পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত । సి\లి দোদকের মহিমা বুঝাইতে। পান করিলেন প্রভু আপনে সাক্ষাতে ॥ বিপ্ৰ পাদোদক পান করিয়া ঈশ্বর। সেইক্ষণে সুস্থহৈলা আর নাহি জ্বর। ঈশ্বরে সে করে বিপ্র পাদোদক পান। এতান স্বভাব বেদ পুরাণ প্রমাণ ॥ তথাহি ঐগী তায়াং। যেযথা মাংপ্ৰপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহং n * ॥ যে র্তাহার দাস্যপদ ভাবে নিরন্তর। তাহার অবশু দাস্য করেন ঈশ্বর ৷ অতএব নাম তার ভকতবৎ সল। অৗপনে হারিয়া বাড়ায়েন ভক্তবল । সৰ্ব্বত্র রক্ষক হেন প্রভুর চরণ। বল দেখি কেমতে ছাড়িব ভক্তগণ ॥ হেলমতে করি প্রভু জ্বরের বিনাশ । পুন পুনাতী র্থে আসি হইলা প্রকাশ ॥ স্নান করি পিতৃদেব করিয়া অৰ্চন । গয়াতে প্রবিষ্ট হৈলা শ্ৰীশচীনন্দন। গয়াতীর্থরাজে প্রভু প্রবিষ্ট হইয়া। নমস্করিলেন প্ৰভু ঐকরযুড়িয় ॥ ব্রহ্মকুণ্ডে আসি প্রভু করিলেন স্নান। যথোচিত কৈলা পিতৃদেবের সন্মান ॥ তবে আইলেন চক্রবেড়ের ভিতরে | পাদপদ্ম দেখিবারে চলিলা স ত্বরে ॥ বিপ্রগণ বেড়ি আছেন শ্ৰীচরণ স্থান। শ্রীচরণে মালা য়েন দেউল প্রমাণ ॥ গন্ধপুষ্প ধুপদীপ বস্ত্ৰ অলঙ্কার। কত পড়িয়াছে লেখাযেখি নাহি তার ॥ চ তুর্দিগে দিব্যৰূপ ধরি বিপ্রগণ । করিতেছে পাদপদ্ম প্রভাব বর্ণন । কাশীনাথ হৃদয়ে ধরিলা যেচরণ । যেচরণ নিরবধি লক্ষীর জীবন ॥ বলিশিরে আবির্ভাব হৈল যেচরণ । সেই এইদেখ যত ভাগ্যবন্তজন ॥ তিলান্ধেক ষেচরণ ধ্যান কৈলে মাত্র। যম তাঁর না হয়েন অধিকার পাত্র। যোগেশ্বর সভের জুল্লভ যেচরণ । সেই এইদেখ সব ভাগ্যবন্তজন ॥ যেচরণে ভাগীরথী হইল প্রকাশ । নিরবধি হৃদ য়ে না ছড়ে যার দাস ॥ অনন্ত শয্যায় অতিপ্রিয় যেচরণ । সেই এইদেখ যত ভাগ্যবন্তজন ॥ চরণ প্রভাব শুনি বিপ্রগণ মুখে। আবিষ্ট হইল প্রভু নিজানন্দ সুখে ॥ অশ্রুধারা বহে দুই শ্ৰীপদ্ম নয়নে। রোমহর্ষ কম্পহৈল চরণ দর্শনে ॥ সৰ্ব্ব জগতের ভাগ্য প্রভু গৌরচন্দ্র। প্রেমভক্তি প্রকাশের করিলা আরম্ভ। অবি চ্ছিন্ন গঙ্গাবহে প্রভুর নয়নে। পরম অদ্ভুত সব দেখে বিপ্ৰগণে ॥ দৈবযোগে ঈশ্ব রপুরীও সেইক্ষণে। আইলেন ঈশ্বর ইচ্ছায় সেইস্থানে ॥ ঈশ্বরপুরীরে দেখি শ্ৰীগৌরসুন্দর। নমস্করিলেন বড় করিয়া আদর। ঈশ্বরপুরীও গৌরচন্দ্ররে দেখি য়া। আলিঙ্গন করিলেন মহাহৰ্ষ হঞ । দোঙ্গর বিগ্রহ দোহাকার প্ৰেমজলে। সিঞ্চিত হইল প্রেমানন্দ কুতুহলে। প্রভু বোলে গয়া যাত্র সফল আমার । যত ক্ষণে দেখিলাম চরণ তোমার ॥ তীর্থে পিণ্ড দিলে সে নিস্তরে পিতৃগণ । সেও ষারে পিণ্ডদেয় তরে সেইজন ৷ তোম। দেখিলেইমাত্র কোটি পিতৃগণ । সেইক্ষণে সৰ্ব্ববন্ধ পায় বিমোচন ৷ অতএব তীর্থ নহে তোমারসমীন ৷ তী র্থের পরম তুমি মঙ্গল প্রধান। সংসার সমুদ্র হৈতে উদ্ধারে অামারে ' এই আমি দেহ সমৰ্পিলাম তোমারে। কৃষ্ণপাদ পদ্মের অমৃত রস পান। আ