পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO o শ্ৰীমদভগবদগীতা । আরোপিত গুণ বাদ দিলে বাহা জগতে কি থাকে, আমরা জানিতে পারি। না । শাস্ত্ৰ বলেন, তিনিই ‘ব্ৰহ্ম’-পরম ব্ৰহ্ম । জগতের এই মায়ার আবরণ দূর করিতে পারিলে, তাহার অন্তরালে এই ব্ৰহ্মদর্শন হয়। তখন জগৎ সেই ব্ৰহ্মমধ্যে লীন হইয়া যায়। যাহা হউক, সকল জীবের জ্ঞানেন্দ্ৰিয়গণ একই প্ৰকার বাহা জগৎ প্ৰকাশ করে কেন ? ইহার একই উত্তর এই যে, সকল জীবের সকল ইন্দ্ৰিয় সেই একই মূল শক্তি হইতে উৎপন্ন, সেই একই শক্তিতে প্ৰতিষ্ঠিত, সেই একই শক্তি দ্বারা ধৃত, সেই একই শক্তি দ্বারা ক্রিয়াশীল। ইন্দ্ৰিয়গণ সেই একই শক্তির বিভিন্ন কাৰ্য্যরূপ। সে সকল ইন্দ্ৰিয়গুণও সেই শক্তিরই কাৰ্য্যরূপ । সেই একই S DiD BBD DBSBB BDD DBDB BD uBDS g S DBBuBuDDBDDBB DDBD হইয়া কাৰ্য্য করে বলিয়া সকল জীবই কোন একই দ্রব্য প্ৰত্যক্ষ করিয়া তাহাতে একই প্ৰকার রূপ, একই প্ৰকার রস, একই প্ৰকার গন্ধ ইত্যাদি অনুভব করিতে পারে। যে বাহ বস্তু ইন্দ্ৰিয়দ্বার দিয়া অামার জ্ঞানে বিশেষ রূপরসাদিসূত্তন ‘কমলানোবু’ রূপে প্ৰত্যক্ষ হয়, তোমার জ্ঞানে তাহা সেই একই প্ৰকার রূপরসাদিযুক্ত হইয়া প্ৰকাশিত ঈয়। এ জন্য বাহ "জগৎ সম্বন্ধে আমাদের সকলের প্রতীতি ও ব্যবহার প্রায় একই রূপ হইয়া থাকে। এই জন্য তোমার ও আমার ইন্দ্ৰিয়গ্ৰাহা জগৎ একই। ইন্দ্ৰিয়গণ বাহা জগৎকে আমাদের সকলের নিকট যেরূপে প্ৰত্যক্ষ করায়, আমরা সকলে তাহাকে সেই রূপেই গ্ৰহণ করি। কাহারও ইঞ্জিয় বিকল, বিকৃত বা অশক্ত না হইলে, ইহার কোন ব্যতিক্রম হয় না। " যে শক্তি দ্বারা ইন্দ্ৰিয়গণ উৎপন্ন হইয়া, বাহাজগৎrাক এই প্ৰকাৰে জ্ঞাতার নিকট জ্ঞেয়রূপে প্ৰকাশ করে, সেই শক্তির ধিনি আধার, বিনি সেই শক্তিমান, তিনিই ব্ৰহ্মরূপে জ্ঞেয়। যে কারণের অন্তভুত সে শক্তি সেই কারণকে “মায়া” বলা হয়, প্ৰকৃতি বলা হয়, কখন পরাশক্তিও বাণী হয়। আর সেই কারণের যিনি কারণ বা আধার, তিনিই ব্ৰহ্মরূপে