পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ay রাজমালা | [ দ্বিতীয় ভারত-সম্রাট মহামতি আকবর এই প্রথার বিরোধী ছিলেন। যোধপুর রাজ-পরিবারে একটা সহমরণের সংবাদ পাইয়া তিনি তাহ নিবারণের নিমিত্ত অশ্বারোহণে এক শত মাইল দূরবর্তী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়াছিলেন। তিনি বলিতেন, যে সকল সতী স্বেচ্ছায় পতির সহগামিনী হইবেন, তাহাদিগকে বাধা দেওয়া সঙ্গত নহে, কিন্তু এ বিষয়ে কাহারও উপর জোর-জবরদস্তী করা অন্যায়। সম্রাটের এবম্বিধ অভিমত সত্ত্বেও মুসলমান শাসনকালে সতী-দাহ প্রথা অবাধে চলিয়ছিল ; তৎকালে বলপ্রয়োগও যে ন হইত এমন নহে । ইংরেজ শাসনকালেও সতী-দাহ দীর্ঘকাল চলিয়াছে, প্রথমতঃ জোন্স, সাহেব ইংরেজ শাসনকালে এই প্রথার বিরুদ্ধে প্রশ্ন উথাপন করেন । এই অপরাধে তিনি

          • ণ । ভারতবর্ষ পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । অতঃপর

১৮৯৫ খৃঃ অব্দে সতী-দাহ বন্ধ করিবার নিমিত্ত পুনর্বার চেষ্টা করা হয়, হিন্দুগণের তুমুল আন্দোলনের ফলে সেইবারও গবর্ণমেণ্টকে নিরস্ত হইতে দেখা গিয়াছে। ইহার পর রাজ রামমোহন রায় সতী-দাহ নিবারণকল্পে বদ্ধপরিকর হইলেন । সহমরণ-প্রথা ও লর্ড তিনি ১৮১৭ ও ১৮১৯ খৃঃ অব্দে সহমরণের বিরুদ্ধে দুইখান! উইলিয়ন বেশি পুস্তক প্রচার করিয়া অকৃতকাৰ্য্য হওয়ায় ১৮২৭ খৃঃ অব্দে আর একখানা গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। এই সময় লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ক ভারতের রাজপ্রতিনিধি ছিলেন। তিনি রামমোহন রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুর ও অন্নদাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি দেশীয় সন্ত্রান্ত ব্যক্তিদিগকে পৃষ্ঠপোষক পাইয়া, এই প্রথা নিবারণের নিমিত্ত কৃতসঙ্কল্প হইলেন । এবং ১৮২৯ খৃঃ অব্দের ৪ঠা ডিসেম্বর sfătorn 25 fãs afềR (Regulation—XV11 of 1829) aral HÊ-wts ang করিয়াছিলেন । ইহার পরেও সহমরণ-প্রথা সম্পূর্ণরূপে রহিত করিতে কিছু বিলম্ব ঘটিয়াছিল। অনেক স্থানেই গবর্ণমেণ্টের আইন অমান্ত করিয়া সতী-দাহ চলিতেছিল, তজ্জস্য অনেকে অভিযুক্ত এবং দণ্ড প্রাপ্ত হইয়াছে। সাধবী স্ত্রী, লোকের বাধা না মানিয়া অথবা তাহাদের অলক্ষিতভাবে অকস্মাৎ পতির জ্বলন্ত চিতায় ঝম্প প্রদান করিবার দৃষ্টান্তও অনেক আছে। পতিপ্রাণীর হৃদয় আইনের অধীন নহে এবং তাহদের সঙ্কল্পে বাধা প্রদান করা রাজ-বিধির সাধ্যায়ত্তও নহে । বর্তমানকালে প্রজ্জ্বলিত শ্মশানে আত্মদান করিবার উপায় না থাকিলেও অনেক সাধবী নানা উপায়ে পতির অনুগামিনী হইতেছেন। তবে, পূর্বকালের তুলনায় এই উপায়ে মৃতার সংখ্যা ধর্তব্য নহে । বৃটিশ ভারতের অন্তর্গত দেশীয় রাজ্য সমূহেও উক্ত আইন কার্যকরী সহমরণ-প্রথা ও ত্রিপুর হইয়াছিল। কিন্তু এই আইন প্রচারের পরেও ক্রমাস্বরে 寄博j H ৬• বৎসর কাল ত্রিপুর রাজ্যে সতী-দাহ প্রথা নির্বিবাদে চলিয়াছে। ১৮৮৮ খৃঃ অব্দে এ বিষয়ে বৃটিশ গবর্ণমেণ্টের দৃষ্টি পতিত হয়। এই সময় চট্টগ্রামেন্থ