পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(V) बीीिgशोद्भाश्नाद्भ হরিদাস ঠাকুর নিজ স্বভাবসিদ্ধ বিনয় সহকারে উত্তর করিলেন, — “শুন বাপ সবারই একই ঈশ্বর। নাম-মাত্র ভেদ করে হিন্দুয়ে যবনে । পরমার্থে এক কহে কোরাণে পুরাণে । এক শুদ্ধ নিত্য বস্তু অখণ্ড অব্যয় । পরিপূর্ণ হই বৈসে সভার হৃদয়। সেই প্ৰভু যারো যেন লওয়ায়েন মন । সেইমত কৰ্ম্ম করে সকল ভুবন । সে প্রভুর নাম গুণ সকল জগতে । বোলেন সকল মাত্ৰ নিজশাস্ত্ৰমতে ৷” হরিদাস ঠাকুরের মধুর সত্যবাক্যে বিচারকীৰ্ত্তা মুলুকপতি ও সভাস্থ অপর সকল মুসলমানই বিশেষ সন্তোষ লাভ করিলেন, কেবল গোরাই নামক এক দুষ্ট কাজী অসন্তুষ্ট হইল। " সেই নীচাশয় কাজী বলিয়া উঠিল, “এ ব্যক্তি যেরূপ অপরাধ করিয়াছে, তদুপযুক্ত দণ্ডবিধানই কৰ্ত্তব্য, নতুবা ইহার দৃষ্টান্ত অনুসারে অপরাপর মুসলমানও হিন্দুর ধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়া মুসলমানধৰ্ম্মের ক্ষতি করিবে।” এই কথা শুনিয়া বিচারপতির ভাবের পরিবর্তন ঘটিল। তখন তিনি বলিলেন,-“আরে ভাই, তুমি হিন্দুর ধৰ্ম্মাচরণ ত্যাগ করিয়া মুসলমানশাস্ত্ৰ পাঠ কর ও মুসলমানধৰ্ম্ম আচরণ করা। অন্যথা তোমাকে যথেষ্ট শাস্তি গ্ৰহণ করিতে হইবে।” হরিদাস ঠাকুর শ্ৰীহরিনামের প্রভাব বিশেষরূপে বিদিত ছিলেন। তিনি নিৰ্ভয়ে উত্তর করিলেন,--- “খণ্ড খণ্ড হই দেহ যদি যায় প্ৰাণ । उcडों कांनेि दलcन नों छद्धि शब्रिनाभ ॥” হরিদাসের কথা শ্ৰবণ করিয়া মুলুকপতি সভাসদবৰ্গকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন,- “এবে কি করিবা ইহা প্ৰতি ?” পূৰ্বোক্ত দুষ্টাশয় কাজী অবসর বুঝিয়া বলিল,-“ইহাকে লইয়া বাইশ বাজারে বেত্ৰাঘাত বা রা হউক । বাইশ বাজারের বেত্ৰাঘাতেও যদি ইহার জীবন থাকে, তাহাতেও যদি ইহার মৃত্যু না হয়, তাহা হইলে, হিন্দুধৰ্ম্মের মহিমা বুঝা যাইবে ।” হরিদাস ঠাকুরের প্রতি উক্ত ভীষণ দণ্ডেরই আদেশ হইল। আদেশমাত্র