8SO শ্ৰীমদভগবদগীতা । “বাহার অব্যবহিত পরেই ব্ৰহ্মজ্ঞানোপদেশ ও ব্ৰহ্মত্তজিজ্ঞাসা অৰশু সন্তু হইতে পারে, তাহা কি ? নিত্যানিত্য বস্তুবিবেক । ঐহিক আমুস্মিক ভোগে বৈরাগ্য । শম, দম, উপর তি, তিতিক্ষা, সমাধা শ্রদ্ধা, মুমুকুত্ব এই সকল গুণ বা এই সকল সাধন থাকিলে, ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসা পূর্বে ও পরে উভয় কালেই ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসা করিতে পারা যায়।” গীতো অমানিত্বাদি জ্ঞান ও এই বৈরাগ্যাদি চতুৰ্ব্বৰ্গসাধন এক অর্থে একই তাই বলিয়াছি যে, জ্ঞেয়কে জানিলে অমৃতত্বলাভ হয় ; সেই জ্ঞেয় ব্ৰহ্ম এই অজ্ঞানমুক্ত জ্ঞানে জ্ঞেয় । যখন ক্ষেত্ৰ-ক্ষেত্ৰজ্ঞা-বিভাগ-জ্ঞান হ্য ক্ষেত্ৰজ্ঞ আপনাকে ক্ষেত্ৰ হইতে পৃথক জানিতে পারে এবং ক্ষেত্রে মলিনতা আপনাতে আরোপ না করে ও অমানিত্বাদি জ্ঞান লাভ করে যখন জন্ম-মৃত্যু-জারাব্যাধি-দুঃখ-দোষ অনুদর্শন করে ও মৃত্যু-সংসাৰ সাগর হইতে উত্তীৰ্ণ হইয়া অমৃতত্ব লাভ করিবার জন্য ব্যগ্ৰ হয়, তখন ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসা উপস্থিত হয় ও ব্ৰহ্ম জ্ঞেয় হন । বুদ্ধি এইরূপ সাত্বিক ও নিৰ্ম্মল হইলে, যখন এই জ্ঞানস্বরূপ হয়, বৰ্ণ ইহা প্ৰধানতঃ এই তত্ত্বজ্ঞানার্থদর্শনরূপে স্থিত হয়, তখন ইহা কিরূপে পরম মুক্তির কারণ হয়, তাহা এই জ্ঞানতত্ত্ব বুঝাইয়া পরে ভগ4l বলিয়াছেন । সে জ্ঞান তখন আপনার প্রকৃত জ্ঞেয় কি, তাহা জানিটে পারে। ভগবান বলিয়াছেন, সেই জ্ঞেয়ই ব্ৰহ্ম। তিনিই এই জ্ঞানে একমাত্র জিজ্ঞাসার বিষয়। ব্ৰহ্ম -এই জ্ঞানে জ্ঞেয় বা জিজ্ঞাসার বিৰ হইলে, তাহার ফলে এই ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হয়। এই ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হই পুরুষ সেই ব্ৰহ্মস্বরূপত্ব লাভ করে । ( “ব্রহ্মৈব সন ব্ৰহ্মাপ্যোত"-ই বৃহদারণ্যক ৪,৪৬, ৪।৪। ২৫ ) । তাহার পরমনির্বাণীরূপ अब्रवभूक्रयार्थगिाँ হয়। তখন পুরুষ আপনার ব্ৰহ্মস্বরূপ নিৰ্ম্মল জ্ঞানস্বরূপ চিত্তদর্পণে দর্শ করিয়া জানিতে পারে । নিৰ্ম্মল স্বচ্ছ সাত্বিক জ্ঞানস্বরূপ বুদ্ধিতে সে ত" স্বরূপ দেখিতে পায় । সেই জ্ঞানস্বরূপ বুদ্ধিতে জ্ঞেয় ব্ৰহ্মৰ
