পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৭৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գֆե: সন্ন্যাসী ةReof)3},م»۵-سya ব্ৰাহ্মণকুমার কেনে তুমি আশীৰ্বাদ নিদিলে আমার ? ৫৪ ৷৷ পৃথিবীতে জন্মিয় যে না। কৈল বিলাস। উত্তম কামিনী যার না রহিল পাশ ॥ ৫৫ ৷৷ যার ধন নাহি, তার জীবনে কি কাজ। হেন ধন-বর দিতে, পাও তুমি লাজ ॥৫৫৷৷ হইল বা বিষ্ণুভক্তি তোমার শরীরে। ধন বিনা কি খাইবা, তাহা কহ মোরে।”৫৭৷৷ হাসে প্ৰভু, সন্ন্যাসীর বচন শুনিয়া। শ্ৰীহস্ত দিলেন নিজ কপালে তুলিয়া ॥৫৮৷৷ গৌবসুন্দবেব ভক্তি ব্যতীত সকল বস্তুর マ 2び沖リマ f* 2minー ব্যপদেশে মহাপ্ৰভু সবারে শিখায়। ভক্তি বিনা কেহ যেন কিছুই না চায়৷ ৫৯ ৷৷ সাক্ষাৎ প্রমাণ পাওয়া গেল, এই ব্ৰাহ্মণকুমাব সত্যের বিপৰ্য্যয়-ব্যবসা অবলম্বন কবিয়াছে । ভাল বলিতে গেলে ইহার মন্দ বিচার হয়৷ ৫২ ৷৷ আমি সন্তুষ্টচিত্তে ব্ৰাহ্মণকুমাবকে ‘পনাদি প্ৰাপি হউক’ এরূপ আশীৰ্ব্বাদ কবিলাম, কিন্তু তাহাতে, সে উপকাব বোধ না কবিয়া আমাকে গর্তণ কৰিল । ষ্ট’ম | সাক্ষাৎ কলিব কাৰ্য্য ॥৩৫৷৷ এই সংসাবে আগমন কবিফ। যে ব্যক্তি স্ট্রীসঙ্গ না করিল, তাহাব জীবন ধাবণে কোন লাভ নাই। যে ব্যক্তি নবজীবন পাইয়া ধন সংগ্ৰহ কবিল না, তাহাবই বা জীবনে প্ৰযোজন কি ? আমি 'কনক কামিনী লাভ ঘটক’-এই আশীৰ্ব্বাদ কবিলাম, তুমি তাহা গ্ৰহণ কবিতে লজ্জা বোধ কবিতোছ, ইহা বডই আশ্চর্যোব কথা। জগতে অর্থব্যতীত এক পাও চলিবাব উপায নাই। বিষ্ণুভক্তিবিশিষ্ট হইলেই বা কি প্রকারে উদর ভবণ হইবে, বুঝা যায না । ৫৫ ৷৷ দারী সন্ন্যাসীব এইরূপ মূঢ়জনোচিত 8y শ্রবণ করিয়া গৌবসুন্দর 'হায় হায়’ বলিয়া কপালে করাঘাত कब्रिएलन ॥ ४४ ॥ टीमद्मश्laडू शीश कौलाग्र उखित ४शाखनीउ| qर ভক্তি ব্যতীত অপর সকল কাৰ্য্যোব অপ্রয়োজনীযতা বুঝাইয়া দিয়া "জগতে কাহাবও কোন বাসনা করা কীৰ্ত্তব্য নহে,”- शैधैbङशुङा०ादऊ “শুন শুন সন্ন্যাসী-গোসাঞি, যে খাইব। নিজ কৰ্ম্মে যে আছে, সে আপনে মিলিব ॥ ৬০৷৷ ধন-বংশ-নিমিত্ত সংসার কাম্য করে। বল তার ধন-বিংশ তবে কেনে মরে ? ৬১ ৷৷ জ্বরের লাগিয়া কেহ কামনা না করে। তবে কেন জ্বর আসি’ পীড়য়ে শরীরে৷ ৬২ ৷৷ শুন শুন গোসাঞি ইহার হেতু-কৰ্ম্ম। কোন মহাপুরুষে সে জানে এই মৰ্ম্ম৷৷ ৬৩ ৷৷ বেদেও বুঝায় ‘স্বৰ্গ’ বলে জনা জনা। মূখর্ণপ্ৰতি কেবল সে বেদের করুণা ৷৷ ৬৪ ৷৷ বিষয়-সুখেতে বড় লোকের সন্তোষ। চিত্ত বুঝি? কহে বেদ, বেদের কি দোষ ৷৷ ৬৫ ৷৷ “ধন পুত্ৰ পাই গঙ্গাস্নান হরিনামে।” শুনিয়া চলয়ে লোক বেদের কারণে ॥ ৬৬ ৷৷ এইরূপ শিক্ষা দিলেন। শিক্ষা-ছলে ভোগময়ী বাসনা পবিহাবি কবিবােব শিক্ষা অন্তর্নিহিত বহিল ৷৷ ৫৯ ৷৷ দাবী সন্ন্যাসীর “ধন-প্ৰাপ্তিব আশীৰ্বাদ ব্যতীত তুমি কি খাইযা বঁচিবে’-এই কথাব উত্তবে মহাপ্ৰভু বলিলেন, জীব নিজ কৰ্ম্মফলে তাহাব অপ্রাথিত খাদ্য লাভ কবিবাব সুযোগ পাইবে , ভোজ্য দ্রব্য আপন! তইতেই আসিবে। যেৰূপ সদ্যোজাত শিশু নিজ চেষ্টা ব্যতীত মাতৃস্তন্য পেয়ী-রূপে লাভ কবে ॥ ৬০ | যদি ধন, পুত্ৰ প্ৰভৃতিব উদ্দেশ্যে সাংসারিক কামনা কবিতে মানবদিগেব স্বাভাবিক রুচি দেখা যাম, তাহা হইলে তাহারা কামনা করিয়া ও কেন ধন-পুত্ৰ-বিবজিত হয় ?৬১৷৷ যদি আশীৰ্ব্বাদ কামনা কবিলেই ফল-লাভ ঘটিত, তাহা হইলে অপ্ৰাৰ্থিত জীব জীব-শৰীবে কেন আসিয়া উপস্থিত হয় ? প্রার্থনা না করিয়াও যখন স্বতঃপ্রণোদিত হইয়া বস্তুব প্ৰাপ্তি ঘটে এবং প্রার্থনা কবিয়াও যখন পাওয়া যায় না, তখন বাসনাব নিবর্থকতাই উপলব্ধ হয় ৷ ৬২ ৷৷ কৰ্ম্মফল দ্বারাই ধনাদি-প্ৰাপ্তি ঘটে, সংকৰ্ম্ম-প্ৰভাবে স্বৰ্গসুপাদিব কথাও শুনা যায় এবং লুব্ধ ভোগী অনভিজ্ঞ মানবগণের প্রতি কৃপা-প্ৰদৰ্শন-জন্য বৈদিক অনুশাসনাদি তাহাদিগের তত্ত্যুৎ প্ৰকৃতি অপসারিত করিবার উদ্দেশে