পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰশ হয় না রহিল যতেক নৃপতি । ৰান্ধিয়া আনিল তারে করিয়া শকতি ॥ সে সব নৃপতিগণ তোমার কিঙ্কর। তার নিবেদন করি তোমার গোচর ॥ কৃষ্ণ কৃষ্ণ নিজজন-দুরিত-ভঞ্জন ॥ চরণারবিন্দে নাথ পশিলু শরণ । তবভীত আমি-সব অধম বঞ্চি৩ । তোমার পদারবিন্দে সকল বিদিত । তোমার অর্চন বিনে আর যত কৰ্ম্ম । সে সকল দীননাথ কেবল বিকৰ্ম্ম ॥ বিকৰ্ম্মে সকল লোক রত নিরস্তর । তোমার পদারবিন্দে বঞ্চিত সকল । কালরূপে কর তুমি সে সব সংহার। অনন্তশকতি তুমি অনস্তবিহার ॥ নমো নমো জগত-নিবাস হৃষীকেশ । নমো নমো কালরূপ দিব্য লর বেশ । খল নিবারণ হেতু ভকত-রক্ষ । অবতার কর নাথ এই লে কাণে । ষে তোমার আজ্ঞ নাথ না করে পালন । কোন গতি হৈব তার না জানি মরম । পরাধীন ৰূপমুখ স্বপন সমান । নিরবধি ভয় শোক লোভে আগেয়ান ॥ ভাথে অভিমান করি কেবল বঞ্চিত । আমি সব তোমার মায়ায় বিমোহিত। প্ৰপতবৎসল-শোকছঃ-পদদ্বন্দ্ব । ছিণ্ডিয়া উদ্ধার কর জরাসন্ধবন্ধ । জশ সহস্র ধরে মত্ত মাতঙ্গজ-বল । এক ক্রে শাসিল সকল ক্ষিতিভল । মহাবল জরাসদ্ধ জিনিএ সংসার । আম সভা বান্ধিয়া রাখিল দুরাচার ॥ অষ্টাদশবার তুমি জিনিলে সংগ্রাম। একবার যুদ্ধ জিনি করে অভিমান ॥ আমি-ল’ব তোমার কিঙ্কর হেন জানে । নিজ ঘরে বান্ধিয়া-রাথিল তে কারণে ॥ সকল বিদিত নাথ তোমার চরণে । বুঝিম্বা করিবে কৃপা যে উচিত মনে ॥ এইরূপে রাজদূত করে নিবেদন । ছেলকালে মিলিলা নারদ তপোধন ॥ স্বৰ্য্যসম তেজস্বী পিঙ্গল জটাভার। মৃণাল-ধৰল মুনি পরে বৃক্ষছাল ॥ হরিগুণকীৰ্ত্তন আননে গতি মন । দেখিয়া নারদ মুনি সভার আনন্দ ॥ শ্ৰীকৃষ্ণ-প্রেমতরঙ্গিণী ( విచి সভাসদে উঠিলা অখিল-লোকনাথ । শিরে পদ পরশিয়া কৈলা দণ্ডপাত ॥ পাদ্য অর্ঘ্য দিয়া মুনি পূজিল বিধানে । অতিথি-সম্ভাষা কৈল বিনয় বচনে ॥ আপনে করিয়া তুমি লোক-পৰ্য্যটন। জগতের দুঃখ শোক কর নিবারণ ॥ জগতে তোমায় কিছু নাহি অগোচর । পঞ্চপাণ্ডবের কহ কল্যাণ কুশল । প্রভূর বচন শুনি ব্ৰহ্মার নন্দন । হাসিয়া বলেন মুনি প্রভুর চরণ ॥ (১) হরি হরি বিষ্ণুমায়া বুঝলে না যায়। ব্ৰহ্মা ভব-আদি যার অস্ত নাহি পায় ॥ সৰ্ব্বশক্তি ধরে প্রভু সৰ্ব্বজীবে বৈসে । সমভাব ধরি হরি সর্বত্র প্রকাশে ॥ তমু যেন কিছুই না জানে হেন বলে । কে বুঝে কৃষ্ণের মায়া ভুবনমগুলে। কিন্তু রাজা যুধিষ্ঠির ধৰ্ম্ম-কলেবর। মহাযজ্ঞ করিব জিনিঞা ক্ষিতিতল ॥ যজ্ঞ করি করিব তোমার আরাধন । পূজিব তোমার অংশ যত দেবগণ ॥ সাৰ্ব্বভৌম নরপতি হৈব মহীপাল । জগতে তোমার যশ করিব বিস্তার ॥ আপনে চলিবে তুমি যজ্ঞ মহোৎসৰে । দেখিবে তোমারে আমি যত সব দেবে। রাজগণ আসিয়া দেখিব পাদপদ্ম । কপটে বিহর ভূমি ধরি নরছদ্ম ॥ পতিত চণ্ডাল হয় শ্রবণে পবিত্র । দেখিলে তরিব তাথে এ কোন বিচিত্র ॥ যার যশ ক্ষিতিতন্সে পাতালে আকাশে । দ্রবময়ী হয়্যা গঙ্গা জগতে প্রকাশে ॥ ভুবনপাবন যার পদনখজল । বুঝিয়া করিবে আজ্ঞা প্ৰভু যোগেশ্বর ॥ মুনির বচন শুনি সভাসদগণে । কহিতে লাগিলা যার যেন লয় মনে ॥ উদ্ধবের তরে •বে পুছিলা শ্ৰীহরি। কহ হে উদ্ভব তুমি কোন যুক্তি করি। কৃষ্ণের বচন শুনি উদ্ধৰ সুধীর । আজ্ঞা শিরে ধরি মনে যুক্তি কৈলা স্থির। ( ১ ) পাঠাগুর,— "----बक्रीब्र ऊनबू ! হাসিয়া কি ৰোলে মুনি মনে পাঞ ভয় ।