনুসারে । বিহার করিতে হরি ইচ্ছিল যখনে । ৱস্থা উতপন্ন হৈলা নাতি পদ্ধ হ'নে। পঠমঞ্জরী রাগ। স্বষ্টি করিবারে ব্ৰহ্মা কৈলা অবধানে । না জানি কেমনে হৈব স্মৃষ্টি নিয়মাণে । ধ্যান করি ব্ৰহ্মা মনে চিস্তিতে লাগিলা । হেনকালে তপ তপ শবদ শুনিলা ॥ কোথা হৈতে উপজিল তপ তপ বাণী । দেখিতে না পাল্যা তাহ ব্ৰহ্মা পদ্মযোলি। তবে তপ কৈল দিব্য সহস্ৰ বৎসর । বৈকুণ্ঠ দেখাইলা তারে প্রভু স্বরেশ্বর ॥ বেলোয়ার রাগ । আজু রে প্রচান্দমুখ দরশন ভেল। জনমে জনমে সব দুঃখ দূরে গেল ॥ ঐ ॥ নাহি শোক মোহ যথা নাহি জরা ভয় । নাহি কালগতি যথা মায়াপরিচয় ॥ কোটি কোটি বৈসে বিষ্ণু-পারিষদগণ৷ শু্যাম কলেবর ধরে মুপীত বসন ॥ চতুভূজ মহাবাহু শঙ্খচক্ৰধারী। রাজীবলোচন তারা দিব্য বনমালী ॥ মহামণিময় দিব্য রতনভূষিত । মুকুট কুণ্ডল মণিগণ বিরাজিত ॥ তার মাঝে দেবদেব মহা রাজেখম । কমলা করয়ে পদসেবা নিরস্তর ॥ মহাধন মণিগণ ভূষণ ভূষিত। মুকুট কুণ্ডল মণিহার বিরাজিত । শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম শোভে চারি ভুজে । পীতবাস কঙ্কণ কেয়ুর সুবিরাজে ॥ আইনিধি চারি বেদ ধরিয়া মুরতি । তত্ত্বগণ রূপ ধরি করে লানা ভতি । এরূপ দেখিল ব্রহ্মা প্ৰভু জগন্নাথ । চরণপঙ্কজে কৈলা বহু দওপাত ॥ প্রেমভরে পুলকিত পূরিল অন্তর। প্রেম জলে পুরিল ব্ৰহ্মার কলেবর ॥ প্রেমে গদগদ ৰাণী বাহ নাহি জানে। শিরে কর যুড়িয়া রহিলা সেই মনে ॥ হাসিয়া উত্তর তবে দিলা চক্রপাণি । বর মাগ প্রজাপতি শুন তত্ত্ববাণী ॥ বড় দুঃখে তপ তুমি কৈলে চিরকালে । তুষ্ট হৈয়া দিব্যরূপ দেখাইলু তোরে । আমার এরূপ যার হয়ে দরশন । সেই ক্ষণে হয় ভববন্ধ বিমোচন।