দ্বিতীয় অধ্যায় } Aeఫీ নিন্দ-ভয় হইতেই উৎপন্ন ; কেন না, সাধারণ লোক নিৰ্ব্বোধ, যাহা ভাল, তাহারও নিন্দ করিয়া থাকে । লোকে যাহা ভাল বলে, মনুষ্য এখন তাহারই অন্বেষণ কয়ে বলিয়াই, মঙ্গুষ্যের ধৰ্ম্মাচরণে অবসয় বা তৎপ্রতি মনোযোগ নাই । লোকনিন্দী তয়ে অনেকে যে ধৰ্ম্মাচরণ করিতে পারে না, এবং ধৰ্ম্মাচরণে প্রবৃত্ত ব্যক্তিকে অসার লোকে লোক-নিন্দাতয় প্রদর্শন করে, ইহা সচরাচর দেখা গিয়া থাকে । যে লোক-নিন্দ-ভয়ে যুদ্ধে প্রবৃত্ত, সে সাক্ষাৎ নরপিশাচ । ভগবান স্বয়ং যে অৰ্জ্জুনকে সেই মহাপাপে উপদিষ্ট করিবেন ইহা সম্ভব নহে । কোন জ্ঞানবান ব্যক্তি ই ইহা ঈশ্বরোক্তি বলিয়া গ্রহণ করিবেন না । ইহা গীতাকারেয় নিজের কথা বলিয়া ও গ্রহণ করিতে পারা যায় না; কেন না গীতা করে যেই হউন, তিনি পরম জ্ঞানী এবং ভগবদ্ধৰ্ম্মে সুদীক্ষিত ; এরূপ পাপোক্তি তাহা হইতে ও সস্তবে না। যদি কেহ বলেন, যে এই শ্লোক চারিট প্রক্ষিপ্ত, তবে তfহাকে স্বীকার করিতে হইবে, যে ইহা শঙ্করের পর প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে। শঙ্কর এই কয় শ্লোককে “লৌকিক হ্যায়” বলিয়াছেন । স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণ যদি “লৌকিক দ্যায়” পরিত্যাগ না করিবেন, তবে আর দাড়াই কোথায় ! যাহাই হউক, লোক নিন্দার কথার পর, ও পৃথিবীভোগের কথার পরেই “এষা-তেহভিহিত সাংখ্যে বুদ্ধিৰ্যোগে” ইত্যাদি কথা অসংলগ্ন বোধ হয় বটে । অতএব যাহারা এই চারিটা শ্লোক প্রক্ষিপ্ত বলিবেন, তাহীদের সঙ্গে আমরা বিবাদ করিতে ইচ্ছুক নহি। বলিতে কেবল বাকি আছে, যে, যদিও ৩৭শ শ্লোকে লোকনিন্দ-ভয় দেথান নাই, তথাপি ইহ স্বাৰ্থবাদ-পরিপূর্ণ। স্বর্গ বা
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২০
অবয়ব