পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె8 রাজমালা [ প্রথম অত্যাচারী হইয়াছিলেন ; এরূপ অধাৰ্ম্মিক ও অশিক্ষিত রাজা ত্রিপুর রাজবংশে কখনও জন্মগ্রহণ করেন নাই ; কিন্তু ত্রিপুরের পুত্র মহারাজ ত্রিলোচন, সকল বিষয়েই সুশিক্ষিত ছিলেন। র্তাহার শিক্ষা ও অলৌকিক গুণ সম্বন্ধে রাজমালায় লিখিত আছে ;– “মহারাজী সুচরিত্র প্রকৃতি সুন্দর। সাধুভাব দেবরূপ বিনয় বিস্তর ॥ উন্মত্ত মাৎসর্ষ্য হিংসা নাহিক তাহার । যেই জন ষেই মত সেই ব্যবহার ॥ অহঙ্কার ক্রোধ বশ করিল উত্তম । নরদেহে ত্রিলোচন কে বা তান সম । যুদ্ধেতে অগ্নির তুল্য ক্ষমায়ে পৃথিবী। নবীন কন্দপ রূপে তেজে মহারবি ৷ বাক্যে বৃহস্পতিসম শুক্রতুল্য জ্ঞান। নানাবিধ যন্ত্র শিক্ষা তালে ছিল জ্ঞান ॥ মুখ্যাতি শুনিয়া আসে নান। দেশী দ্বিজ । তা তাতে শিথিল বিস্তু যত পাই বীজ । বৈষ্ণব চরিত্র সব সাধুর আচার । নিপুণ হইল রাজা কাল ব্যবহার !" জিলোচন থও,—১৯ পৃষ্ঠ । সে কালে সুশিক্ষিত লোকের অভাব প্রযুক্ত কিরাত দেশে পুত্ৰগণের শিক্ষার সুব্যবস্থা করা দুঃসাধ্য হইলেও রাজগণ সে বিষয়ে উদাসীন ছিলেন না, রাজমাল। আলোচনায় ইহা স্পষ্টই প্রতীয়মান হইবে । তখন ত্রিপুর রাজ্যে বৰ্ত্তমান বাঙ্গালী সমাজের ন্যায় কেবল পুথিগত বিদ্যারই চর্চা হইত এমন নহে ; রাজনীতি, সমাজনীতি, ব্যবহারনীতি, যুদ্ধ বিদ্যা, সঙ্গীত শাস্ত্র, তাধ্যাত্মিক তত্ত্ব ইত্যাদি সকল বিষয়েরই চর্চা ছিল । শারীরিক উন্নতিকল্পে মল্লবিদ্যাও অভ্যাস করিতে হইত। রাজপরিবারস্থ ব্যক্তিবৃন্দের লক্ষণ বর্ণন উপলক্ষে রাজমালা বলেন;–

  • মহাবল পরাক্রান্ত বেগ বস্ত বড় ।

कनगौब्र छूट) जान्नु छऊद ब८श९ब्र ॥ मझक्छि। अंछIा८” उ वाइड्रो इच्न । যেন শাল বৃক্ষ দৃঢ় জানিয় নিশ্চয়।” Ç জিলোচন থও,—.৬ পৃষ্ঠা সৈনিক বিভাগে কেবল কুচ কাওয়াজ হইত এমন নহে, সেই বিভাগেও মল্পবিস্তার চর্চা থাকিবার প্রমাণ রাজমালায় পাওয়া যাইতেছে —