পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত > )○ কছিলেন প্রভু অতি রহস্য কথন। শুনিয়া শচীর কিছু স্থির হৈল মন ৷ এইমতে আছেন ঠাকুর বিশ্বম্ভর । সংকীৰ্ত্তন আনন্দ করেন নিরন্তর। স্বেচ্ছাময় মহেশ্বর কখন কিকরে। ঈশ্বরের মৰ্ম্ম কেহো বুঝিতে না পারে। নিরবধি পরানন্দ সংকী র্তন রঙ্গে। হরিষে থাকেন সৰ্ব্ব বৈষ্ণবের সঙ্গে ॥ পরানন্দে বিহ্বল সকল ভক্তগণ পাসরি রহিলা সভে প্রভুর গমন । সৰ্ব্ব দেবে ভাবেনযে প্রভুরে দেখিতে। ক্রীড়া করে ভক্তগণ সে প্রভু সহিতে ৷ যেদিন চলিব প্ৰভু সন্ন্যাস করিতে। নিতানন্দ স্থানে তাহ কহিলা নিভৃতে । শুনহ নিত্যানন্দ স্বৰূপ গোসাঞি। একথা কহিব সভে পঞ্চজন ঠাঞি ॥ এই সংক্রমন উত্তরায়ণ দিবসে নিশ্চয় চলিব আমি করিতে সন্ন্যাসে ৷ ইন্দ্রাণি নিকটে কাটোঙা নামে গ্রাম। তথা আছেন কেশব ভারতী শুদ্ধ নাম । তার স্থানে আমার সন্ন্যাস সুনিশ্চিত। এই পাচজনে মাত্র করিবা বিদিত। আমার জননী গদাধর ব্রহ্মানন্দ। শ্ৰীচন্দ্র শেখরাচাৰ্য্য অপর মুকুন্দ। এই কথা নিত্যানন্দ স্বৰূপের স্থানে। কহিলেন প্ৰভু ইহ কেহ নাহি জানে ॥ পঞ্চজন স্থানে মাত্র এসব কথন । কহিলেন নিত্যানন্দ अबूलं शमम ॥ সেই দিন প্রভু সৰ্ব্ব বৈষ্ণবের সঙ্গে। সৰ্ব্ব দিন গোঙাইলা সংকীৰ্ত্তন রঙ্গে ॥ পরম আনন্দে প্রভু করিয়া ভোজন। সন্ধ্যায় করিলা গঙ্গা দেখিতে গমন । গঙ্গা নমস্করিয়া বসিলা গঙ্গাতীরে। ক্ষণেক থাকিয়া পুন আইলেন ঘরে ॥ আসিয়া বসিলা গৃহে ঐগেীর সুন্দর। চতুর্দিগে বসিলেন সব অনুচর। সে দিন চলিব প্রভু কেহ নাহি জানে। কৌতুকে আছেন সতে ঠাকুরের সনে ॥ বসিয়া আছেন প্রভু কমল লোচন | সৰ্ব্বাঙ্গে শোভিত মালা সুগন্ধি চন্দন ॥ যতেক বৈষ্ণব আইসেন দে খিবারে। সভেই চন্দন মালা দুই দুই করে। হেন আকর্ষণ প্রভু করিলা আপনি কেবা কোন দিগে হৈতে আইসে না জানি। কতেক বা নগরিয়া আইসে দেখি তে। . ব্রহ্মাদির শক্তি ইহা নাহিক লিখিতে ॥ দণ্ড পরণাম ছএং পঢ়ে সৰ্ব্ব জন এক দৃষ্টে সভেই চাহেন শ্ৰীচরণ ॥ আপন গলার মালা সভাকারে দিয়া । আজ্ঞ। করে প্রভু সভে কৃষ্ণ গাও গিয়া । বল ক্লষ্ণ গাও কৃষ্ণ ভজ কৃষ্ণ নাম। কৃষ্ণ বিনু কেহ কিছু না ভাবিহ আন ॥ যদি আমী প্রতি স্নেহ থাকয়ে সভার। তবে কৃষ্ণ ব্যতিরিক্ত ন গাইবে আর ॥ কি শয়নে কি ভোজনে কিবা জাগরণে অহন্নিশি চিন্তকৃষ্ণ বলহ বদনে ॥ এইমত শুভদৃষ্টি করি সভাকারে। উপদেশ কহি আজ্ঞা করে যাইবারে। এইমত কত ষায় কত বা আইসে। কেহ কারে না চিনে আনন্দে সবে ভাষে ॥ পূর্ণ হৈল ঐবিগ্ৰহ চন্দন মালায় । চন্দ্রে বা কতেক শোভা কহনে না যায়। প্রসাদ পাইয়া সভে হরষিত হএক্স । উচ্চ হরিধনি সভে যায়েন করিয়া ৷ এক লাউ হাতে করি সুরুতি শ্ৰীধর। হেনই সময়ে আসি হইল গোচর লাউ ভেট দেখি হাসে লীগের সুন্দরে। কোথায়ে পাইলা প্রভু জিজ্ঞাসে তাহারে