পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদি বল নিজ পর নাছিক আমার । তার কথা কহি নাথ চরণে তোমার ! পরিপূর্ণ ব্ৰহ্ম তুমি সৰ্ব্বজীৰে বৈল । সকলের আত্মা তুমি সৰ্ব্বত্র প্রকাশ । নজ পর ভেদ তুমি যদ্যপি না কর । তথাপি ভকতজনে অনুগ্রহ ধর । আশ্রিত ভরণ কর যেন কল্পতরু সেইরূপ প্ৰভু তুমি ত্রিজগৎ-গুরু । সেব-অনুরূপ কর ফলের উদয় । ইহাতে না কর আর কিছু বিপৰ্য্যয় ॥ রাজার বচন শুনি প্রভু গুণনিধি । কহিতে লাগিলা তবে সৰ্ব্বযঙ্গবিধি । শুন পাণ্ডুপুত্র তুমি ধৰ্ম্ম অবতার। ভুবন ভরিয়া যশ রহিব তোমার। শুভকালে কর তুমি যজ্ঞ-অহবন্ধ । দেব-ঋষি পিতৃগণ বাঢ়িব আনন্দ ॥ সভার সন্তোষ-হেতু আমার পারিতি। কিন্তু একখানি আছে কহি এ যুগতি । জগত করিয়া বশ নৃপগণ জিনি। সকল পূণীর ধন জড় করি আনি। তবে যজ্ঞ কর তুমি চিন্তা পরিহর । তাইগণে পাঠায়্য। জগত বশ কর । আপনে সাক্ষাতে আমি আছি বিদ্যমান। জগত জিনিবে তাথে কোন বস্তু জ্ঞান। যেন তেল করে যদি আমার আশ্রয়। ত্রিভুবনে তৰে তার পরাভব নয়। আছুক মহিষ দেবে না হয় সমান। সকল দেবের পূজ্য সভার প্রধান । প্রভুর বচন শুনি রাজা যুধিষ্ঠির । আনন্দে পুপ্রিল তযু পুলক শীর। ভ্রাতৃগণে পাঠাল্য জিনিতে ক্ষতিতল । কৃষ্ণ-তেজে তারা সব হৈল মহাবল ॥ সহদেবে দক্ষিণে পাঠইল সেন্স দিয়া , পশ্চিমে নকুল বীর চলিলা সাজিয়া । সৈন্ত সাজি ধনঞ্জয় চলিল উত্তরে ॥ পূৰ্ব্বদিকে বৃকোদর চলিলা সত্বরে। মৎস্ত-কেকয়ে সৈন্ত (১) করিয়া সাজল । চারিদিগে তুরিতে চলিল বীরগণ ॥ জিনিএ আনিল লঙে পুথিবীর ধন। দগদিগ জিনিএ আনিল বৃপগণ ॥ ( ১ ) পাঠান্তর,--"মৎস্ত কেকয় লৰ" | ঐকৃষ্ণ-প্ৰেমতরঙ্গিণী ¢ >ፃ সব সমৰ্পিল লঞা রাজার চরণে । জরাসন্ধ না জিনিলা শুনিলা শ্রবণে ॥ চিস্তিতে লাগিলা রাজা মনে পায়্যা ভয় । জরাসন্ধ না জিনিলে কোন যুক্তি হয়। বুঝিয়া রাজার মন কছে জগন্নাথ । উপায় করিব আমি না কর বিষাদ ॥ এতেক বচন তবে বুলিয়া শ্ৰীহরি। তিন জন মিলিয়া ব্রাহ্মণবেশ ধরি। ভীমাৰ্জ্জুনে লয়্যা প্ৰভু চলিলা আপনে। রাজগিরি পর্বতে উঠিলা তিন জনে। আতিথ্য-বেলায় গেল রাজার গোচর। মাঙ্গিয়া লইল ভিক্ষা তিন দ্বিজবর । ব্রাহ্ম -ভকত তুমি নৃপতি সত্তম। আমি সব ব্রাহ্মণ অতিথি উপসন্ন ॥ সন্ধ্যাকালে অতিথি না তেজে মতিমান । আমি সব যে মাগিব না করিবে আন ॥ ত্যাগশাল জনে কি না করে পরিত্যাগ । অসাধুর কি কি নহে মন্দ কৰ্ম্মে রাগ ॥ দানশীল জনে কি না করে দ্রব্য দান । সমদৃষ্টি জনের না দেখি পর-জ্ঞান। অনিত্য শরীরে ধেবা না সাধব নিত্য । সৰ্ব্বগুণযুক্ত যদি কেবল বঞ্চিত ॥ হরিশ্চন্দ্র রস্তিদেব রাজা শিবি বলি । ব্যাধ কপোত উছত্তি আদি করি। অধ্ৰুৰে সাজিয়া ধ্রুব এ সব চলিল । ভূবন ভরিয়া তাদের পুণ্য কীৰ্ত্তি হৈল। তবে রাজা জরাসন্ধ চিস্তে মনে মনে । এ সব ব্রাহ্মণ নহে বুঝিলু লক্ষণে ॥ তথাপি ব্রাহ্মণ-বেশ রহিল গোচরে । শিল্প যাদ চাহে তভু না হৈব কাতরে। (১) মায়ারে ব্রাহ্মণবেশ ধরি নারায়ণ । মাগিল বলির আগে কপটে বামন । জানিএpা ও বাস তার না কৈল খওনা । জগতে রহিল তার যশের ঘোষণা । গুরুত্ব বচন বলি করিয়া লঙ্ঘন । দান দিল যশে পুরাইল ত্রিভুবন। ভায়স্তে ন কৈল যে ব্রাহ্মণ-উপকার। জীয়স্তেহ মূল ব্যর্থ সকল তাহার। তবে জরাসন্ধ বলে শুনহে ব্ৰাহ্মণ । কি মাঞ্জিবে মাঙ্গ তাহ দিব এইক্ষণ ॥ (১) পাঠাস্তর,-"শিৰ যদি চাহে তবে দিতে কত বত্ব" ।