পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शक्षा-औव्ला aMMMM// LLLLLL LLLLLLLLMLMLMLMLMLLLLeLMMeMeMSLLLLLLLL LLLLLLLA LLLAAMLL LAL LqLeqALALSqMAS AS ALM ML ML ALALLALSLAM LELeL eeeL LL LLL LLL LLLLLLLLSLLML সকলের বিচারজনিত জ্ঞানই ফলঙ্গান। বৃত্তিজ্ঞান বিচার নিরপেক্ষ অতএব স্বপ্ৰকাশ বলিয়া স্বাভাবিক এবং ফলজন্তান বিচার নিম্পন্ন অতএব পরপ্ৰকাশ্য বলিয়া কৃত্রিম। নিৰ্ম্মল নিবিষয় অন্তঃকরণ আত্মাকারে আকারিত হইলেই তাহাকে আত্মজ্ঞান বা বৃত্তিজ্ঞান বলা যায়। আত্মার ফলজজ্ঞান হয় না। অন্তঃকরণ ঘটপটাদি বিষয়ের আকারে আকারিত হইলে, বুদ্ধিস্থ চিদাভাসকর্তৃক বিচারপূর্বক ঘটপটা দিবিষয়ক অজ্ঞানের "অপসারণদ্বারা যে জ্ঞান উৎপাদিত হয়, শুদ্ধসত্ত্ববিশেষ ভােবরূপ বৃত্তিজ্ঞান বুখানন্দশায় বা সংসারদশায় অন্তঃকরণের বৃত্তির সহিত একীভূত হইয়া প্ৰকাশ পায় বলিয়া অজ্ঞ ব্যক্তির দৃষ্টিতে উহা জন্য বা অনিত্য বলিয়া বোধ হইলেও প্রকৃত পক্ষে উহা জন্য • বা অনিত্য নহে। আনখাগ্ৰাকেশব্যাপিনী আত্মানুভূতি অজ্ঞব্যক্তির দৃষ্টিতে দেহাদ্যনাতিরিক্ত জড়বৃত্তি বলিয়া প্ৰতীয়মান হইলেও শাস্ত্রানুসারে উহা যদ্রুপ দেহাদ্যাতিরিক্ত স্বপ্ৰকাশবস্তু, তদ্রুপ চিদানন্দময়ী ভাববৃত্তি প্ৰাকৃতান্তঃকরণবৃত্তির সহিত অভেদাকারে আকারিত তইলেও বস্তুতঃ অন্তঃকরণবৃত্তি হইতে অতিরিক্ত স্বপ্ৰকাশ চিন্ময় বস্তু। গ্ৰন্থকার প্রভুপাদ সাধারণ লৌকিক প্ৰতীতির অনুকরণে এ স্থলে আত্মনিষ্ঠ স্বপ্ৰকাশ ভােবরূপ-বৃত্তিকে স্বরূপভূত অন্তঃকরণের স্বাভাবিকীবৃত্তি না বলিয়া অন্তঃকরণের স্বাভাবিকবৃত্তিরূপে নির্দেশ করিয়াছেন । সিদ্ধভক্তগণের বিদেহকৈবল্য প্রাপ্তির সমকালে ভাগবতী তনুর অভিব্যক্তির সহিত পূর্বোক্ত আত্মম্বরূপভূত অন্তঃকরণের স্বাভাবিকীবৃত্তি যে প্ৰকাশ প্রাপ্ত হয় তাহা ভাগবতপরমহংসগণ অনুমোদন করেন। ভক্তিরসবিৎপণ্ডিতগণ ইহা বিশেষরূপে বিবেচনা করিয়া লাইবেন । জ্ঞানবাদিগণ সাধারণতঃ জ্ঞানকে দুইভাগে বিভক্ত করেন। একটী স্বরূপজ্ঞান ও অপরটীি অন্তঃকরণবৃত্তিরূপ অম্বরূপজ্ঞান। প্রথুমটা নিতম্বপ্ৰকাশ ও দ্বিতীয়টা আত্মপ্রকাশ্য ও জন্য। অন্তঃকরণ ইন্দ্ৰিয়রূপ প্ৰণালীদ্বারা ঘটাদি বিষয়দেশে গমনপূর্বক জ্ঞেয় ঘটাদিবিষয়াকারে আকারিত হইয়া তদগত অজ্ঞান নিবৃত্তি করে এবং অন্তঃকরণস্থ চিদাভাস সেই জ্ঞেয় বস্তুকে প্ৰকাশ করেন। উক্ত জ্ঞেয় ঘটাদিবিষয়গত অজ্ঞাননিবৰ্ত্তিকান্তঃকরণবৃত্তিকে বৃত্তিজ্ঞান বলে ও জ্ঞেয় ঘটা দিবস্তু প্ৰকাশক বুদ্ধিস্থ চিদাভাসকে ফলজ্ঞান বলে। এতদভিপ্ৰায়ে বেদান্ত শাস্ত্ৰ—“বুদ্ধিতস্থচিদাভাসে দ্বাবপি ব্যাপ্নতো ঘটম। তত্ৰাজ্ঞানং ধিয়া নম্প্র্যোদাভাসেন ঘটঃ ক্ষুরেৎ । (পঞ্চদশী) এইরূপ উপদেশ করিয়াছেন । কিন্তু যখন আত্মাকার অন্তঃকরণবৃত্তি জন্মে, তখন বৃত্তিজ্ঞান কেবল আত্মবিষয়ক অজ্ঞাননিবৰ্ত্তক হয়, আত্মাকে প্ৰকাশ করে না ; কারণ আত্মা স্বপ্ৰকাশ চিন্ময় বস্তু। তাহাকে চিদাভাস কিরূপে প্ৰকাশ করিবে ? এই নিমিত্ত বেদান্তাচাৰ্য্য বলেন-“স্বপ্ৰকাশোহপি সাক্ষ্যেব। ধীবৃত্ত্যা ব্যাপ্যতেই ন্যবৎ ” “ফলব্যাপ্যত্বমেবাস্ত শাস্ত্ৰকৃদ্ভিার্নিরাকৃতম। ব্ৰহ্মণ্যজ্ঞাননাশায় বৃত্তিব্যাপ্তিরপেক্ষিতা।” ৷ * श्रग्रंथकांन्तंभानाम्राङांग ऊं°बूलJऊ ॥” (°क्षौ) १॥३२॥