পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৫৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যখণ্ড-পঞ্চম অধ্যায় প্রসঙ্গে কহিল তত্তকাঘামের লক্ষণে । পূৰ্ণ হৈলা নিত্যানন্দ ষড়ভুজদর্শনে ॥১৫০৷৷ নিত্যানন্দের ষড়ভুজ-দৰ্শন-আখ্যানের ফলশ্রুতিअहे ब्रिड्Jान्नदृन्द्र बफुलूख-गाब्रिभंत्र । ইহা যে শুনিয়ে, তার বন্ধবিমোচন ॥১৫১৷৷ বাহ প্ৰাপ্তিতে নিত্যানন্দের প্ৰেমক্রন্দনবাহ পাই’। নিভ্যানন্দ করেন ক্ৰন্দনে। মহানদী বহে দুই কমল নয়নে ॥১৫২ ৷৷ ব্যাসপূজান্তে গণসহ মহাপ্ৰভুব কীৰ্ত্তন-বিলাসসবা প্ৰতি মহাপ্ৰভু বলিলা বচন। “পূৰ্ণ হৈল ব্যাসপূজা, করাহ কীৰ্ত্তন৷”১৫৩৷৷ ( কবোতি কিন্তু ) তন্তুক্তেষু (হবিজনেষু ) পুজাং ন ( ঈহতে ভক্ততারতম্য জ্ঞানাভাবাৎ ) আম্বেষ্ণু চ ( অভিক্তেষু চ পুজাং ন ঈহতে অর্থাৎ হবিবিমুখসঙ্গং চ বৰ্জয়তীত্যৰ্থ: ) স ভক্ত: প্ৰাকৃত: ( কনিষ্ঠ, বৈষ্ণৰ প্ৰায়ঃ, ন তু শুদ্ধ ইত্যর্থ )। স্মৃ তঃ ( কথিত: ) ৷ ১৪৯ ৷৷ অনুবাদ । যিনি শ্ৰীগুরুদেবে আত্মসমর্পণপূর্বক দীক্ষিত হইযা মিশ্ৰ ভক্ত্যাভাস সঠিকাবে পাঞ্চবাত্রিক বিধানে শ্ৰীবিষ্ণুব অৰ্চ-মূৰ্ত্তিতে পূজা কবেন, ভক্তিতাবৰ্তম্য জ্ঞানউীবহেতু হরিজনেব পূজা করেন না ; পরস্তু হরিবিমুখসঙ্গ বর্জন কবিয়া থাকেন, তিনি ‘প্ৰাঙ্কত,’ ‘কনিষ্ট, বা ‘বৈষ্ণবপ্ৰায়া” ভক্ত-নামে কথিত হন, তিনি শুদ্ধভক্ত নহেন৷ ১৪৯ ৷৷ অধমভক্তের লক্ষণ-হবিপূজায় ছলনায় ভক্তপূজাপরিহার। তাহার ফলে বিষ্ণুপূজা হইতে তাহাব অবসরপ্ৰাপ্তির সম্ভাবনা । র্যাহাবা পরিকরবৈশিষ্ট্যের সহিত ভগাবানেৰ পূজা করেন এবং ভক্তের পূজাব মহিমা ভগবানের পূজা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করেন, তাহারাই উন্নত ভক্ত। তাহাদের পতনের সম্ভাবনা অনেক কম ; যেহেতু, তাহারা জানেন,-“যন্ত দেবে পরা ভক্তিৰ্যথা দেবে তথা গুরেী। তস্তৈতে কথিত হৰ্থাঃ প্ৰকাশন্তে মহাত্মনঃ।” (~-C*MV5t*: b|qv9 ) ti Ye o AI মহাপ্ৰভু বলিলেন,-ভক্তরাজ শ্ৰীনিত্যানন্দ কর্তৃক উপাসনান্তে ব্যাসপূজা পূর্ণতা লাভ করিল। এক্ষণে ভক্তগণ হরিকীৰ্ত্তন কর। অনেকে ব্যাসকে ভক্ত জানিয়া শ্ৰীগুরু b R পাইয়া প্রভুর আজ্ঞ সবে আনন্দিত। চৌদিকে উঠিল কৃষ্ণ-ধ্বনি আচম্বিত ॥১৫৪৷৷ নিত্যানঙ্গ-গৌরচন্দ্ৰ নাচে একঠাঞি। মহামত্ত দুই ভাই, কারো বাহ নাই৷৷১৫৫৷৷ সকল বৈষ্ণব হৈলা আনন্দে বিহবল ৷ ব্যাস-পূজা-মহোৎসব মহাকুতুহল ॥১৫৬৷৷ কেহ নাচে, কেহ গায়, কেহ গড়ি’ যায়। সবেই চরণ ধরে, যে যাহার পায় ॥১৫৭৷৷ শচীমাতার নিতাই-গৌব-দর্শনে উভযকে নিজপুত্র-জ্ঞান চৈতন্য-প্রভুর মাতা-জগতের আই। নিভৃতে বসিয়া রঙ্গ দেখেন তথাই ॥১৫৮৷৷ বৈষ্ণবকে মৰ্ত্ত্য-বুদ্ধি করি যা তাহাদিগের্ব পূজায় অমনে, যোগী হন, তজ্জন্য নিত্যানন্দোল শ্ৰীপা সাদি সকল ভক্তপবিকাবসমন্বিত গৌৰব-পুজালালা প্ৰদৰ্শিত হইল ॥ ১৫৩ ৷৷ বৈষ্ণবে বা পৰস্পবোৰ পদ বেণু গ্ৰহণে স্ব-দৈৰ্ঘ্য জ্ঞাপন করেন । সাংসাবিক উচ্চাৰচ বিচাবে জীব অহঙ্কারৰিমুঢ়াস হইয়া স্বীয় মৰ্য্যাদা-স্থাপন-মানসে আপবের নিকট DBBDD DgDK BDBSDDSS BgBSSKBDBSDDK DBDDDBY সাংসারিক জনগণেব হ্যায় নিজেব মান সম্বৰ্দ্ধনেব জন্য DDD BDBBSDDD DDSSS Lri BDBDDBDBB KKB BBBS S gOZY উচ্চাব্বাচ-বিচাবি-বহিত মহাভাগবত অধিকারে অ-শ্ব- গোখব।-চণ্ডাল, বিদ্যাবিনয়-সম্পন্ন ব্ৰাহ্মণ বৈষ্ণবেরা প্ৰণম্য হন । যাহাদের বৈষম্য-দশনা প্ৰবল, তাহারা কখনই ব্ৰহ্মজ্ঞ নহেন অর্থাৎ সমগ্ৰ অদ্বয়-জ্ঞানে অনধিকারী। প্ৰত্যেক জীবে ও প্রত্যেক জড়-পৰমাণুতে বিষ্ণু অধিষ্ঠিত এবং তাহাবাই হরি-মন্দির, একথা ত্ৰিগুণবিধবন্ত ব্ৰাহ্মণব্রুবগণ বুঝিতে পারেন না । বৈষ্ণবেরাই তাহাদিগের শ্ৰীগুরুদেবের স্থানে অভিষিক্ত হইয়া তাহাদিগকে বেদমন্ত্রের উপদেশ দিয়া থাকেন । “যন্ত দেবে পরা ভক্তির্ষি থা দেবে তথা গুরেী । তস্তৈতে কথিত হৰ্থাঃ প্ৰকাশন্তে মহাত্মনঃ ॥” বিষম দৃষ্টিতে গুঢ়াৰ্থ প্ৰকাশিত হয় না, উহা বহিঃপ্রজ্ঞা-চালনের ফলমাত্র। মায়িক-বিচার ব্ৰহ্ম প্ৰভৃতি বৈকুণ্ঠান্তৰ্গত তত্ত্বের সন্ধান পায় না। মায়াবদ্ধজীব“অবৈষ্ণব’ ও মায়ামুক্ত জীব-বৈকুণ্ঠ' বা ‘বৈষ্ণব’ ।