ર, শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গুন্দর রাজা প্রভুর বস্ত্ৰ পাইয়া যার-পর-নাই আনন্দিত হইলেন। প্রভুর স্বরূপেই প্রভুর বসনখানিকে পূজা করিয়া আশার আশায় জীবন ধারণ করিতে লাগিলেন। ইতিমধ্যে রায় রামানন্দ কটকে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। রাজা রায় রামানন্দকে প্রভুর কৃপাপাত্ৰ জানিয়া তাহাকে নিজের অভিপ্ৰায় জানাইলেন এবং তিনি যাহাতে প্রভুকে জানাইয়া তাঁহাকে প্রভুর চরণ দর্শন করাইতে পারেন তদ্বিষয়ে বিশেষ সহায়তা করিতে বলিলেন। পরে উভয়েই একসঙ্গে কটক হইতে পুরীতে আগমন করিলেন । রামানন্দ রায় পুরীতে আসিয়া প্ৰথমেই প্ৰভুর শ্ৰীচরণ দর্শন করিলেন। তিনি আসিয়া প্রভুর চরণবিন্দন করিলে, প্ৰভু তঁহাকে উঠাইয়া আলিঙ্গন করিলেন। দুইজনেই প্ৰেমাবেশে কিয়ৎকাল রোদন করিলেন। রামানন্দের প্ৰতি প্রভুর স্নেহব্যবহার দেখিয়া ভক্তগণ বিস্মিত হইলেন। রামানন্দ বলিলেন, “প্ৰভুর আজ্ঞানুসারে দাস রাজাকে নিজের অভিপ্ৰায় নিবেদন করিলে, তিনি আমাকে কৰ্ম্ম হইতে অবসর প্রদান করিয়াছেন। রাজা প্রভুর ইচ্ছানুসারেই আমাকে বিষয় হইতে মুক্তি দিয়াছেন। আমি যখন রাজাকে জানাইলাম, আমি আর বিষয়কৰ্ম্ম করিতে পারিব না, আজ্ঞা দিন, প্রভুর চরণতলে পড়িয়া থাকি । রাজা প্ৰভুর নাম শুনিয়া তখনই আনন্দে আসীন হইতে উঠিয়া আমাকে আলিঙ্গন করিলেন। তিনি প্রভুর নাম শুনিয়া প্ৰেমাবিষ্ট হইয়া আমার হস্তধারণ পূর্বক বলিলেন,-তোমাকে আর রাজকৰ্ম্ম করিতে হইবে না, তুমি যাহা বেতন পাইতে তাহাই পাইবে, নিশ্চিন্ত হইয়া প্রভুর চরণসেবা কর। আমি অতি অধম, প্রভুর দর্শনালাভের যোগ্য নাহি। যিনি প্রভুর চরণসেবা করেন, দ্বার্তাহারই জন্ম সফল, জীবন সফল। যাহাই হউক, ব্ৰজেন্দ্ৰনন্দন পরম-কৃপালু, কোন না কোন জন্মে অবশ্য আমাকে দর্শন দিবেন। রাজার যেরূপ আৰ্ত্তি দেখিলাম, আমাতে তাহার একবিন্দুও নাই।” প্ৰভু বলিলেন, “তুমি ভক্ত প্ৰধান, তোমাতে যে শ্ৰীতি করে, সেও। অবশ্য ভাগ্যবান ; রাজা যখন তোমাকে এতাদৃশী গ্ৰীতি করিয়াছেন, তখন শ্ৰীকৃষ্ণ ও অবশ্য তঁহাকে অঙ্গীকার করিবেন।” প্রভুর সহিত এইরূপ কথাবাৰ্ত্তার পর রামানন্দ, পুৱীগোসাঁই, স্বরূপদামােদর ও নিত্যানন্দ প্রভুর চরণবান্দনা করিলেন। পরে অপরাপর ভক্তগণের সহিত মিলন হইল। মিলনের পর। প্ৰভু বলিলেন, “রায়, তোমার জগন্নাথ দৰ্শন DBBD DBD S BDDBBD DBBBSSSSLDS gED DDD DB DBD S Msu বলিলেন, “রায়, এ কি কৰ্ম্ম করিলে ? তুমি জগন্নাথ দৰ্শন না করিয়াই এখানে
