পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমদভগবদগীতা । وقC)S এক্ষণে আমরা গীতার এ অধ্যায়ে উক্ত এই পুরুষ-প্ৰকৃতি-বাদ সংক্ষেপে বুঝিব। পুরুষ-প্ৰকৃতি-বিবেক-জ্ঞান |-5noti ovest soyft: »Saj s ২০শ শ্লোকে প্ৰকৃতি-পুরুষ বিবেক-জ্ঞান যাহা সংক্ষেপে সুচিত হইয়াছে, তাহা বুঝিতে হইবে । এই প্ৰকৃতি পুরুষ বিবেক জ্ঞানটি সাংখ্যশাস্ত্রানুসারে প্ৰকৃত জ্ঞান, কেন না ইহা হইতে মোক্ষ বা অপবৰ্গ সিদ্ধ হয় । আমরা পুর্বে দেখিয়াছি যে, প্ৰকৃতিপুরুষ বিবেক জ্ঞানই এক অর্থে ক্ষেত্র ক্ষেত্ৰজ্ঞ জ্ঞান। পৃথকভাবে দেখিলে, ক্ষেত্ৰক্ষেত্ৰ জন্য জ্ঞান হইতেই প্রকৃতি পুরুষ বিবেক জ্ঞান হয়। ক্ষেত্রের মূল কারণ প্ৰকৃতি ) প্ৰকৃতি। “কারণরূপ : Cau কাৰ্যৰূপ আর ক্ষেত্র জ্ঞা মূলতঃ পুরুষ } পুরুষের সহিত sBBDDDK BDB D KKB BDBB BsDBDS DDDD S BtDBDT হইয়া Ca \S Că. জগৎ রূপে কাৰ্য্যভাবে ব্যাপ্ত হন, আর পুরুষ তাহার জ্ঞাত হইয়া ক্ষেত্ৰজ্ঞ হন। ক্ষেত্র যখন তাহার জ্ঞেয় হয়-তখন এই ক্ষেত্রের গ জ্ঞাতুরূপে পুরুষ ক্ষেত্ৰজ্ঞ হন । ব্যষ্টি ক্ষেত্রের জ্ঞাতা বা ক্ষেত্ৰজ্ঞ জীব, আর সমষ্টি ক্ষেত্রের জ্ঞাতা-ক্ষেত্ৰজ্ঞত ঈশ্বর। ব্যষ্টি ক্ষেত্রের জ্ঞাত ক্ষেএভজ্ঞ পুরুষ-সেই ক্ষেত্রে বদ্ধ হইয়া, সেই ক্ষেত্রে আত্মজ্ঞান হেতু বদ্ধ পুরুষ বা ‘ ক্ষর পুরুষ হন । সমষ্টিক্ষেত্রের জ্ঞাতা-ক্ষেত্ৰজ্ঞ ঈশ্বর। কোন ক্ষেত্রে বদ্ধ নহেন, সর্বক্ষেত্র সম্বন্ধে তাহার “আমার” ভাষা নাই । তিনি নির্লিপ্ত-অসঙ্গী,-নিক্রিয় অথচ তিনি সর্বক্ষেত্রে অধিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও নিয়ন্তা। এই সর্বক্ষেত্রে ক্ষেত্ৰজ্ঞতত্ব এই ঈশ্বরতত্ব পুৰ্ব্বে দ্বিতীয় ঘাঁটুকে বিবৃত হইয়াছে, তাহা বলিয়াছি । পরে পঞ্চদশ অধ্যায়েও ইহা উল্লিখিত হইবে। ঈশ্বরতত্ত্ব গীতায় বিশেষভাবে উক্ত হইয়াছে, তাহা দেখিয়াছি । এই ঈশ্বরতত্ত্বই গীতায় বিশেষভাবে বিবৃত ৷ সাংখ্যা” দর্শন অনুসারে প্রকৃতিবদ্ধ পুরুষই ক্ষেত্ৰজ্ঞ । ব্যষ্টি ক্ষেত্র সম্বন্ধে তিনি ক্ষেত্ৰজ্ঞ । মুক্ত পুরুষ ক্ষেত্ৰজ্ঞ নহে, শুদ্ধমুক্ত কুটস্থ তিনিই অক্ষর স্বরূপ ।