পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*** রাজমালা । { দ্বিতীয় কালে এই স্থানে গমন করিয়া তথায় এক খাল খনন করাইয়াছিলেন। রাজমালায় পাওয়া যায় ;– “জিনারপুরেতে রাজ খাল কাটি দিল । ত্রিপুরার খাল বলি নাম তার হৈল , বিজয়মাণিক্য খণ্ড—৫৭ পৃঃ । ডরানাম ;–(৬৯ পৃঃ—১৬ পংক্তি)। এই নাম বিশুদ্ধ নহে। রাজমালায় লিখিত আছে—“ডরানাম পথ হৈয়া গৌড় সৈন্য যাইতে ।” কিন্তু প্রাচীন রাজমালায় পাওয়া যায়—“দাড়রার পথ দিয়া গোঁড় সৈন্য যাইতে ।” এই ‘দাঁড়রা’ শব্দই • লিপিকার প্রমাদে ‘ডরানাম হইয়াছে ; এরূপ ভুলের দৃষ্টান্ত আরও পাওয়া যায়। দাড়রা বর্তমান নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত ফেণী উপবিভাগের একটী ক্ষুদ্র পরগণ । এই স্থান ত্রিপুরেশ্বরের জমিদারীর অন্তভূত। ডুমুতীর্থ —(৬১ পৃঃ—১৩ পংক্তি)। ইহার অপর নাম ডম্বুর। ইহা একটা মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত। প্রাচীন কালে এই স্থান তীর্থ মধ্যে পরিগণিত ছিল। এই লহরের ১১৫ পৃষ্ঠায় ডক্ষুরের বিবরণ প্রদান করা হইয়াছে। —(২৫ পৃঃ—২৪ পংক্তি)। এই স্থান উদয়পুরের সন্নিহিত দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। ইহার বর্তমান নাম তাপর ধূম বা তারপা ধুম। এই স্থানে প্রাচীন জলাশয় ইত্যাদি লোকালয়ের চিহ্ল বিদ্যমান আছে । এবং এখান হইতে খণ্ডল যাইবার একটী পুরাতন বাধান রাস্ত আছে। এই রাস্ত সমসের গজির নিৰ্ম্মিত বলিয়া প্রবাদ আছে । তমকান –(৫৯ পৃ:—১০ পংক্তি)। ইহা খোয়াই নামক স্থানের প্রাচীন নাম । এই স্থানে মাহারাজ ডাঙ্গর ফএর এক বাড়ী ছিল । ইহার অন্য নাম ‘বাল্লাঘাট’ । শ্রীহট্ট অঞ্চলে বাধা’ শব্দকে ‘বাল্লা” বলে। শত্রুপক্ষের আগমনে বাধা প্রদান জন্য এখানে একটী সৈন্থাবাস ছিল, এই কারণে “বাল্লাঘাট’ নাম হইয়াছে। এই স্থান ত্রিপুর রাজ্যের একটী বিভাগে পরিণত, এবং বাল্লাঘাটে এই বিভাগের সদর কার্য্যালয় স্থাপিত হইয়াছে । তরপ –( ৫৭ পৃঃ—৬ পংক্তি)। এই শব্দ লিপিকার প্রমাদে বিকৃত হইয়াছে। রাজমালায় লিখিত আছে ;— “শ্ৰীহট্টে চলিল রাজা বিজয় মহাবীর ॥ তার পরে জাঙ্গাল রাজা বান্ধয়ে আজ্ঞাতে । ত্রিপুরার জাঙ্গাল বলি খ্যাতি হয় তাতে ॥” অস্ত গ্রস্থের পাঠ এইরূপ — “প্রীহট্টে ত গেলেন বিজয় মহাবীর ॥ তরপে জাঙ্গাল বান্ধে রাজার আজ্ঞায়ে । ত্রিপুরার জাঙ্গাল বলি অদ্যাপি কহয়ে ”