Φll/ο যুক্তিযুক্ত হইবে না। তিনি দ্বাপরের শেষভাগে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন । এস্থলে পুত্রোৎপাদন ও পুত্রগ্রহণ সম্বন্ধীয় তাৎকালিক সমাজিক নিয়ম গ্রহণ করিতে হইবে । শাস্ত্রালোচনায় দ্বাদশবিধ পুত্রের পরিচয় পাওয়া যায় ;— "ঔরস; ক্ষেত্ৰজশ্চৈব দত্ত: কৃত্রিম এব চ | গৃঢ়াৎপন্নইপবিদ্ধশ্চ দায়াদাবান্ধবাশ্চষট । কানীনশ্চ সহোদুশ্চ ক্রীত: পৌনর্ভবস্তথা । স্বয়ং দত্তশ শৌদশ ষড়দায়াদবান্ধবt: ॥” মন্ত্র সংহিতা-–১৯শ 5ةl:و eهما - مج c عt إتة ঔরস, ক্ষেত্ৰজ, দত্তক, কৃত্রিম, গৃঢ়োৎপন্ন, অববিদ্ধ, কানান, সহোঢ়, ক্রীত, পোনঙৰ স্বয়ংদত্ত ও শৌদ্র, এই দ্বাদশ প্রকার পুত্রের কথা ভগবান মমু উল্লেখ করিয়াছেন । সেই সকল পুত্রের উৎপত্তি বিবরণও তাহার বিধানে পাওয়া যায় । তন্মধ্যে ক্ষেত্ৰজ পুত্র সম্বন্ধে লিখিত আছে,-- যস্তস্লজ: প্রমীতস্ত ক্ৰী বস্ত ব্যাধিত স্ত্য বা । স্বধৰ্ম্মেণ নিযুক্ত য়াং সপুত্র: ক্ষেত্রজঃস্থ ত: ॥” এতব্যতীত পদ্মপুরাণেব প্রকৃতি খণ্ডে চতুৰ্বিবধ ও ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত পুরাণে সপ্তবিধ পুত্রেব উল্লেখ পাওয়া যায়। গরুড় পুৰাণ, মার্কণ্ডেয পুরাণ, এবং মৎস্য পুরাণ প্রভৃতি গ্রস্থে ও পুত্র সম্বন্ধীয় অনেক কথা আছে, এস্থলে তাহার আলোচনা করিবার প্রয়োজন দৃষ্ট হয় না। একমাত্র ক্ষেত্ৰজ পুত্রের কথাই আমাদের আলোচ্য । মমুর বচনে পাওয়া যাইতেছে ;–পুত্রহীন অবস্থায় মৃত নপুংসক, অথবা সাধিগ্রন্থ ব্যক্তির ভাৰ্য্য। স্বধৰ্ম্মানুসারে গুরুজন কর্তৃক নিযুক্ত হইযা যে পুত্র উৎপাদন করে, সেই পুত্র ক্ষেত্ৰজ নামে অভিহিত হয় । ইহা বা ঔরস-পুত্রের সমকক্ষ না হইলেও শাস্ত্রানুসারে পৈতৃক সম্পত্তির ও পিতৃশ্ৰাদ্ধের অধিকারী এবং পিতাব কুলবর্দ্ধক হইয় থাকে । 蝴 ஒ ইহা হইল শাস্ত্রের ব্যবস্থ, সমাজের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে দেখা যাইবে, সে কালে উচ্চ সমাজেও এই ব্যবস্থা সাদরে গৃহীত হইয়াছিল। পাণ্ডবগণের জন্ম-কথা সকলেরই জানা আছে। বিচিত্র বীর্যের বিধবা পত্নীতে, বেদব্যাস কর্তৃক ধৃতরাষ্ট্র, পাণ্ডু ও বিদুরের উৎপত্তি বিবরণও অজানিত নহে। এরূপ দৃষ্টান্ত আরও প্রদান করা যাইতে পারে। ইহারা যদি চন্দ্রবংশীয় বলিয়। অবিসংবাদিত ভাবে গৃহীত হইতে পারেন, তবে মহারাজ ত্রিলোচনের বেলা কেন আপত্তি হইবে বুঝা যায় না। ইনি দ্বাপরের শেষভাগে আবিভূত হইয়াছিলেন, এবং যুধিষ্ঠিরাদির সমসাময়িক ব্যক্তি। যাহা হউক, ত্রিলোচন যে ইহাদের শ্রেণীভুক্ত নহেন, তাছা পূর্বেই বলা হইয়াছে ; স্বতরাং বিশ্বকোষের বাক্য গ্রহণীয় নুহে ।
