পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ আনন্দে সকল লোক হরিগুণ গায়। ভকত-বদন হেরি’ মাচে গোরারায় ॥ ১১২ ৷ নরহরি-পাদপদ্ম ধরি’ শিরোপরি । কহয়ে লোচনদাস গৌরাঙ্গমাধুরী ॥ ১১৩ ৷ তার-পর-দিনে কথা অপূৰ্ব্বকথন। সাবধালে শুন সভে কহিব এখন ॥ ১১৪ ৷ শিখায়ে সকল লোকে লোক-শিক্ষণগুরু। করুণাসাগর প্রেমভক্তি-কল্পতরু ॥ ১১৫ ৷ নিজজন বুঝালারে করে যত কাৰ্য্য। সংহতি করিয়া আদি অদ্বৈত-আচাৰ্য্য ॥১১৬। শ্ৰীনিবাস, হরিদাস, মুরারি, মুকুন্দ। গদাধর, শুক্লাম্বর, রাম আদি অন্ত ॥ ১১৭ ৷ নরহরি, রঘুনন্দন, শ্ৰীমুকুন্দদাস । বাসুঘোষ, জগদানন্দ আদি সৰ্ব্ব দাস ॥১১৮৷৷ যতেক ভকত সব সংহতি করিয়া । দেঘালয়ে যায় প্রভু আনন্দিত হইয়া ॥১১৯ ৷ নেত-ধট পরিধান—কান্ধে ত কোদাল । করে সম্মার্জনী করি’ সভার মিশাল ॥ ১২০ ৷ সঙ্গের যতেক জন ধরে সেই বেশ । হাথে ঝণটা কান্ধে কোদাল উভ বন্ধে কেশ ৷ দেবালয়-মার্জন করিতে যায় প্রভু। হেন অদভূত কথা নাহি শুনি কভু ॥ ১২২ ৷৷ কৃষ্ণের হুডিডপ হইয়া বুলে দ্বারে দ্বারে । সকল বৈষ্ণল মেলি সম্ম অজ না করে ॥ ১২৩ ৷ এইমতে লোকশিক্ষণ করায়ে ঠাকুর। ভজহ সকল লোক—যে হও চতুর ॥ ১২৪ ৷ প্রেমভক্তি-দাতা তার নাহি কোন জন । জানিঞা ভজহ শ্ৰীগৌরাঙ্গচরণ ॥ ১২৫ ॥ যুগে যুগে কত কত অবতার আছে। ভজিলে সে ভজে –ৰ্তার অনুরূপ আছে ॥১২৬৷৷ আর কেহো নাহি করে হেন ঠাকুরাল। ভক্তি বুঝাবারে করে কান্ধে ত কোদাল ॥ না ভজিলে ভজে হেন জন কোন যুগে। ঘরে ঘরে বুলে কেব। নিজভক্তি মাগে ॥১২৮ Gऐक्लङग्नुभत्रल ভজিলে-সে ভজে সেই বড়ই ঠাকুর। ভক্তে সে কহয়ে ইহা আনে কহে দূর ॥১২৯৷৷ বিচার না করে পাত্রাপাত্র কোন দেশে । বৃন্দাবনধন দিয়া সভারে সন্তোষে ॥ ১৩০ ৷ ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মপর প্রেম যাচই সভারে। তারিল সভারে প্রভু শচীর কুমারে ॥ ১৩১ ৷ ব্ৰহ্মা, মহেশ্বর কিবা লখিমী, অনন্ত । আপন বলিতে নগরে এ হেল দুরন্ত ॥ ১৩২ ৷৷ না ভজিলে নিজবোলে নাহিক ঠাকুর। এই সে কারণে গোরাগুণে মনঝুর ॥ ১৩৩ ৷ গোরাগুণ ভজ ভাই না করিহ হেলা । সংসার তরিতে মাত্ৰ সবে এই ভেলা ॥১৩৪ ৷ এ হেন ঠাকুর কেহো ন হইল আর । কহয়ে লোচন সবে গোরা-অবতার ॥ ১৩৫ ৷ কুণ্ঠব্যাধির পাপমোচন ও বলদেরবেশ কথাসনাল একদিন শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু ভক্তগণ সঙ্গে প্রেমাবেশে গমন করিতেছেন, এমন সময় সেই পথে এক কুণ্ঠ-রোগও স্ত ব্রাহ্মণ নিজ উদ্ধারের জন্য শ্ৰীমন্মহাপ্রভূর নিকট নিবেদন কবি:ো, শ্ৰীমন্মহাপ্রভু প্রথমে তাতাকে বৈষ্ণবাপরাণী বলিখা উপেক্ষা করিলেন, পরে তা তাকে ঐ 1াস পণ্ডিতেল নিকট নিজ অপরাধ ক্ষমা প্রার্থনা করিতে বলিলেন, অবশেষে তাহাকে বৈষ্ণবাপরাধ হইতে মুক্ত করিয়া প্রেম প্রদান করেন । গেীরসুন্দরের নৃত্য দর্শনাভিলাষ্ট্ৰী জনৈক ব্রাহ্মণকে শ্ৰীবাসাদি গেীরভক্তগণ বাধা প্রদান করায় তাহার মনোভীষ্ট পূর্ণ হয় নাই, তজ্জন্য তিনি একদিন শ্ৰীমন্মহাপ্রভুকে গঙ্গায় স্বান করিতে দেপিয়া ক্রোধপূর্বক তাহার প্রতি “তোমার সংসারমুগ বিনষ্ট হউক” বলিয়। শাপ প্রদান করিলে, শ্ৰীমন্মহাভু আনন্দের সহিত বিপ্ৰ-শাপ গ্রহণ করিলেন । তাহাতে বিপ্রের চৈতন্তোদয় হইলে, তিনি ভীত হইয়া ঐ মন্মতাপ্রভুল