পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

可牙了穹$ একদিন রাত্রি যায় তৃতীয়প্রহর । আচম্বিতে রোদন করয়ে বিশ্বম্ভর ॥ ৫ ॥ বিস্মিত হইয়া শচী পুছেন পূত্রেরে। কি কারণে কান্দ বাপ কহ না আমারে ॥৬৷৷ তোমার কান্দন শুনি পোড়য়ে শরীর। পরিতে ন পারেণ হিয়া-বুকে বাজে তীর ॥৭৷ শুনিএঃ মায়ের লাণী নিঃশবদে রহে । শয্যায় বসিয়া যে দেখিল স্বপ্ন কহে ॥ ৮ ॥ নলীন নীরদ-কান্তি দেখিল পুরুখে । ময়ূরপাখার চড়া অস্তুত ময়ূখে ॥ ৯ ॥ কঙ্কণ কেয়ূর হার চরণে নূপূর। ললাটে চমদনৰ্চাদ কিরণ প্র র ॥ ১০ ॥ পীতলস্ত্র পরিপান –বংশী বাম করে । দেখিলু সুন্দর এক হরিয অন্তরে ॥ ১১ ॥ রোদন করয়ে তা খি গলে অশ্রুধ র । লা কহিও-- কেহো যেন না শুনয়ে আর ॥১১। ঐছন পচন শুনি’ শচী আনন্দিতা ৷ বিশ্বম্ভর মুখোদিত অমৃতের কথা ॥ ১৩ ॥ বিশ্বম্ভর পূনকপূরিত সল দেহ। ঝলমল করে তাঙ্গ-ছট। সল গেহ ॥ ১৪ ॥ হেনকালে নিত্যানন্দ অবধূ ত রায় । শ্ৰীনিবাস-ঘর হৈতে মিলিল। তথায় ॥ ১৫ ॥ আসিয়া দেখিল প্রভুর সুন্দর শরীর । তেজোময় মহালাহু এ নাস্তি গম্ভীর ॥ ১৬ ॥ দক্ষিণ করেতে গদা—লামকরে বেণু। করতলে পদ্ম—বামকরতলে ধনু ॥ ১৭ ॥ তপতকাঞ্চন-কান্তি হৃদয়ে কৌস্তুভ । • মকর কুণ্ডল দুই শোভে গণ্ডযুগ ॥ ১৮ ॥ মরকতদু্যতি হার শোভয়ে গলায়। অদভূত বেশ দেখি” অবধূত রায় ॥ ১৯ ॥ চতুভূজ দেখি’- ধনু মুরলিকা নাই । সেইমত রূপ সল—বর চারি বাই ॥২০ ॥ ক্ষণেক অন্তরে দেখে দ্বিভূজ-আকার । লোক অনুগ্রহ রূপ চরিত্র তাহার ॥ ১১ ॥ ১১৩ এ রূপ দেখিলাসিয়া অবধূতরায় । নিজজনে আলিঙ্গন দিয়া নাচে গায় ॥ ২২ ॥ আলেশে নাচেন সেই বিবশ হইয়। প্রেম-মহ জলনিধি প্রবেশ করিম ॥ ২৩ ॥ শ্ৰীনিবাস, নারায়ণ, শ্রীরাম, মুরারি। ইহা সঙ্গে তোমরা চলহ জন। চারি ॥ ২৪ ॥ অদ্বৈত-আচাৰ্য্য-বাড়ী যাব অবধূত । ইহা জানাইহ—ইহে বড় অদভুত ॥ ২৫ ॥ হেনমতে মহাপ্রভু আজ্ঞ যবে কৈল । শুনি’ সবজন-হিয়৷ আনন্দিত হৈল ॥ ২৬ ॥ নিত্যানন্দসঙ্গে সভে চলিল। সত্বর । তমানপদহীদয়ে গেল। ত{{চার্য্যের ঘর ॥ ২৭ ॥ পরণাম করি’ কথা কহিল সকল । শুনিএ আচার্য্য সুখে লণচয়ে পিহবল ॥ ২৮ ॥ দেহে দোহ। আলিঙ্গন করয়ে আনন্দে । আচার্য্য নাচয়ে সুখে না.গু নিত্যাননে ॥২৯ তানন্দ-সমুদ্রে সুখে ভুলিল। মির্ভরে । ঘন ঘন হুহুঙ্কার উঠয়ে হিল্লোলে ॥ ৩০ ॥ দোহে গুপ্তকথা কহে গৌরাঙ্গ চরিত। শুনিতে কহিতে দোহে উনমত-চিত ॥ ৩১ ॥ এইমত আনন্দে আছিল দিন দুই । আনন্দে বৈষ্ণব সব গোরা গুণ গাই । ৩২ ॥ অদ্বৈতচরণে পূনঃ নিবেদন করি’ । চলিলা সত্বরে দেখিবারে গৌরহরি ॥৩৩ ॥ প্রভুর সম্মুখে আসি পরণাম করি । করঘোড় করি’ সল কহয়ে মুরারি ॥ ৩৪ ॥ আচার্য্যের ঘরে যত ভৈগেল রহস্য। শুনি আনন্দিত প্রভু উপজিল হাস্য ॥ ৩৫ ॥ তার-পর-দিনে পুনঃ আপনে আচার্য্য। পাদগম্বুজ দেখিতে আইল। দ্বিজবৰ্য্য ॥৩৬ ॥ শ্ৰীনিবাসপণ্ডিতের ঘরে মহাপহু । দেবতার ঘর মধ্যে বসি’ হাসে লন্ত ॥ ৩৭ ॥ দিব্যাসলে পহু বসিয়ছে মহাসুখে । ঝলমল করে ঘর অঙ্গের ছটাকে ॥ ৩৮ ॥