পাতা:শ্রীমদ্ভাগবত - ত্রয়োবিংশ খণ্ড (দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তপঞ্চাশত্তম অধ্যায় । বেদব্যাসতনয় কহিলেন, গোবিন্দ সকলই অবগত ছিলেন; } তথাপি, পাণ্ডবেরা জননী কুন্তীর সহিত জতুগৃহে দগ্ধ হইয়াছেন, এই বাৰ্ত্তা শ্রবণ করিয়া, কুলের উচিত ব্যবহার করিবার নিমিত্ত, ভ্রাতা বলরামের সমভিব্যাহারে কুরুপ্রদেশে উপস্থিত হইলেন ; এবং ভীষ্ম, দ্রোণ, কৃপ, বিদুর ও গান্ধারীর সহিত মিলিত হইয়া তাহাদিগের সমান দুঃখ প্রকাশ করত কহিতে লাগিলেন, 4হ। कि कट्टे” । রাজন ! এই অবসর পাইয়া অঙ্কুর ও কৃতবৰ্ম্ম শতধনুকে কহিলেন, কি হেতু মণি গ্রহণ করা হইতেছে না। যে সত্ৰাজিৎ আমাদিগের নিকটে অঙ্গীকার করিয়া অামাদিগের অপমান করত শ্ৰীকৃষ্ণকে কস্তারত্ন প্রদান করিয়াছে, সে কেন ভ্রাতার অনুগামী না হইবে ? র্তাহাদিগের দুই জনের দ্বারা এইপ্রকারে বুদ্ধি বিপরীত হওয়াতে, ক্ষীণজীবী, পাপাচার, অসত্তম শতধনু লোভনিবন্ধন নিদ্রিতাবস্থাতেই সত্রাজিতের প্রাণ সংহার করিল। স্ত্রী সকল আৰ্ত্তনাদ ও অনাথার স্যায় ক্ৰন্দন করিতে লাগিল । শতধনু, সৌনিক যেমন পশুদিগকে, তেমনি (সত্রাজিৎকে, ) সংহার করিয়া মণি গ্রহণ করত প্রস্থান করিল। সত্যভামা পিতাকে নিহত দেখিয়া শোকগ্রস্ত হইয়া “ হা তাত ! ” বলিয়া বিলাপ করিতে আরম্ভ করিলেন ; এবং ৫ হা ।

পাণ্ডবেরা সুরক্ষার দিয়। জতুগৃহ হইতে নিৰ্ব্বিঘে নির্গত হইয়াছেন, ইহা শ্ৰীকৃষ্ণ অবগত ছিলেন ; তথাপি ইত্যাদি ।