পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R “স্বামী নিলা কৃষ্ণচন্দ্ৰ ! নিলা পুত্ৰগণ। অবশিষ্ট সবে-মাত্ৰ আছে এক জন ৷ ১৩৫ ৷৷ অনাথিনী মোরে, কৃষ্ণ ! এই দেহ’ বার। সুস্থচিত্তে গৃহে মোর রাহু বিশ্বম্ভর ॥” ১৩৬ ৷৷ পুত্রবধু দ্বারা উদাসীন-পুত্রের গৃহাসক্তি-1দ্ধন-চেষ্টা, কৃষ্ণবিরহাইেক্রান্ত প্রভুর পৈরাগ্য ও ঔদাসীন্য - লক্ষমীরে আনিঞা পুত্র-সমীপে বসায়। দৃষ্টিপাত করিয়াও প্ৰভু নাহি চায়৷ ১৩৭ ৷৷ অহনিশ কৃষ্ণবিরহ-বেদনায় প্রচুর শ্লো কাবৃত্তি, অধৈৰ্য্য ও ক্ৰন্দননিরবধি শ্লোক পড়ি’ করয়ে রোদিন । “কোথা কৃষ্ণ ! কোথা কৃষ্ণ ” বলে অনুক্ষণ ॥১৩৮৷৷ কখনো কখনো যেবা হুঙ্কার করায় । ডরে পলায়েন লক্ষী, শচী পায় ভয় ৷ ১৩৯ ৷৷ রাত্র্যে নিদ্রা নাহি য’ন প্ৰভু কৃষ্ণরসে। বিরহে না পায় স্বাস্থ্য, উঠে, পড়ে, বৈসে ৷৷ ১৪০ ৷৷ বহিরঙ্গ-লোক-দর্শনে প্রভূর নিজ নিগুঢ় অন্তর্ভাব-গোপনভিন্ন লোক দেখিলে করেন সম্বরণ। উষঃকালে গঙ্গাস্নানে করয়ে গমন৷৷ ১৪১ ৷৷ প্রত্যহ প্ৰভু গঙ্গাস্বানান্তে আসিবা-মাত্র শিষ্যগণের পাঠার্থ আগমনআইলেন মাত্ৰ প্ৰভু করি।” গঙ্গাস্নান। পড়ুয়ার বর্গ আসি হৈল উপস্থান ॥১৪২ ৷৷ প্ৰভু-মুখে নিরন্তর একমাত্র “কৃষ্ণ'-শব্দেচারণ“কৃষ্ণ” বিনা ঠাকুরের না আইসে বদনে। পড়য়া-সকল ইহা কিছুই না জানে৷৷১৪৩৷৷ হইতেই সকলে শ্ৰীকৃষ্ণের অজ্ঞাতি-লীলা-রহস্য সমস্ত নিশ্চয়ই জানিতে পারবেন,- ইহাতে আর সন্দেহ নাই ৷৷ ১১৪ ৷৷ অবধি,-( প্ৰান্ত, শেষ, সীমা । #ግ፣ व्ॐ द्रिः । বৃদ্ধিপ্ৰাপ্ত বা সম্বদ্ধিত, অধিক, ‘বাড়ী"। ১২৩ ৷৷ সবার প্রকাশ, - সকলের হৃদয়ে আনন্দশোভা-ব্যক্তিকারী, শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্যভাগবত সকলের প্রার্থনায় পরমমুখ্যা-বিদ্বাদরূঢ়িবৃত্তিতে প্রভুর অধ্যাপন-মুখে কৃষ্ণনাম-মাহাত্ম্য প্ৰকাশারম্ভঅনুরোধে প্ৰভু বসিলেন পড়াইতে। পড়ুয়া-সবার স্থানে প্রকাশ করিতে ॥১৪৪৷৷ “হরি’ বলি’ পুথি মেলিলেন শিষ্যগণ। শুনিঞা আনন্দ হৈলা শ্ৰীশচীনন্দন ৷৷ ১৪৫ ৷৷ হরিধ্বনি-শ্রবণে প্রভুর অধোক্ষাজ-দৰ্শন-প্রকাশবাহ নাহি প্রভুর শুনিঞা হরিধ্বনি। শুভদৃষ্টি সবারে করিলা দ্বিজমণি ৷৷ ১৪৬ ৷৷ নিত্য-শুদ্ধ-পূর্ণ-মুক্ত চিন্ময়ী পরম-মুখ্যা বিদ্বদন্ধটি-বৃত্তিতে প্রভুর ব্যাখ্যানারস্তআবিষ্ট হইয়া প্ৰভু করেন ব্যাখ্যান। সূত্ৰ-বৃত্তি-টীকায়, সকল হরিনাম ৷৷ ১৪৭ ৷৷ প্ৰভু-কর্তৃক সৰ্ব্বশাস্ত্ৰ-বণিত কৃষ্ণের নাম ও তত্ত্বभछिम-दा2ि|Jान - প্ৰভু বলে,-“সৰ্বকাল সত্য কৃষ্ণনাম। সর্ব-শাস্ত্রে “কৃষ্ণ' বই না বলয়ে আন ৷৷ ১৪৮ ৷৷ হৰ্ত্ত কৰ্ত্তা পালয়িতা কৃষ্ণ সে ঈশ্বর। অজ-ভাব-আদি, সাব-কৃষ্ণের কিঙ্কর ৷ ১৪৯ ৷৷ কৃষ্ণেতর-ব্যাখ্যাকারী কৃষ্ণনাম-ভজনহীন ব্যক্তিকে গৰ্হণকৃষ্ণের চরণ ছাড়ি’ যে আর বাখানে। বৃথা জন্ম যায়। তার অসত্য-বচনে ৷৷ ১৫০ ৷৷ আগম-বেদান্ত-আদি যত দরশন। সর্বশাস্ত্ৰে কহে ‘কৃষ্ণপদে ভক্তিধন’ ৷৷ ১৫১ ৷৷ মুগ্ধ সব অধ্যাপক কৃষ্ণের মায়ায়। ছাড়িয়া কৃষ্ণের ভক্তি অন্য পথে যায়৷ ১৫২ ৷৷ বৰ্দ্ধক সংসারা-প্ৰিয়া সাধারণ মাতৃগণের লৌকিক-বিচারের অভিনয় করিয়া মনে করিলেন,-“বধু শ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর সহিত আলাপাদির সুযোগ করিয়া দিলে পুত্রের সংসারবিরুদ্ধ তীব্ৰ কৃষ্ণভজনানুরাগ-চেষ্টা বোধ হয় কিঞ্চিৎ শ্লথ হইয়া পড়িবে।” সাধারণ লৌকিক-বিচারে যৌবনকালে গৌরবোজ্জল্য-বিকাশক অথবা প্রকৃত তত্ত্বোদঘাটনকারী ॥১২৪৷ বদ্ধ-জীবগণ যোষিৎ ও ভোগ্য-বুদ্ধিতে স্বীয় জায়াকে ভোক্ত লক্ষ্মীরে অর্থাৎ বিষ্ণুপ্রিয়-দেবীকে । নিমাইর কৃষ্ণেতন্নবিষয়ে ঔদাসীন্য দেখিয়া জননী শচীদেবী পুত্রের সংসারবন্ধন অভিমানে ভোগ করিতে করিতে সংসারাসক্ত ও গৃহমেধী হইয়া পড়ে, কিন্তু প্রভুর পক্ষে সেই বিচার আদৌ উপস্থিত