পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০ এতদ্বারা স্পষ্টই জানা যাইতেছে, মহারাজ ত্রিপুরের নিধনকালে রাজমহিষী গৰ্ববতী ছিলেন এবং রাজার পরলোক গমনের তিন মাস পরে ত্রিলোচন জন্মগ্রহণ করেন। এই অবস্থায় তাহাকে শিবের পুত্র বলিবার দরুণ চন্দ্রবংশের বাহিরে ফেলিবার কি হেতু থাকিতে পারে, তাহ নিতান্তই দুর্বোধ্য কথা। এতৎ সম্বন্ধে ইংরেজ ঐতিহাসিকের মতও দুষ্প্রাপ্য নহে। তাহার একটমাত্র এস্থলে প্রদান করা যাইতেছে ;– “Tripur had left no son to succeed him, but his widow was pregnant, Great was the grief of the innocent and disconsolate rami, and her entreaties, joined to the prayers of the Tripuras, allayed the wrath of Siva, who promised that the rani's unborn child should be a son, who would be the recipient of his. godship's favour, And, as a sign, he should have on his forehead the mark of the third or central eye, a distinguishing feature of Siva. In due course Tripur's widowed rani gave birth to a posthumous son, who bore Siva's promised taken and was accordingly named Trilochana ( three-eyed ) in compliment to the god, one of whose names is Tryambaka, having the same meaning.” Bengal & Assam, Behar & Orissa Page 460 Compiled by Somerset Playne, F. R. G. S. স্কুল মৰ্ম্ম ;–ত্রিপুর কোন পুত্র সন্তান রাখিয়া যান নাই ; কিন্তু তখন তাহার বিধবা মহিষী গৰুবতী ছিলেন। রাজ্যের উত্তরাধিকারীর অভাব প্রযুক্ত নির্দোষী ও শোকসস্তপ্ত মহারাণী এবং তঁহার আত্মীয়বর্গ নিতান্ত দুঃখিত হইলেন । তথন সকলে মিলিয়া আবার শিবারাধনায় প্রবৃত্ত হইলেন। মহাদেব, অর্চনায় সস্তুষ্ট হইয়া বর প্রদান করিলেন যে—তোমার গৰ্বস্থিত পুত্র আমার পরম ভক্ত হইলে । তাহার ললাটে মহাদেলের স্যায় তৃতীয় চক্ষু হইবে। যথা সময়ে ত্রিপুরের বিধবা পত্নীর গৰ্বে শিবের বর প্রভাবে একটী পুত্র জন্ম গ্রহণ করিল। মহাদেবের ত্রম্বক নামানুসারে তাহার নাম ত্রিলোচন রাখা হইল । ইহারাজ রত্নাকরের বাক্যেরই অনুস্থতি নহে কি ? বিদেশীয় ঐতিহাসিকগণ and ag as যাহা নির্বিবাদে স্বীকার করেন, দেশীয়গণ তাহাও মানিতে চাহেন বংশীয় রাঙ্গা। ন', ইহাই বিস্ময়ের কথা ! তর্কের নিমিত্ত যদি মহারাজ ত্রিলোচনকে রাজমহিষীর বৈধব্য অবস্থার সন্তান বলিয়াও স্বীকার করা যায়, তথাপি ইহাকে চন্দ্রবংশীয় বলিতে কি আপত্তি থাকিতে পারে, বুঝিতেছি না। বর্তমান কালের সামাজিক প্রথা লইয়া ত্রিলোচন সম্বন্ধে বিচারে প্রবৃত্ত হওয়া কোনক্রমেই