পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७ वैजैcशोब्रांत्र श्मन्। এবং শ্ৰীনবদ্বীপবাসীগণকে দর্শন দানে কৃতাৰ্থ করিয়াছিলেন। শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর সাত দিবস বিশ্রাম হেতু এই কুলিয়া-“সাত কুলিয়া” নামে পরিচিত হইয়াছিল। শ্ৰীপটি বাঘিনী পাড়ার আদি পুরুষ ঠাকুর শ্ৰীশ্ৰী বংশীবদন এই স্থানেই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। "শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু সন্ন্যাস গ্ৰহণ করিয়া শ্ৰীনীলাচল গমনের পর, এই শ্ৰীবংশীবদন শ্ৰীশ্ৰীশচীমাতা ও শ্ৰীশ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুরাণীর দুঃখ লাঘবের জন্য তঁহিদের আশ্রয়ে থাকিয়া সৰ্ব্বদা সেবা পরিচর্য্যা দ্বারা আনুকুল্য করিতেন। এই "সাতকুলিয়া” নামক স্থানে যে শ্ৰবংশীবদন জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন এ সম্বন্ধে শ্ৰীপাট বাঘনাপাড়ার প্রভুসন্তানগণের স্বাক্ষর ও সম্মতিপত্র যাহা ১৩২৩ সালের ৯ই ফাল্গুন তারিখে পাইয়াছি, তাহার কিয়দংশ যথা,-“মহাপ্ৰভু বংশীবদনুের আবিৰ্ভাৰ স্থান-“কুলিয়” গ্রাম (সাতকুলিয়া)। শ্ৰীশ্ৰীভক্তিরত্নাকরের মতে, এই “কোলদ্বীপ” বা “কুলিয়া গ্রামের নাম “কুলিয়া পাহাড়।” এইস্থান গঙ্গার পশ্চিমস্থ"পঞ্চদ্বীপের একটী দ্বীপ এবং উহা শ্ৰীনিবদ্বীপপুঞ্জ ষোল ক্ৰোশি পরিক্রমার অন্তভুক্ত স্থানবিশেষ। এই “সাতকুলিয়া” নামক স্থানই প্রকৃতপক্ষে “অপরাধ ভঞ্জনের পাট ।” ১। নদীয়া জিলার “রাণাঘাট”। মহকুমার অন্তর্গত কঁাচড়া পাড়ার নিকটবৰ্ত্তী “কোলো” নামক স্থানকে যে “দেবানন্দের অপরাধ ভঞ্জনের , পাট” নামে প্রকাশ করা হইয়াছে, তাহা ভ্ৰান্তিপূর্ণ স্থান। যেহেতু ( ঐ “কোলে" নামক স্থান ) ও (‘নদীয়া নগরের”) ঠিক মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে শ্ৰীশ্ৰীশান্তিপুর অবস্থিত। এই স্থান “কুলিয়া” হইলে, নবদ্বীপবাসীগণকে শ্ৰীশান্তিপুর অতিক্ৰম করিয়া যাইতে হইত। বিশেষতঃ উঁহা নদীয়া জিলার অন্তর্গত ও গঙ্গার পূর্বভাগে অবস্থিত। অতএৱ “সবে গঙ্গা মধ্যে নদীয়ায় কুলিয়ায়।” এই বচনের সঙ্গে ঐ “কোলো” নামক স্থানের মতানৈক্য দোষ ঘটিতেছে। যেহেতু নদীয়া জিলার অন্তভুক্ত স্থান হইয়া, উহা কিরূপে নদীয়া হইতে পৃথক হইল ? দ্বিতীয়ত: ঐ “কোলো” নামক স্থান ও ‘নদীয়া ਸ" यूनश मूनिकtल २ मादेश श्व। এত দূৰ্ববৰ্ত্তী স্থানে যে নবদ্বীপস্থ কুলবধূগণ পদব্রজে আসিয়াছিলেন, তাহ। কিরূপে সম্ভবপর হয় ? অতএব নদীয়ানগরের সাড়ে । চারি মাইল দূরবর্তী “সাতকুলিয়া” নামক স্থান যে শ্ৰীদেবানন্দের অপরাধ ভঞ্জনের প্রকৃত স্থান एकांशश् প্রতিপন্ন इद्दे । R ।, ৬ কেদারনাথ দত্ত মহাশয় যে বৰ্ত্তমান ‘নবদ্বীপ” বা নদীয়া নগরকে "কুলিয়া” আখ্যা প্ৰদান করিয়াছেন, তাহাও সুসিদ্ধ হইতেছে না। যেহেতু, কাজিন্দালন দিবসে নদীয়া নগরের যে সমস্ত স্থানের উপর দিয়া শ্ৰীশ্ৰীমহা প্ৰভু নগর ভ্ৰমণ করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে এখনও চারিটিী প্ৰাচীন স্থান বর্তমান রহিয়াছে। যথা,-সিমলিয়া, গাদিগাছা, মজিদ ও পারডাঙ্গা। এতন্মধ্যে প্ৰথম তিনটী স্থান গঙ্গার পূর্বতীরে এবং শেষোক্ত পারডাঙ্গা নামক স্থান ‘বৰ্ত্তমান প্রবাহিতা গঙ্গার’। পশ্চিম তীরে অবস্থিত। ঐ পারডাঙ্গা ও চিনাডাঙ্গা নামক প্রাচীন নদীয়া বা “অন্তদ্বীপের” অন্তর্গত স্থানের উপরই বৰ্ত্তমান “নবদ্বীপ" বা নদীয়া নগর অবস্থিত। অতএব বৰ্ত্তমান নদীয়া নগরও যে প্রাচীন নদীয়া নগরেরই অংশবিশেষ সে সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই, ঐ স্থান "কুলিয়া" নহে। ། | تمي" ート