AGFstof SBU: (O নিরুপাধিক ও অনির্দেশু ; তিনিই আবার সগুণ ও সোপাধিক । তিনিই অক্ষর थांब তিনিই ভোক্তা ভোগ্য ও প্রেরয়িতা এই ত্ৰিবিধ ভাবে জ্ঞেয়। ইহাই পরমতত্ত্ব, ইহাই শ্রীতির সার উপদেশ । এই পরম তত্ত্ব বুদ্ধি দ্বারা তর্কযুক্তি “দ্বারা আমরা সিদ্ধান্ত করিতে পারি না । সুতরাং সাধনা দ্বারা অজ্ঞানজ তমঃ পরিহার পূর্বক, যোগদৃষ্টি লাভ করিয়া, ভাবের দিক হইতে সাধনা করিয়া, পরমাত্মার রূপা লাভপূর্বক, তাহা আমাদের দেখিতে চেষ্টা করিতে হইবে । এই তত্ত্ব নবম ও একাদশ অধময়ের ব্যাখ্যা শেষে বিবুত হইয়াছে। যাহা হউক, গীতা বুঝিতে চাইলে, আমাদের এই সাধনা পথ অবলম্বন করিতে চাইবে । কেবল যুক্তি তর্ক দ্বারা কোন বিশেষ ‘’বাদ’ অবলম্বন করিয়া তাহা বুঝিতে চেষ্টা করা উচিত নহে। গীতা দ্বারা অদ্বৈতবাদ বা দ্বৈতবাদ বা দ্বৈতাদ্বৈতবাদ-কোন বিশেষ মত স্থাপন করিতে চেষ্টা করাও উচিত, নহে। এমন কি, গীতা বুঝিতে হইলে শ্রীতিও অবলম্বন করিবার তত প্ৰয়োজন মনে হয় না । গীতামাহান্ত্ৰ্যে উক্ত হইয়াছে - “গীতা সুগীত কৰ্ত্তব্য কিমগ্যৈঃ শাসুবিস্তরৈঃ । যা স্বয়ং পদ্মনাভস্য মুখপদ্ম-বিনিঃসৃত ৷ গীতা শ্ৰীভগবানের বাক্য, গীতা উপনিষদ গীতা শ্ৰেষ্ঠ Revelation । গীতা অন্ততঃ শ্রুতির ন্যায় প্রামাণ্য। উপনিষদে মূলতত্ত্ব নানা স্থানে নানাভাবে উপদিষ্ট হইয়াছে । কিন্তু গীতায় উপনিষদের সেই সকল 5ict (disconnected aphorisms of the Upanishads”- */*@ depenhazen), এবং অন্য মূল জ্ঞাতব্য তত্ত্ব শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে সমুদায় সমন্বয় পূর্বক উপদিষ্ট হইয়াছে। এজন্য গীতা উপনিষদের সার । পুৰ্ব্বাপর সামঞ্জস্য রাখিয়া গীতার প্রত্যেক শ্লোকের অর্থ করিতে হয়, ও ধ্যানপুৰ্ব্বক প্ৰত্যেক শ্লোক বুঝিতে হয়। শ্রুতি-বাক্য গীতা বুঝিবার
