পাতা:শ্রীমন্মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

. ২২৬ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী একত্রিংশ 1 পরিচ্ছেদ সেই প্রমত্ত ভীষণ মূর্তির মধ্যে সেই “মহত্তয়ং বজ্রমুদ্যতং১” পরমেশ্বরের মহিমা অনুভব করিতে লাগিলাম। আমাদের সঙ্গের পালীখানা সকল আহারীয় সামগ্রী লইয়া গঙ্গার গর্ভে ডুবিয়া গেল। পরে আমরা পাটনায় আসিয়া নূতন আহারের সামগ্রী লইলাম। সেখানে গঙ্গার স্রোত অত্যন্ত প্রবল, নৌকা আর চলিতে পারে না। সেই দুর্জয় স্রোতের প্রতিকূলে পাটনা ছাড়াইয়া ৬ই অগ্রহায়ণে কাশীতে পঁহুছিলাম। কলিকাতা হইতে কাশী আসিতে প্রায় দেড় মাস লাগিল। প্রাতঃকালেই সেই বােট হইতে সমস্ত দ্রব্যাদি লইয়া, কোথায় থাকি, কোথায় বাসা পাই, তাহা দেখিতে দেখিতে সিক্‌রােলের দিকে চলিলাম। খানিক দূর গিয়া দেখি, একটা বাগানের মধ্যে একটা ভাঙ্গা শূন্য বাড়ী পড়িয়া রহিয়াছে ; সেখানে একটা কূপের ধারে কতকগুলা সন্ন্যাসী বসিয়া জল্পনা করিতেছে। আমি মনে করিলাম, এ বাড়ীটা বুঝি সাধারণের জন্য, এখানে যে-সে থাকিতে পায় ; এই মনে করিয়া আমার জিনিস পত্র লইয়া সেই বাড়ীতে উঠিলাম। তাহার পর দিন দেখি যে, কাশীর প্রসিদ্ধ রাজেন্দ্র মিত্রের পুত্র গুরুদাস মিত্র আমার সঙ্গে সাক্ষা : আসিয়াছেন। ভাবিলাম, আমার এখানে আসিবার ফনি কেমন করিয়া জানিলেন ? আমি তাড়াতাড়ি উঠিয়: “ত। কে আদর করিয়া আমার নিকটে বসাইলাম। তিনি বলিলেন যে, “আমাদের বড় সৌভাগ্য যে, আপনি আমাদের এ বাড়ীতে উঠিয়াছেন। এ বাড়ীর দরজা নাই, পর্দা নাই, আবরণ নাই, (২) ২০ নভেম্বর, ১৮৫৬। (১) কঠ, ৬২। (৩) পরিশিষ্ট ৫৬।