দশম স্কন্ধ। ৭৪ অ । 8& 5 রাজ ব্রাহ্মণগণের বাক্য “ শ্রবণ করিয়া এবং সভাসদদিগের মত জানিয়া আনন্দিত ও প্রণয়ে বিহ্বল হইয়া হৃষীকেশের পূজা করিলেন। তঁহার পাদদ্বয় প্রক্ষালন’করিয়া দিয়া ভাৰ্য্যা, অমুজ, অমাত্য ও কুটুম্বগণের সহিত আনন্দে লোকগাবন সেই জল মস্তকে ধারণ করিলেন। পীতবর্ণ কৌশেয় বস্ত্র এবং অমূল্যভূষণ সকলের দ্বারা পূজা করিয়া অজ্ঞজলে পূর্ণলোচন হইয়া ভাল করিয়া দর্শন করিতে সমর্থ হইলেন না । সমুদায় লোক (শ্ৰীকৃষ্ণকে ) এইৰূপে পূজিত হইতে দর্শন করিয়া কৃতাঞ্জলি হইয়া 4 জয় ” 4 নমঃ ” এই বলিয়া ভঁাহাকে নমস্কার করিলেন ; পুষ্পবৃষ্টি পতিত হইল। এই প্রকার শ্রবণ করিয়া, শ্ৰীকৃষ্ণের গুণবর্ণনহেতু দমঘোষতনয়ের ক্রোধ জন্মিল ; তিনি তাপন আসন হইতে উথান করত ক্রুদ্ধ হইয়া এবং ভীত না হইয়া বাহু উত্তোলন করত ভগবানকে বটুবাক্য সকল শ্রবণ করাইয়া এই কথা কহিলেন ;–ছুরত্যয় কালই ঈশ্বর, এই যে শ্রুতি আছে, তাহ সত্য ; কারণ বালকের বাক্যে বৃদ্ধগণেরও বুদ্ধি ভিন্ন হইতেছে। হে সদস্পতি সকল ! আপনার পাত্রজ্ঞদিগের শ্রেষ্ঠ ; ঐকৃষ্ণ পূজার যোগ্য, এই বালক-বাক্য গ্রাহ করিবেন না । কণক যেমন যজীয় দ্রব্যের, তেমনি র্যাহারা তপস্যা-বিদ্যা-ও-ব্রতধারী, জ্ঞানেতে করিয়া র্যাহাদিগের পাপ নষ্ট হইয়াছে, যাহারা ব্ৰহ্মনিষ্ঠ এবং লোকপালের র্যাহাদিগের পূজা করেন, সেই সকল শ্রেষ্ঠ ঋষি সদস্পতিদিগকে অতিক্রম করিয়া, কুলপাংসন ዓወ সাধু, সাধু |
