পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর । মুখুয্যে ভাতৃদ্বয়, রাধিক গোস্বামী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ১৮৯ [ পূর্বকথা—নরেন্দ্রের জন্য ক্ৰন্দন। নরেন্দ্রের প্রথম দৰ্শন ১৮৮১ । ] “ছোকরাদের ভালবাসি কেন ?—ওদের ভিতর কামিনীকাঞ্চন এখনও ঢুকে নাই। আমি ওদের নিত্যসিদ্ধ দেখি ! “নরেন্দ্র যখন প্রথম এলো— ময়লা একখানা চাদর গায়ে–কিন্তু চোখ মুখ দেখে বোধ হলো, ভিতরে কিছু আছে। তখন বেশী গান জানতো না । দুই একটা গান গাইলে,— aBB uD B BB BBBBeeBS BB BJJ BB B দিল আমার বিফলে চলিক্সে।” “যখন আসতো,—এক ঘর লোক—তবু ওর দিক পানে চেয়েই কথা কহিতাম। ও বোলতো, এদের সঙ্গে কথা কন,”—তবে কইতাম । “যদু মল্লিকের বাগানে কাদতুম,—ওকে দেখবার জন্য পাগল হ’য়েছিলাম ! এখানে ভোলানথের হাত ধরে কান্না !—ভোলানাথ বল্লে, “একটা কায়েতের ছেলের জন্য ম’শয় আপনার এরূপ করা উচিত নয়’ ! মোট বামুন এক দিন হাত জোড় করে বল্লে, মশায়, ওর সামান্য পড়াশুনো, ওর জন্য আপনি এত অধীর কেন হন ? “ভবনাথ নরেন্দ্রর জুড়ী—দুজনে যেন স্ত্রী পুরুষ । তাই ভবনাথকে নরেন্দ্রের কাছে বাসা করতে বললুম। ওরা দু’জনেই অরূপের ঘর। [সন্ন্যাসীর কঠিন নিয়ম-লোকশিক্ষার্থ ত্যাগ । ঘোষপাড়ার সাধনের কথা। ] ‘আমি ছোকরাদের মেয়েদের কাছে বেশী থাকতে বা আনাগেন ক’রতে বারণ ক'রে দিই । “হরিপদ এক ঘোষপাড়ার মাগীর পাল্লায় পড়েছে। সে বাৎসল্য ভাব করে । হরিপদ ছেলে মানুষ, কিছু বোঝে না। ওরা ছোকরা দেখলে ঐ রকম করে। শুনলাম, হরিপদ নাকি ওর কোলে শোয়। আর সে হাতে করে তাকে খাবার খাইয়ে দেয় । আমি ওকে বলে দিব—ও সব ভাল নয়। ঐ বাৎসল্য ভাব থেকেই আবার তাচছল্য ভাব হয় । “ওদের বর্তমানের সাধন—মানুষ নিয়ে সাধন । মানুষকে মনে করে শ্ৰীকৃষ্ণ । ওরা বলে “রাগব্লকক্ষ৪’ । গুরু জিজ্ঞাসা করে, রাগকৃষ্ণ পেয়েছিস ? সে বলে “হা, পেয়েছি।’ ।