পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদিখণ্ডের কথাসার শ্ৰীগৌরসুন্দরের আবির্ভাবের পূর্বে নবদ্বীপের তাৎকালিক সমৃদ্ধি ও ভগব।দ্বিমুখাবস্থা এবং শ্ৰীচৈতন্যের SDBBB D BBDDDDB DDSDD KBBDDDSDDS DD DBSBDB BBiB BDD S এই খণ্ডে প্ৰথম অধ্যায়ে মঙ্গলাচরণে সপরিকর শ্ৰীশ্ৰীগৌর নিত্যানন্দোব বন্দনাপূর্বক শাস্ত্ৰ প্ৰমাণে ভগবৎ-পূজা অপেক্ষাও ভগবস্তুক্তিপূজার শ্ৰেষ্ঠত কীৰ্ত্তন করিয়া স্বীয় ইষ্টদেব শ্ৰীনিত্যানদের তত্ত্ব কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। দ্বিতীয়ে-নবদ্বীপের তাৎকালিক ভগব।দ্বিমুখী ও পরাম-সমৃদ্ধিময়ী অবস্থা, পরদুঃখদুঃখী ভিক্তগণের কৃষ্ণবৈমুখ্যদর্শনে দুঃখ, শ্ৰীল অদ্বৈতাচাৰ্য্যের গঙ্গাজল তুলসীজলে কৃষ্ণারাধনা, স্বয়ং ভগবানের আবির্ভাবের পূর্বে মাঘী শুক্লাত্রয়োদশীতে স্বয়ংপ্রকাশ ভগবান শ্ৰীবলদেবের শ্ৰী নিত্যানন্দরূপে আবির্ভাব, পরে ফান্ধনীপূর্ণিমায় চন্দ্ৰগ্ৰহণচ্ছলে সঙ্কীৰ্ত্তনরোলের মধ্যে মুংরূপ ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের মহাবিদ্যান্য শ্ৰীগৌরসুন্দরীরূপে আবির্ভােব বর্ণিত হইয়াছে। তৃতীয়ে-নীলাম্বর চক্ৰবৰ্ত্তি-কর্তৃক শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর লগ্নবিচার ও মিশ্রভবনে বিপুল আনন্দোৎসবের কথা বর্ণিত হইয়াছে। ভগবানের ও তদীয় ভক্তের জন্মকৰ্ম্মাদি লীলার নিত্যত্ব ও অপ্রাকৃতিত্ব বর্ণিত হইয়াছে। प्रुडू८र्थ--শিশু গৌরসুন্দর ক্ৰন্দনচ্ছলে সকলের দ্বারা হরিনাম-কীৰ্ত্তন করাইয়া মিশ্রভবনকে কৃষ্ণকোলাহল-মুখরিত করিতেন। ক্রমে নামকরণ-সংস্কারে তঁাহার “বিশ্বম্ভর” ও “নিমাই” নাম হইল। জানুচংক্ৰমণ-লীলায় নিমাই একদিন অঙ্গনে এক সৰ্প ( শেষ নাগ) লইয়া খেলা করিতে করিতে তাহার উপর শয়ন করিয়া শেষশায়ি-লীলা প্ৰদৰ্শন করিলেন। পঞ্চমে-মিশ্ৰগৃহে অভ্যাগত বালগোপাল-উপাসক কোন তৈর্থিক ব্ৰাহ্মণকে শ্ৰীগৌরসুন্দর গভীর রাত্রে শঙ্খ-চক্ৰ-গদা পদ্ম-ধারী চতুভূজরূপে এবং পুনঃ দুই হস্তে নবনীত ভক্ষণ ও দুই হস্তে মুরলীবাদন পূর্বক স্বীয় অপূৰ্বরূপে অশেষ কৃপা করেন। ষষ্ঠে—“বিদ্যারম্ভ।” হইলে নিমাই তিনদিনে সমগ্ৰ বৰ্ণমালা প্ৰভৃতি আয়ত্ত করিয়া কৃষ্ণনাম-মালা পড়িতে ও লিখিতে লাগিলেন। একদ। একাদশী দিবসে নিমাই অত্যন্ত কঁাদিতে থাকিলে নবদ্বীপবাসী জগদীশ ও হিরণ্যপণ্ডিত নামক দুই বৈষ্ণবব্ৰাহ্মণের গৃহে প্ৰস্তুত বিষ্ণুনৈবেদ্য ভক্ষণ করিয়া ক্ৰন্দন হইতে নিবৃত্ত হইলেন। সপ্তমে-বিশ্বম্ভরের অগ্ৰজ আজন্মবিরক্ত শ্ৰী বিশ্বরূপ কৃষ্ণভক্তিকেই সর্বশাস্ত্রের তাৎপৰ্যরূপে ব্যাখ্যা করতেন। তিনি “শ্ৰীশঙ্করারণ্য” নাম গ্ৰহণপূর্বক সন্ন্যাসলীলা প্ৰদৰ্শন করিলে শচীজগন্নাথ অত্যন্ত মৰ্ম্মাহত ও আশঙ্কিত হইয়া নিমাইরী পাঠ বন্ধ করিয়া দিলেন। পাঠবন্ধের প্রতিবাদকল্পে নিমাই একদিন পরিত্যক্ত অস্পৃশ্য হাড়ী-সমূহের উপর বসিয়া শাসনোত্মতা জননীকে দস্তুত্ৰেয়ভাবে উপদেশ প্রদান করিলেন। অষ্টমে-নিমাই উপনয়ন সংস্কারের পর বিদ্যারিসে নিমগ্ন হইলেন। কিছুকাল পরে জগন্নাথ মিশ্রের অন্তর্ধান হইলে মাতাকে নানাপ্রকারে সান্তনা দিয়া ব্ৰহ্মাদিরও সুদুৰ্লভ বস্তু দিতে প্ৰতিশ্রুত হইলেন। নবমে – শ্ৰীনিত্যানন্দ প্ৰভু দ্বাদশবর্ষপৰ্য্যন্ত বাল্যক্রীড়ায় নানা-অবতারগণের বিবিধলীলাভিনয় করিলেন, এবং বিংশতিবর্ষপৰ্য্যন্ত নানা তীর্থ পৰ্য্যটন ‘ করিয়া নবদ্বীপে আসিয়া শ্ৰীগৌরসুন্দরের সঙ্গে মিলিত হন। শ্ৰীমনমহাপ্ৰভু আত্মপ্ৰকাশ করিবার পূৰ্ব্বে সেবিকলীলাকারী শ্ৰীনিতানন্দ ও আত্মপ্রকাশ করেন নাই, এবং শ্ৰীগৌরসুন্দরের আজ্ঞা-লাভের পূর্বে স্বতন্ত্রভাবে নাম-প্ৰেম-বিতরণলীলা করেন নাই । দশমে-ক্রমে রিস্থাবিলাসী শ্ৰীগৌরসুন্দর মুকুন্দসঞ্জয়ের গৃহে চণ্ডীমণ্ডপে অধ্যাপনালীিলা প্ৰকাশ করিলেন এবং কিছুদিন পরে স্বীয় লক্ষ্মী, বল্লন্ড-তনয়৷ শ্ৰীলক্ষ্মীদেবীর পাণিগ্রহণ করিলেন। একাদশে-শ্ৰীগৌরমুন্দর অদ্বৈতসম্ভায় কৃষ্ণকীৰ্ত্তনকারী সৰ্ব্ববৈষ্ণবপ্রিয় মুকুন্দকে লক্ষ্য করিয়া স্বীয় ভাবি-লীপার আভাস প্রদান করিলেন । শ্ৰীল। •