পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Q○ চৈতন্যমঙ্গল পুনরপি স্যাসিলরে করয়ে প্রণাম। তপন অন্তরকথা মাগয়ে বিধান ॥ ১১৩ ৷ ভার পর-দিনে প্রভু গুরু-আজ্ঞা লঞা । সন্ন্যাস-বিধান—কৰ্ম্ম করয়ে হাসিয়া ॥১১৪৷৷ করিল সকল কৰ্ম্ম—যে ছিল লিহিত । ‘সন্ধ্য।স করিব বলি’ তানন্দিত চিত ॥১১৫৷ সপনে আচার্য্য-রত্ন কৃষ্ণ-পূজা করে। চৌদিগে বৈষ্ণব সব হরি হরি বোলে ॥১১৬৷৷ শুরুর সম্মুখে রহে পুটাঞ্জলি করি’ । মগয়ে সন্ন্যাস-মন্ত্র পরিণাম করি’ ॥ ১১৭ ৷ মুণ্ডন করিল প্রভু—শুন তার কথা । য। শুনিলে সভার হৃদয়ে লাগে ব্যথা ॥১১৮৷৷ সকল বৈষ্ণবজনে লাগে হিয়া কাপ। মুণ্ডনের কালে সস্ত্র মুখে দেই বাপ ॥১১৯৷৷ কমলা-লালিত কেশ ত্ৰৈলোক্যসুন্দর । মালার সহিত নাম্বে এ গজকন্ধর ॥ ১২০ ॥ পূরুলে চুড়ার বেশে মোহিল জগত । যাহার ধ্যেয়নে জীয়ে সকল ভকত ॥ ১২১ ৷৷ গোপবধু ধাহা লাগি ছাড়িলেক লাজ। জাতি-কুল-শীল-ভয়ে পাড়িলেক বাজ ॥১২২৷৷ যার গুণগানে শিব, বিরিঞ্চি, নারদ । অপমারে ধন্য মানে সকল সম্পদ ॥ ১২৩ ৷ হেন কেশ মুণ্ডন করিতে চাহে পহু । কান্দয়ে সকল লোক-না তুলয়ে মুহু ॥১২৪৷৷ নাপিত মা দেই হাথ শিরের উপরে। তরাসে তাহার অঙ্গ করে থর-থরে ॥ ১২৫ ॥ কণ্টক-নগরের লোক এ নারী-পুরুষে। ফুকরি ফুলরি কন্দে সকরুণ ভাষে ॥ ১২৬ ৷ নাপিত কহয়ে—প্রভু নিবেদী চরণে । তোর শিরে হাথ দিব কাহার পরাণে ॥১২৭৷৷ আমার শকতি নাহি করিতে মুগুন। সুন্দর কুঞ্চিত কেশ ত্ৰৈলোক্য-মোহন ॥১২৮৷৷ দেখিতে শীতল হয় হৃদয়-নয়ন। যে কর সে কর প্রভু না কর যুগুন ॥ ১২৯ ॥ এরূপ মানুষ নাই জগত-ভিতর। তুমি সৰ্ব্বলোকনাথ—জানিল অন্তর ॥১৩০ এ বোল শুলিঞা প্রভু অসন্তোষ পায়। বুঝিয়া নাপিভ কাজ অন্তরে ডরায় ॥১৩১৷৷ পুনঃ নিবেদন করে অন্তরে কণভর । কেমনে বা হাথ দিব এ শির-উপর ॥ ১৩২ ৷৷ অপরাধ লাগি? মোর ডরে হালে গণ । তোর শিরে হtথ দিয়া ছেণব কণর পা ॥১৩৩৷৷ কণর পায় হtথ দিয়া করিব নিজবুত্তি। অধম নাপিত মুঞি হঙ, ছার জাতি ॥১৩৪ ৷ এ বোল শুনিএ প্রভু সদয়-হৃদয় । না করিহ বৃত্তি তুমি—ঠাকুর কহয় ৷ ১৩৫ ৷ কষ্ণের প্রসাদে জন্ম সুখে গোঙাইবে । আন্তকালে লাস তোর মোর লোকে হবে ॥১৩৬ মুগুনের কালে সে নাপিতে বর পায় । ক তির-হৃদয়ে এ লোচন দাস গায় ৷ ১৩৭ ৷৷ જૂની મિત્રુ છું – 15ાં মুণ্ডন করিল প্ৰভু দেখি শুভক্ষণে । সন্ন্যাস করয়ে শুভদিনে সংক্রমণে ॥ ১৩৮ ॥ মকর লেউটে কুম্ভ আইসে হেন বেলে। সন্ন্যাসের মন্ত্র গুরু কহে হেনকালে ॥১৩৯৷৷ চৌদিগে বৈষ্ণবগণ করে সঙ্কীৰ্ত্তলে । মন্ত্র কহে ন্যাসী বিশ্বস্তুরের শ্রবণে ॥ ১৪০ ॥ মন্ত্র পাএ বিশ্বস্তুর পুলকিত-অঙ্গ। শতগুণ বাঢ়ে কৃষ্ণপ্রেমার তরঙ্গ ॥ ১৪১ ৷৷ অরুণ-নয়নে জল ঝরে আলিবার। ক্ষণে মালসট মারে— ছাড়ে হুহুঙ্কার ॥১৪২৷৷ ‘সন্ন্যাস করিল ইহা বলিয়া উল্লাস । পুনঃ পুনঃ প্রেমানন্দে অট্ট-অট্ট হাস ॥ ১৪৩ ॥ হেনই সময় কহে ভারতী-গোসাঞিকি নাম তোমার হব--শুনহ নিমাঞি ॥১৪৪