808 গোপালচম্পপূঃ। [ পুৰ্ব্ব•, ৮ম পু• মধুকণ্ঠ উবাচ-কিমিখমাখ। তাবন্মাত্রায় তস্য কথং ক্ষুৎক্ষামগাত্ৰাদ্ধালপুত্ৰাদন্যত্র যাত্রাযুক্তিপাত্রায়তাং স হি বৎস বৎসলানামচছতভাগুপম ৷ ” স্নিগ্ধকণ্ঠঃ সহাসমাহ স্ম—গুরো পুরোহবধীয়তাং যদ্বাৎসল্যবিলাস এবং খলন্বয়মস্যাঃ । মধুকণ্ঠ উবাচ। কথমিব ? স্নিগ্ধকণ্ঠ উবাচ-তথাহি-যে গেহদেহাদীংস্তং বিনাহস্তমিতপ্রায়ান্মান্যন্তে স্ম। তো তু তজজন্মারভ্য তন্মমতাময়মমতা এব তাভ্যাং পিতৃভ্যামভ্যমন্যন্ত । “যাদ্ধামার্থ সুহৃৎপ্রিয়াত্মতনয়প্ৰাণাশিয়াস্তুৎকৃতে” ইতি ব্ৰহ্মবাক্যে ব্ৰজমাত্ৰস্যাপি তথা অত্র সমাধানাৰ্থং মধুকণ্ঠশ্নিগ্ধকণ্ঠয়োর্কবাকোবাক্যং বর্ণয়তি—কিমিথমাথেত্যাদি গদ্যোন । (তাবন্মাত্রায় পয়োরক্ষণাৰ্থং ) যুক্তিযোগ্য ইবাচরতাং । আচ্ছতাং প্ৰসন্নতাং ভজমান। অন্তমিত মধুকণ্ঠ কহিলেন, কেন তুমি এরূপ কহিতেছ? কেবলমাত্র ঐ রূপ কাৰ্য্য অর্থাৎ দুগ্ধ রক্ষার জন্যই ক্ষুধায় ক্ষীণকলেবর শিশুপুত্রকে পরিত্যাগ করিয়া অন্য স্থানে গমন করা কিরূপে যুক্তিসঙ্গত হইতে পারে? কারণ যে সকল পুত্ৰস্নেহবতী রমণী আছে, তাহদের মধ্যে তিনি নিৰ্ম্মল উপমাস্থল। স্নিগ্ধকণ্ঠ সহস্তে কহিলেন, হে গুরো ! আপনি প্ৰথমেই ইহা শ্রবণ করুন, যে হেতু জননীর ইহাও এক প্রকার বাৎসল্যের পরিপাটী। মধুকণ্ঠ বলিলেন, কি প্রকার ? স্নিগ্ধকণ্ঠ কহিলেন, দেখুন র্যাহারা, শ্ৰীকৃষ্ণ ব্যতীত গৃহদেহাদি বস্তু সকল প্ৰায় অস্তমিত অর্থাৎ যেন লয়প্রাপ্ত হইয়া গিয়াছে,এইরূপ ভাবিয়াছিলেন,শ্ৰীকৃষ্ণের জন্মাবধি তঁহাদের শ্ৰীকৃষ্ণের প্রতি “আমার পুত্র” এই প্ৰকার ভাবপুর্ণ মমতা আছে ৰলিয়া পিতা মাতা বিবেচনা করিয়াছিলেন। “যাহাদিগের গৃহ, ধন, সুহৃৎ, প্রিয়, আত্মা, তনয়, প্রাণ ও আশয় সমুদয় আপনাতে অৰ্পিত, তাহাদিগকে তদপেক্ষা শ্ৰেীফল না দিলে পৰ্য্যাপ্ত হইবে কেন ?” দশমঙ্কন্ধের ১৪ অধ্যায়ে
