পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y8. শ্ৰীমদভগবদগীতা । মলিন অজ্ঞান ভাব-মানিত্ব, দস্তিত্ব, হিংসা, অক্ষান্তি, কুটিলতা প্রভৃতি, তাহা বিনষ্ট হইয়া যায়। তখন সেই নিৰ্ম্মল জ্ঞান স্বরূপ চিত্তে যাহা প্ৰকৃত বজ্ঞান, বা তাহার পরম জ্ঞেয়তত্ত্ব, তাহ প্ৰকাশিত হয় । তখন চিত্তে বাহা প্ৰকাশিত হয়, তাহাকে ভগবান পুর্বে ক্ষেত্ৰ-ক্ষেত্রজ্ঞ-জ্ঞান বলিয়াছেন। তাহাতে জ্ঞেয়রূপে পরম ব্ৰহ্মতত্ব, পুরুষপ্ৰকৃতিতত্ত্ব, জীব‘ঈশ্বরতত্ত্ব যে প্ৰকাশিত হয়-তাহাও জ্ঞান বলিয়া অভিহিত श्वांटछ। এইরূপে গীতা হইতে আমরা জ্ঞানের বিভিন্ন অর্থ বুঝিতে পারি উপনিষদ হইতেও জ্ঞানের এই বিভিন্ন অর্থ পাওয়া যায়। এ স্থলে তাহা উল্লেখের আবশ্যক নাই। কেবল এ স্থলে সাংখ্যদর্শনের কথা বলিব। সাংখ্যদর্শন অনুসারে পুরুষ “জ্ঞ”-স্বরূপ। তাহারই সংযোগে প্ৰকৃতির পরিণাম হইয়া বুদ্ধি-তত্ত্বের অভিব্যক্তি হয়। সুতরাং সাংখ্য-দর্শন অনুসারে “জ্ঞা”-স্বরূপ পুরুষের জ্ঞাম, বুদ্ধিতে অবিভক্ত জ্ঞান হইতে স্বতন্ত্র । সাত্বিক বুদ্ধির এক ভাব বা রূপ যে জ্ঞান, তাহার সম্বন্ধে সাংখ্য-দর্শনে যাহা উক্ত হইয়াছে, তাহা বুঝিতে হইবে । সাংখ্য-দর্শনে আছে, - “অধ্যবসায়ো বুদ্ধিধৰ্ম্মে জ্ঞানং বিয়াগ ঐশ্বৰ্য্যম। সাত্ত্বিকং এতদ্রপং তামসং অস্মাৎ বিপৰ্য্যস্তম৷ (কারিকা,২৩) । সাংখ্য-দর্শনমতে এই বুদ্ধি ত্ৰিবিধ :-সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক, } সাত্বিক বুদ্ধির রূপ ধৰ্ম্ম, জ্ঞান, বৈরাগ্য ও ঐশ্বৰ্য্য। তামসিক বুদ্ধির রূপ অধৰ্ম্ম, অজ্ঞান, অবৈরাগ্য ও অনৈশ্বৰ্য্য। এই জ্ঞানের অর্থ কি ? তত্ত্বকৌমুদীতে আছে-“সত্ত্ব-পুরুষান্যথাখ্যাতিজ্ঞািনম৷” অৰ্থাৎ বুদ্ধি ও পুরুষের ভেদ সাক্ষাৎকারকে জ্ঞান বলে। “মোক্ষে ধীজ্ঞানম”-মোক্ষবিষয়িণী বুদ্ধিকে জ্ঞান বলে। এই যে বুদ্ধির আট প্রকার রূপ বা ভাব-এই যে জ্ঞান, ধৰ্ম্ম বৈরাগ্য